আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
475 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (68 points)

১. আজকে পুরাতন মেইলে দরকারি মেইল খোজতে গিয়ে আমার বউ এর একটি মেইল পাই, তখনের ঘটনা হালকা মনে আছে,কোনো বিষয়ে ঝগড়া নিয়ে ও আমাকে ব্লক করে ফেসবুকে তখন তাকে ম্যাসেজ দেওয়ার জনয় মেইল করি,  এর জবাবে সে লিখে, "সরি ভাই। আপনার সাথে আমার সব সম্পর্ক শেষ ভালো থাকেন। আল্লাহ হাফেজ" আজকে সেটা দেখে তাকে যখন এর সম্ভর্কে জিগ্যেস করি যে, তুমি তালাকের নিয়তে কি মেইল টা দিয়েছিলে? সে বলে,  এই মেইলের কথাই তার মনে নাই। পরে তাকে বলি মনে না থাকলে কি করার আর। আগের মেইল ২০২১ এর।

এই অবস্থায় কি তালাক পতিত হবে? তাকে কি আলাদা ভাবে নিয়ত সম্পর্কে জিগ্যাস করতে হবে? করনীয় কি?

(তার অধিকার আছে)

২. কেও যদি তালাক লিখার সময়,  মুখে তালা চাবি উচ্চারণ করে,  বা বলে তালাক মানে তালাচাবি,  তবে কি পরবর্তীতে বউ কে তালাচাবি বললে সমস্যা হবে?

৩. তালাক লিখার সময় বউ এর কথা কল্পনা বা মাথায় আসলে।কি সমস্যা হবে?দেওয়ার নিথ ছাড়া।

৪. মন্দির এর গঠন দেখে প্রসংসা করলে যে এইটা অনেক সুন্দর এবং "বৌদ্ধ সাধু দের আদলে বসার ভংগি"  বা "হিন্দুদের পুজায় ব্যবহৃত ছোট গ্লাস, একটা জিনিস হিসাবে সুন্দর লাগার পর কিনে রাখলে"   ধরলে  এই দুই কাজ করলে কি ইমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/36539/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।   

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।
স্ত্রীকে আর কোনো প্রশ্ন করার আবশ্যকীয়তা নেই।
নিয়ত সম্পর্কেও প্রশ্ন করার প্রয়োজন নেই।

(০২)
না,সমস্যা হবেনা।

(০৩)
না,সমস্যা হবেনা।

(০৪)
না,এক্ষেত্রে ঈমান চলে যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (68 points)
শায়েখ এটা একটু বলবেন?
কেনায়া তালাক এর নিয়ত মনে না থাকলে কি তালাক হয়?
by (575,580 points)
মনে না থাকা মানেই সে সন্দেহে আছে।
নিশ্চিত সে নয়।
তাই তালাক হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...