আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (61 points)
edited by

১. একজন ব্যক্তি দুররে মুখতাররের কিছু মাসআলার ছবি দিয়ে শরিয়া আইনের বিষুদঘার এর চেষ্টা  করে।মাসআলা গুলো ছিলো সহবাস, নাবালিকা মেয়ের সাথে, পশুর সাথে সহবাস, সমকামীতা এই সব ক্ষেত্রে কখন কিভাবে ওযু গোসল ফরজ হয় এই সব আলোচনা। এটা দেখে বউ আমকে এর লিংক দেয় এবং  ম্যাসেজে বলে,  " কিসব পড়ায় ছিহ,পুরা চটি বই,কি  বাজে লাগের পড়তে, এতো খোলামেলা লেখছে, শরম লাগছে আমার ইগুলা পড়তে "এই ম্যাসেজ গুলো ক্রমান্নেয়ে দেয়।  তার পর তাকে বুঝাই যে এই গুলো ফেকহার কিতাব,তখন জানতে চায় ফেকহা কি, বলি ইসলামী আইনশাস্ত্র, প্রয়োজনের খাতিরে এই সব ডিটেলে বুঝানোর জন্য এভাবে বর্ননা করা হয়েছে, তাছাড়া এই গুলোর ব্যাখা আছে,তাছাড়া কখনো ফেকহার কিতাবে বিচ্ছিন্ন রায় থাকে যেগুলোর উপর ফতোয়া হয় না। জানানোর জন্য পড়ানো হয়। পরে সে বুঝতে পারে। ও তওবা করতে বলি।

(উল্লেখ্য চটি বলতে নোংরা গল্পের বই বুঝায়,  তাছাড়া ছোট বই, এবং এক ধরনের জুতা কেও বুঝায়, এখানে সে কোন অর্থে ব্যবহার করেছে তা অনুমান করতে পারছি তবে জিগ্যেস করি নি) 

তার এই কথা গুলোর জন্য কি সে কাফের হবে?

২. সে শরিয়া আইন সম্মান করে ইসলামের বিরুদ্ধে কখনো কিছু  ভাবছে সেরকম দেখি নাই। এই পোস্ট যেহেতু শরিয়া আইন লক্ষ করে বিরুদ্ধাচরণ করে করা, সেটা দেখার সাপেক্ষে আমার বউ এইসব বলেছে। শরিয়া আইন কটাক্ষ করে এইসব বলেছে কি না তা কি তাকে জিগ্যাস করে জানা দরকার ? না কি লেখা দেখে বলেছে এটুকের উপর থাকবো?

আপনার সুবিধার জন্য লিংক যুক্ত করলাম, যদি দরকার মনে করেন, https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10225114452182426&id=1052734338

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার এই কথা গুলোর জন্য সে কাফের হবেনা।
তার ঈমান চলে যাবেনা।

সে এখানে অকাট্যভাবে প্রমাণিত শরীয়াহ কোনো আইন নিয়ে মশকরা,ঠাট্রা করেনি।

(০২)
এখানে নির্দিষ্ট সেই গ্রন্থের লেখার বাচন ভঙ্গি,ইত্যাদি আনুষাঙ্গিক আরো বিষয় নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে।

প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত পোস্ট দেয়াতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...