আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.যদি কেউ আকিদা বিষয়ক বই পড়ার সময় বুঝতে পারে যে,  তার আকিদার মধ্যে সমস্যা আছে।   শিরকে আকবর আছে,  কাজে কর্মে বিশ্বাসে কুফরি আছে । কিন্তু জানার পর সে ইস্তিগফার পড়ে। তাহলে কি তার ঈমান ভংগ হবে। বিবাহিত হলে বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

২.   সে ঈমান ভংগের কারন জানার পর আকিদা বিষয়ক বই পরবে পরবে বলে অলসতার কারনে  এতদিন পড়েনি। কিন্তু আকিদা বিষয়ক বই পড়ার পর বুঝতে পারে যে তার আকিদার মধ্যে সমস্যা আছে।   এতদিন অলসতার কারনে  না পড়ার পরও কি ওজর বিল জাহেলিয়াত গ্রহণযোগ্য হবে? যেহেতু সে অলসতার কারনে পড়েনি।

৩. আমরা তিন ভাই বোন । আমার দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। একটি ভিডিও তে    একজন শায়েখের আলোচনাতে দেখলাম যে,    জীবিত অবস্থায়   কোন সন্তান কে    কিছু দিলে     সমানভাবে দিতে হবে।  এখন আমার প্রশ্ন হল- আমাকে যদি আমার পিতা কোন মোবাইল বা ঘড়ি দেয় তাহলে কি আমার বোনদের ও সমানভাবে দিতে হবে?

৪.তিন নাম্বার প্রশ্ন করার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৫.   আমি জানি যে মাজারে পীরের নামে কিছু মানত করা শিরক। তো একদিন আসরের নামাজের পর   আমাদের মসজিদে একজন পোলাও  নিয়ে আসেন ।মাজারের সাথেই আমাদের মসজিদ। তো আমি তাকে বলি যে পীরের জন্য মানতের উদ্দেশ্যে   পোলাও নিয়ে আসছেন নাকি। সে বলে যে না পীরের জন্য নয়। তো তখন আমি পোলাও খাই। আমাদের কবরস্থানে পীরের মাজার থাকার অনেকে বিভিন্ন কিছু নিয়ে আসে। আমার এই পোলাও খাওয়ার জন্য কি শিরক হয়েছে? যেহেতু আমি জানি যে মাজারে পীরের নামে মানত করা শিরক। এটা কি জেনেশুনে শিরক করা হয়েছে? এর কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৬.আমি ইউটিউবে একটি ভিডিও তে মুমিন এক পেটে খায় আর কাফির সাত পেটে খায় এই হাদিস সম্পর্কে  আলোচনা দেখলাম। দেখার পর আমার মনে হল যে আমি তো  একেবারে  পেট ভরে ভাত খাই।এই পেট ভরে ভাত খাওয়ার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৭.ছয় নাম্বার প্রশ্নের ভিডিও দেখার পর আমি খুব টেনশনে ছিলাম যে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হল নাকি। এই জন্য আমি বিভিন্ন ভিডিও দেখি। তেমনি একটি ভিডিও তে দেখলাম যে পেট ভরে ভাত খাওয়া বিদআত। তখন আমি মনে মনে এক্টু স্বস্তি পাই যে, এটা বিদআত  এর তো ঈমান ভংগ হবে না।(আস্তাগফিরুল্লাহ।) আমার এইরকম মনে হওয়ার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?  এক বইতে আমি দেখেছিলাম যে   কোন গুনাহকে ছোট মনে করাও কুফরি। আমি যেহেতু মনে মনে এক্টু স্বস্তি পেয়েছিলাম যে আমার ঈমান ভংগ হবে না। এভাবে কোন গুনাহ কে মনে মনে এক্টু স্বস্তি পাওয়ার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৮.আমি একজনের সাথে একটি মসজিদ সমন্ধে গল্প করছিলাম এই মসজিদে নামাজ পরতে আমার ভাল্লাগে না (আস্তাগফিরুল্লাহ)। আরেকটা মসজিদের কথা বলেছিলাম যে এই মসজিদে নামাজ পরতে আমার ভাল্লাগে।           অই মসজিদ এক্টু অপরিচ্ছন্ন এজন্য আমি তাকে এ কথা বলেছিলাম। আমার এভাবে কথা বলার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে ?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?  (কথাটা অনেক দিনের হঠাৎ করে আমার মনে পরল এইজন্য কথাটা কি বলেছিলাম হবুহ মনে নেই। কিন্তু এরকমই বলে ছিলাম)।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/4560/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
ওযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য। চায় এ'তেকাদি মাসাঈল সম্পর্কিত হোক বা ফেকহী শাখাপ্রশাখাগত মাসাঈল সম্পর্কিত হোক।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 ( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের রব,আমাদের কে পাকরাও করবেন না,যদি আমি ভূলে যাই কিংবা অজ্ঞতা বশত কিছু করে ফেলি।
সূরা বাকারা-২৮৬

ভূলে শিরকে পতিত হওয়ার পর বনি ইসরাঈলের এক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দিয়েছিলেন,

হযরত আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " كَانَ رَجُلٌ يُسْرِفُ عَلَى نَفْسِهِ فَلَمَّا حَضَرَهُ المَوْتُ قَالَ لِبَنِيهِ: إِذَا أَنَا مُتُّ فَأَحْرِقُونِي، ثُمَّ اطْحَنُونِي، ثُمَّ ذَرُّونِي فِي الرِّيحِ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَدَرَ عَلَيَّ رَبِّي لَيُعَذِّبَنِّي عَذَابًا مَا عَذَّبَهُ أَحَدًا، فَلَمَّا مَاتَ فُعِلَ بِهِ ذَلِكَ، فَأَمَرَ اللَّهُ الأَرْضَ فَقَالَ: اجْمَعِي مَا فِيكِ مِنْهُ، فَفَعَلَتْ، فَإِذَا هُوَ قَائِمٌ، فَقَالَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟ قَالَ: يَا رَبِّ خَشْيَتُكَ، فَغَفَرَ لَهُ " وَقَالَ غَيْرُهُ: «مَخَافَتُكَ يَا رَبِّ»

তিনি বলেন, পূর্বযুগে এক লোক তার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছিল। যখন তার মৃত্যুকাল ঘনিয়ে এলো, সে তার পুত্রদেরকে বলল, মৃত্যুর পর আমার দেহ হাড় গোশতসহ পুড়িয়ে ছাই করে নিও এবং প্রবল বাতাসে উড়িয়ে দিও। আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহ্ আমাকে ধরে ফেলেন, তবে তিনি আমাকে এমন কঠিনতম শাস্তি দিবেন যা অন্য কাউকেও দেননি। যখন তার মওত হল, তার সঙ্গে সে ভাবেই করা হল। অতঃপর আল্লাহ্ যমীনকে আদেশ করলেন, তোমার মাঝে ঐ ব্যক্তির যা আছে জমা করে দাও। যমীন তা করে দিল। এ ব্যক্তি তখনই দাঁড়িয়ে গেল। আল্লাহ্ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিসে তোমাকে এ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করল? সে বলল, হে, প্রতিপালক তোমার ভয়। অতঃপর তাকে ক্ষমা করা হলো। অন্য রাবী مَخَافَتُكَ  স্থলে خَشْيَتُكَ  বলেছেন।(সহীহ বুখারী-৩৪৮১)
(৭৫০৬, মুসলিম ৪৯/৪ হাঃ ২৭৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩২)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে তওবা করতে হবে।
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 
বৈবাহিক সম্পর্কে ছিন্ন হয়ে যাবেনা।

(০২)
এখানে ওযর বিল জাহালত গ্রহনযোগ্য হবে।

(০৩)
না,এক্ষেত্রে সকলকে সমান না দিলে সমস্যা হবেনা।

(০৪)
না,উক্ত প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 
বিবাহ নবায়ন করতে হবেনা।

(০৬)
পেট ভরে ভাত খাওয়ার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।  আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৭)
এক্ষেত্রে মনে মনে প্রশান্তি লাভ করায় আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।  আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৮)
আপনার এভাবে কথা বলায় আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।  আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 143 views
...