জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মুমিনের ভরসা থাকবে আল্লাহর উপর। কিন্তু এর অর্থ কর্ম পরিত্যাগ করা নয়। সূরা জুমুআর প্রসিদ্ধ আয়াত এর উপর দলিলঃ-
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ
(তরজমা) সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে। ... (সূরা জুমুআ ৬২ : ১০)
আল্লাহ তাআলাই আদেশ করেছেন তাওয়াক্কুল করার, আল্লাহর উপর ভরসা রাখার, আবার তিনিই আদেশ করেছেন, নামায শেষে ভূপৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ার, আল্লাহর ফযল অন্বেষণ করার।
এর তাৎপর্য হল মানুষ তার সাধ্য অনুযায়ী কাজ করবে, কিন্তু ঈমান থাকবে আল্লাহর ফয়সালার উপর। আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্ম ও উপকরণের মাঝে, কিন্তু অন্তর আল্লাহর সাথে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে কর্ম করছি আর অন্তরে ভরসা আল্লাহর উপর পোষণ করছি।
হাদীস শরীফে আছে-
الكيس من دان نفسه وعمل لما بعد الموت، والعاجز من اتبع نفسه هواها وتمنى على الله.
বিচক্ষণ ঐ ব্যক্তি যে নিজের কর্মের হিসাব নেয় এবং মৃত্যুর পরের জন্য আমল করে। পক্ষান্তরে অক্ষম ঐ ব্যক্তি যে নিজেকে প্রবৃত্তির অনুসারী করে আর আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে অলীক আশা পোষণ করে। (জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৪৫৯; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৪২৬০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তার এ কথায় ঈমান নষ্ট হবেনা।
(০২)
এক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট লজ্জিত অনুতপ্ত হয়ে খালেস দিলে তওবা করতে হবে।
ভবিষ্যতে আর এহেন কাজ না করার উপর আল্লাহর কাছে ওয়াদা করতে হবে।
এতে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন,ইনশাআল্লাহ।