ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
প্রত্যেক নবী ও রাসূলের মাসুমিয়াত বা নিষ্পাপ হওয়ার বিষয়টি মহান আল্লাহপাক সুস্পষ্টভাবে আল কোরআনে বিবৃত করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে :
তিনি ছিলেন অঙ্গীকারে সত্যাশ্রয়ী, তিনি ছিলেন রাসূল-নবী। (সূরা মারইয়াম : ৫৪)।
আমরা তোমাদের নিকট সত্য নিয়ে এসেছি এবং আমরা অবশ্যই সত্যবাদী। (সূরা আল হিজর : ৬৪)।
আমি তোমাদের হিতাকাক্সক্ষী, বিশ্বস্ত। (সূরা আল আ’রাফ : ৬৮)
সমস্ত নবী রাসুল নিষ্পাপ। এটি কোরআন, হাদিস, উম্মতের ঐকমত্য সিদ্ধান্ত ও অকাট্য যুক্তির আলোকে প্রমাণিত। তবে কিছু আয়াতে যে নবীদের তাওবা, ইস্তেগফার কবুল করা সংক্রান্ত এসেছে,তার মানে হলো বৈধতার সীমায় অবস্থান করে নবীরা যদি নিজস্ব ইজতিহাদ বা চিন্তার ভিত্তিতে কোনো অনুত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, আল্লাহ তাআলা সেটিও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। সব নবী ও রাসুল নিষ্পাপ ছিলেন। কোনো নবীকে গুনাহগার বা কোনো কাজে আল্লাহর অবাধ্য মনে করলে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে।
কাজি আয়াজ (রহ.) লিখেছেন : নবীগণ মাসুম তথা নিষ্পাপ হওয়ার বিষয়ে গোটা মুসলিম উম্মাহ ঐকমত্য রয়েছে।
,
নবি রাসুল দের নিষ্পাপ হওয়া সংক্রান্ত জানুনঃ
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এখন তার ঈমানের সমস্যা নেই।
তার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে তাকে তওবা করতে হবে।
(০২)
না,এতে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
বিবাহিত হলে বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৩)
তিনি যদি "নবীগন গুনাহ করেছেন" এমন কথা মুখেও না বলে ও বিশ্বাসও না করে,তাহলে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এখন তার ঈমানের সমস্যা নেই।
তার বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে তাকে তওবা করতে হবে।
(০৫)
উপরের প্রশ্ন গুলো লিখতে কোন ভূল হয়নি।
এর কারনে ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৬)
হ্যাঁ, এটি ওযর বিল জাহালত বলে গন্য হবে।