আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
ওযু বা ফরয গোসলের ওযুর সময় মাথা মাসেহ একবার-এর বেশি করলে কি ওযু বা ফরজ গোসলের কোনো সমস্যা হবে?

ওযু করতে গেলে অনেকসময় মাথা মাসেহ করতে যেয়ে ভুল হয় (মানে আমার মনে হয় সঠিক হয় নি) আবার মাসেহ করি। এক্ষেত্রে কি ওযু ক্ষতিগ্রস্ত হবে?

আরেকটা প্রশ্ন জনাব।

ফরয গোসল এর সময় মগ দিয়ে মাথায় পানি ঢালি। এখন মনে হচ্ছে চুলের গোড়ায় পানি হয়তো সম্পূর্ণ পৌঁছায় নি, কেননা আমি হাত দিয়ে চুল নাড়ায় নি পানি ঢালার সময়। এক্ষেত্রে আমার গোসল কি আবার করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ۚ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং মাথা মাসেহ করো এবং পদযুগল গিটসহ ধৌত করো। সূরা মায়েদাহ, আয়াত নং-৬

হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ تَوَضَّأَ فَغَسَلَ وَجْهَهُ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَمَضْمَضَ بِهَا وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَجَعَلَ بِهَا هَكَذَا، أَضَافَهَا إِلَى يَدِهِ الأُخْرَى، فَغَسَلَ بِهِمَا وَجْهَهُ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُمْنَى، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُسْرَى، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ فَرَشَّ عَلَى رِجْلِهِ الْيُمْنَى حَتَّى غَسَلَهَا، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً أُخْرَى، فَغَسَلَ بِهَا رِجْلَهُ ـ يَعْنِي الْيُسْرَى ـ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ.
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল ধুলেন। এক আঁজলা পানি দিয়ে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে এরূপ করলেন অর্থাৎ আরেক হাতের সাথে মিলিয়ে মুখমণ্ডল ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান হাত ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে বাম হাত ধুলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান পায়ের উপর ঢেলে দিয়ে তা ধুয়ে ফেললেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে বাম পা ধুলেন। তারপর বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এভাবে উযূ করতে দেখেছি। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৪২

ওযুর ফরজ চারটি:
১. সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা।
২. দুইয়ের হাতের কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।
৩. মাথার চারভাগের এক ভাগ মাসেহ করা।
৪. পদযুগল গিটসহ ধৌত করা।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১, অযুতে মাথার চারভাগের এক ভাগ মাসেহ করা ফরজ। আর একবার পুরো মাথা মাসেহ করা সুন্নাহ৷ তবে কোনো কারণ বশত একবারের বেশী মাসেহ করলে এতে অযু বা গোসলের কোনো সমস্যা হবে না৷ কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই এমনটা করা মাকরূহ৷

২, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি মাথায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ঢালা হয় তাহলে আশা করা যায় চুলের গোড়াতেও পানি পৌছে গিয়েছে৷ তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে গোসল হয়ে গিয়েছে বলে ধরে নিবেন৷ তবে পরবর্তীতে ফরজ গোসল করার সময় হাত দিয়ে চুলে পানি পৌছে দিবেন৷ কারণ শরীরের কোথাও চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনা থাকলে ফরজ গোসল হবে না৷
আরো বিস্তারিত জানুন- ifatwa.info/26130/  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...