বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ۚ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং মাথা মাসেহ করো এবং পদযুগল গিটসহ ধৌত করো। সূরা মায়েদাহ, আয়াত নং-৬
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ تَوَضَّأَ فَغَسَلَ وَجْهَهُ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَمَضْمَضَ بِهَا وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَجَعَلَ بِهَا هَكَذَا، أَضَافَهَا إِلَى يَدِهِ الأُخْرَى، فَغَسَلَ بِهِمَا وَجْهَهُ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُمْنَى، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُسْرَى، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ فَرَشَّ عَلَى رِجْلِهِ الْيُمْنَى حَتَّى غَسَلَهَا، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً أُخْرَى، فَغَسَلَ بِهَا رِجْلَهُ ـ يَعْنِي الْيُسْرَى ـ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ.
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল ধুলেন। এক আঁজলা পানি দিয়ে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে এরূপ করলেন অর্থাৎ আরেক হাতের সাথে মিলিয়ে মুখমণ্ডল ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান হাত ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে বাম হাত ধুলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান পায়ের উপর ঢেলে দিয়ে তা ধুয়ে ফেললেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে বাম পা ধুলেন। তারপর বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এভাবে উযূ করতে দেখেছি। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৪২
ওযুর ফরজ চারটি:
১. সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা।
২. দুইয়ের হাতের কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।
৩. মাথার চারভাগের এক ভাগ মাসেহ করা।
৪. পদযুগল গিটসহ ধৌত করা।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১, অযুতে মাথার চারভাগের এক ভাগ মাসেহ করা ফরজ। আর একবার পুরো মাথা মাসেহ করা সুন্নাহ৷ তবে কোনো কারণ বশত একবারের বেশী মাসেহ করলে এতে অযু বা গোসলের কোনো সমস্যা হবে না৷ কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই এমনটা করা মাকরূহ৷
২, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি মাথায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ঢালা হয় তাহলে আশা করা যায় চুলের গোড়াতেও পানি পৌছে গিয়েছে৷ তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে গোসল হয়ে গিয়েছে বলে ধরে নিবেন৷ তবে পরবর্তীতে ফরজ গোসল করার সময় হাত দিয়ে চুলে পানি পৌছে দিবেন৷ কারণ শরীরের কোথাও চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনা থাকলে ফরজ গোসল হবে না৷
আরো বিস্তারিত জানুন- ifatwa.info/26130/