ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ
আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
فَذَٰلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ
সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ
এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ
যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।(সূরা মাউন)
ইবনে কাসির রাহ উক্ত আয়াতের ব্যখ্যায় বলেন,
وقوله : ( ويمنعون الماعون ) أي : لا أحسنوا عبادة ربهم ، ولا أحسنوا إلى خلقه حتى ولا بإعارة ما ينتفع به ويستعان به ، مع بقاء عينه ورجوعه إليهم-
অর্থাৎ যারা আল্লাহর বান্দাদের প্রতি এহসান করেনা, আল্লাহর সৃষ্ট জীবের প্রতি অনুগ্রহ করে না, বিশেষ করে কোনো জিনিষকে হুবহু ফিরিয়ে দেয়ার শর্তে আরিয়ত তথা উক্ত জিনিষ দ্বারা ফায়দা গ্রহণের জন্য কারো নিকট আবেদন করলে, সেই জিনিষ দেয়ার সামর্থ্য থাকাসত্বেও সে তা দেয়না, তাদের জন্য দুর্ভোগ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"মানুষকে কোন জিনিস দিলে ঠিক মত টেক কেয়ার করে না। ফেরত দিতে দেরি করে। জিনিসের যত্ন করে না।"
এমন কথা বলার কারণে বা মনোভাব পোষণের কারণে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। বিবাহেও কোনো সমস্যা হবে না। কেননা কুরআনের আয়াতের ব্যখ্যা হচ্ছে, কানো জিনিষ নেয়ার পর যত্নসহকারে ফিরিয়ে দেয়া। সুতরাং কেউ কারো কোনো জিনিষ নেয়ার পর যত্নসহকারে ফিরিয়ে না দিলে, তাকে ঐ জিনিষ না দিলে, তখন কুরআনের ধমকির সম্মুখীন ঐ ব্যক্তি হবে না।