আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন শায়েখের একটি   ভিডিও তে দেখেছিলাম যে, ইমাম আবু ইউসুফ (রহ) তার বইতে লিখেছেন যে, কেউ যদি রাসুল সাঃ এর হাদিস বর্ননা করে যে, রাসুল সাঃ লাউ খেতে পছন্দ করতেন। তখন কেউ যদি সাথে সাথে বলে যে আমি লাউ খেতে পছন্দ করি না। তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
তো আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তখন আমরা সুরা মাঊন এর শেষ আয়াত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। সুরা মাঊন এর শেষ আয়াতের বাংলা অনুবাদ হল-  এবং ছোট-খাট গৃহসামগ্রী* দানে নিষেধ করে।

তখন আমি উপোরক্ত আয়াতের বাংলা অনুবাদ সম্পর্কে আমার বন্ধুর সাথে কথা বলার সময় আমি বলি যে এখন মানুষকে কোন জিনিস দিলে ঠিক মত টেক কেয়ার করে না। ফেরত দিতে দেরি করে। জিনিসের যত্ন করে না।
১.আমি ওভাবে কথাটা বলার কারনে এটা কি ইমাম আবু ইউসুফ (রহ) তার বইতে যেভাবে  বর্ননা করেছেন তার মত হল।      
২. ওভাবে বলার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৩.আমি বুঝতে পারার পর ইস্তিগফার পড়ি।আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি?

৪.আমার আয়াতের বাংলা অনুবাদ লিখতে বা প্রশ্নগুলো লিখতে কোন ভূল হল নাকি?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ
আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
فَذَٰلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ
সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ
এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ

যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ

এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।(সূরা মাউন)


ইবনে কাসির রাহ উক্ত আয়াতের ব্যখ্যায় বলেন,
وقوله : ( ويمنعون الماعون ) أي : لا أحسنوا عبادة ربهم ، ولا أحسنوا إلى خلقه حتى ولا بإعارة ما ينتفع به ويستعان به ، مع بقاء عينه ورجوعه إليهم-
অর্থাৎ যারা আল্লাহর বান্দাদের প্রতি এহসান করেনা, আল্লাহর সৃষ্ট জীবের প্রতি অনুগ্রহ করে না, বিশেষ করে কোনো জিনিষকে হুবহু ফিরিয়ে দেয়ার শর্তে আরিয়ত তথা উক্ত জিনিষ দ্বারা ফায়দা গ্রহণের জন্য কারো নিকট আবেদন করলে, সেই জিনিষ দেয়ার সামর্থ্য থাকাসত্বেও সে তা দেয়না, তাদের জন্য দুর্ভোগ।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"মানুষকে কোন জিনিস দিলে ঠিক মত টেক কেয়ার করে না। ফেরত দিতে দেরি করে। জিনিসের যত্ন করে না।"

এমন কথা বলার কারণে বা মনোভাব পোষণের কারণে  ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। বিবাহেও কোনো সমস্যা হবে না। কেননা কুরআনের আয়াতের ব্যখ্যা হচ্ছে, কানো জিনিষ নেয়ার পর যত্নসহকারে ফিরিয়ে দেয়া।  সুতরাং কেউ কারো কোনো জিনিষ নেয়ার পর যত্নসহকারে ফিরিয়ে না দিলে, তাকে ঐ জিনিষ না দিলে, তখন কুরআনের ধমকির সম্মুখীন ঐ ব্যক্তি হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...