আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর, দয়া করে উত্তরটি জানাবেন,

হুজুর বিয়ের আগে যদি কোনো পুরুষ যাকে বিয়ে করবে তাকে যদি বলে যে, বিয়ের পর কখনো সহবাস করবে না।(অন্য কোনো খারাপ নিয়ত ছিল না) কিন্তু পরে তাদের বিয়ে হয়। আর বিয়ের পর এক সপ্তাহ সেই স্বামী তার স্ত্রীর কাছে ছিল। এই সময় সেই স্ত্রী কিছুটা অসুস্থ ছিল আর নিজের বাবার বাড়িতে থাকার কারণে লজ্জায় তারা শারীরিক সম্পর্ক ইচ্ছে থাকা সত্বেও করতে পারেনি, কিন্তু সহবাস বাদে সবরকমের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত পার করেছে, ঘনিষ্ঠ হয়েছে। উল্লেখ্য যে, স্বামী স্ত্রী কেউই ইলার বিষয়ে কিছুই জানতো না। এরপর এক সপ্তাহ পর স্বামী তার বাড়িতে চলে যায়। পাঁচ মাসের মধ্যে স্বামী আর স্ত্রীর বাড়িতে করোনা কালীন লকডাউন আর আর্থিক সমস্যার কারণে আসতে পারেনি। পাঁচ মাস পর আবার আসে। এই পাঁচ মাসের মধ্যে মোবাইলে তারা অন্তরঙ্গ কথাবার্তা নিয়মিত বলতো। কিন্তু ইলা কি বা এই বিষয়ে তারা কিছুই জানতো না বা কখনো শোনেনি।
তাদের মধ্যে কি এজন্য কোনো সমস্যা হয়েছে? যদি জানাতেন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

وَ اِنۡ عَزَمُوا الطَّلَاقَ فَاِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۲۷﴾

আর যদি তারা তালাক দেয়ার সংকল্প করে তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(সুরা বাকারা ২২৭)

অর্থাৎ যদি কেহ যদি কসম খেয়ে বলে যে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করব না, তবে তার চারটি দিক রয়েছে, প্রথমতঃ কোন সময় নির্ধারণ করল না। দ্বিতীয়তঃ চার মাস সময়ের শর্ত রাখল। তৃতীয়তঃ চার মাসের বেশী সময়ের শর্ত আরোপ করল। চতুর্থতঃ চার মাসের কম সময়ের শর্ত রাখল। বস্তুতঃ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিকগুলোকে শরীআতে ‘ঈলা’ বলা হয়। আর তার বিধান হচ্ছে, যদি চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙ্গে স্ত্রীর কাছে চলে আসে, তাহলে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে, কিন্তু বিয়ে যথাস্থানে বহাল থাকবে। পক্ষান্তরে যদি চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কসম না ভাঙ্গে, তাহলে সে স্ত্রীর উপর ‘তালাকে-কাতায়ী’ বা নিশ্চিত তালাক পতিত হবে। অর্থাৎ পুনঃর্বার বিয়ে ছাড়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া জায়েয থাকবে না। অবশ্য চতুর্থ অবস্থায় নির্দেশ হচ্ছে এই যে, যদি কসম ভঙ্গ করে, তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে কসম পূর্ণ করলেও বিয়ে যথাযথ অটুট থাকবে। [মা'আরিফুল কুরআন থেকে সংক্ষেপিত]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এর জন্য প্রশ্নে উল্লেখিত দম্পতির মাঝে কোনো সমস্যা হয়নি।
তারা শারীরিক সম্পর্ক করতে পারবে,কোনো সমস্যা নেই। কোনো কাফফারা দিতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
মুফতী ওলি উল্লাহ হুজুর, তার মানে কি বিয়ের করার আগে স্ত্রীর সাথে সহবাস না করার বিষয়ে কসম খেয়ে থাকলে সেটা ধরা হবে না??? 
by (4 points)
কসম করেছিল এটা উল্লেখ করতে মনে ছিল না হুজুর। দয়া করে একটু জানান হুজুর
by (682,440 points)
এক্ষেত্রে সহবাস করলে কসম ভঙ্গের কাফফারা আদায় করতে হবে। 
by (4 points)
মুফতী ওলি উল্লাহ হুজুর, তার মানে কি কসম করার পরও উপরে উল্লেখিত স্বামী স্ত্রী চার মাসের মধ্যে সহবাস করতে না পারায় সমস্যা হয়নি? (যদিও মোবাইলে রোজ অন্তরঙ্গ সময় কাটাতো)
দয়া করে দয়া করে একটু কষ্ট করে জানাবেন হুজুর। 
উক্ত স্বামী স্ত্রী ইলার বিষয়ে জানতো না হুজুর। 
by (4 points)
হুজুর দয়া করে প্রশ্নে উল্লেখিত স্বামী স্ত্রীর সমস্যা, অবস্থা, ইলা সম্পর্কে না জানা এগুলো বিবেচনা করে উত্তর টা জানাবেন।
by (682,440 points)
প্রশ্নে উল্লেখিত দম্পতির মাঝে কোনো সমস্যা হয়নি। ঈলা হয়নি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...