ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শরীয়তে যেসব ক্ষেত্রে লেনদেন বৈধ হওয়ার জন্য সাক্ষ্যকে শর্ত করা হয়েছে,সেক্ষেত্রে সাক্ষীগণের একসাথে সবার শোনা শর্ত।
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে....
(ومنها) سماع الشاهدين كلامهما معا هكذا في فتح القدير فلا ينعقد بشهادة نائمين إذا لم يسمعا كلام العاقدين،
দুনু সাক্ষীকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইজাব-কবুল শুনতে হবে,(ফাতহুল ক্বাদীর)সুতরাং না শুনার ধরুণ ঘুমন্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা বিবাহ সংগঠিত হবে না।(১/২৬৮;)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2679
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
পূর্বের বিয়ে সহীহ ছিল কি না? সেই সন্দেহের ভিত্তিতে যেহেতু আপনারা বিয়েকে দোহড়িয়েছেন, তাই এই দোহড়ানো বিশুদ্ধ হয়েছে। পূর্বের বিবাহ নিয়ে সন্দেহ থাকার দরুণই তো আপনি বিয়েকে দোহড়িয়েছেন, তাই পূর্বের বিয়ে সহীহ না হলে দ্বিতীয় বিয়ের দ্বারা আপনারা একে অন্যর জন্য হালাল হবেন।
(২)
স্বামীর অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না।
(৩)
একবার তো দোহড়িয়েছেন।বারংবার দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
