ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوَسِ ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ، قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ
- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।
বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রশ্নে বর্ণিত কথোপকথন দ্বারা তালাকের কোনো প্রশ্নই আসেনা।
(২)
স্বামি স্ত্রীর ঝগড়ার সময় স্বামি যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য ব্যবহার করে অর্থাৎ রাগের মাথায় কিংবা শাসনের উদ্দেশ্যে তাহলে তালাক পতিত হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1049
(৩)
স্ত্রীর তালাকের আবেদন চাওয়ার সময় যদি স্বামী এমন কেনায়া বাক্য উচ্ছারণ করে, যা তালাক বুঝায়,তাহলে নিয়ত ব্যতিত তালাক হবে। তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
কোন কোন বাক্য তালাকের আবেদন চাওয়াকে বুঝায় ?
এগুলো সু- নির্ধারিত ভাবে বলা যাবে না। বরং মূলনীতি আকারে বলা যাবে,
তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাক শব্দ দ্বারা তালাক পতিত হবে,তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং আকেদনকে রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
স্পষ্ট করলে ভালো হতো। এক্ষেত্রে কি তালাকের নিয়ত না থাকলে ও তালাক হবে ।
স্বামী রাগের মাথায় বা স্ত্রীকে শাসন করার উদ্দেশ্যে বললেও তালাক হবে যদি তালাকের আবেদনের মুহূর্তে বলা হয়।