আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
আমি নেট থেকে জেনেছি যে, আল্লাহর থেকে অন্য কাউকে বা কোনো কিছুকে বেশি ভালোবাসলে তা শিরক হিসেবে ধরা হবে।  আমি যদি একটা হারাম কাজ করতে পছন্দ করি, তাহলে তা গুনাহ হবে মানলাম। কিন্তু তা কি শিরক হিসেবে ধরা হবে? কারণ এতে তো আমি আল্লাহ পাক থেকে অন্য কিছু কে বেশি গুরুত্ব দিলাম, যেটা তে আল্লাহর নিশেধাজ্ঞা আছে।

1 Answer

0 votes
by (710,960 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কবিরা গোনাহ করলে কেউ কাফির হয় না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2260

কবিরা গোনাহ করলে কি মানুষ মুসলমান থাকবে?এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/786

সে সমস্ত হাদীসে কবিরা গোনাহ করলে কাফির হওয়ার কথা বর্ণিত রয়েছে,সে সব হাদীসের ব্যখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/779

আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বড় দশটি আকিদার একটি আকিদা হল,মানুষ কবিরা গোনাহে লিপ্ত হলে সে গোনাহগার হবে তবে কাফির হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1402

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইবাদতের যোগ্য ও উপযুক্ত একমাত্র আল্লাহ তা'আলা। অন্য কাউকে ইকাদতের উপযুক্ত মনে করা শিরক। সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহ তা'আলার।আল্লাহ তা'আলাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা,খালিক ও মালিক এবং পালনকর্তা।সবকিছুই তার হুকুমে চলে।এক্ষেত্রে অন্যকে শরীক মনে করা শিরক। তবে আল্লাহকে স্বীকার করার সাথে সাথে কোনো গোনাহের প্রতি মহব্বত থাকার কারণে কেউ কাফির হবে না।হ্যা, তার কবিরাহ গোনাহ হবে।

সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো গোনাহের কাজকে পছন্দ করার কারণে কবিরা গোনাহ হবে।তবে এজন্য কারো ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (710,960 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...