ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার হায়েয যদি ১০ দিনের ভিতর বন্ধ হয়, তারপর আবার আবার শুরু হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আবার ফরয গোসল করতে হবে। কিন্তু যদি ১০ দিনের পর হায়েয বন্ধ হয়, তারপর আবার শুরু হয়, তাহলে আর ফরয গোসল করতে হবে না।
(২)
নবজাতক বাচ্চাকে গোসল করানোর পূর্বে তেল মাখানো হয়। বাচ্চাদের তো সবসময়ই প্রস্রাবের কাঁথা পাল্টানো হয়, কিন্তু শরীর তো পানি দিয়ে ধোঁয়া হয় না।তাই শরীর নাপাকই থাকবে।
(ক)
এক্ষেত্রে তেল মাখানো হলে তো ওই শরীরের নাপাকীও তেলে মেখে তৈলাক্ত হয়ে যাবে।
(খ)
আর এই অবস্থায় বড় গামলাতে গোসল করানো হলে ওই পানিও নাপাক হয়ে যাবে। এজন্য প্রথমে দুইবার শরীরকে ধৌত করে তৃতীয়বার বড় গামলাতে সন্তানকে ধৌত করাতে হবে।
(গ)
যদি তিনবার ধৌত করা না হয়, তাহলে ঐ পানি থেকে যখন বাচ্চাকে গোসল শেষ করিয়ে উঠানো হয় তখনও বাচ্চার শরীর নাপাক থাকে।
(ঘ)
আপনার হাতকে যদি তিনবার ধৌত করেন, তাহলে আপনার তেলতেলে হাত নাপাক হবে না। হাতে তৈলাক্ত ভাব থাকার পরও হাতকে পাকপবিত্র মনে করা হবে।তবে তিনবার ধৌত করা না হলে, হাত অপবিত্র থাকবে।
(৩)
প্রথম বৈঠক হোক বা দ্বিতীয় বৈঠক, সর্বদা কোলের দিকেই দৃষ্টি দিতে হবে।আর কিয়াম অবস্থায় সিজদার স্থানের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।