ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এক্ষেত্রে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
(০২)
ছেলেদের বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হবার মূল নিদর্শন বীর্যস্খলন হওয়া। এটির প্রকাশক অনেক কিছুই হতে পারে। যেমন
১
সেটি স্বপ্নদোষের মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে।
২
ছেলেদের দাড়ি গোফ উঠা ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে।
যদি নিদর্শন বুঝা না যায়,তাহলে বয়স হিসেবে বালেগ হওয়া নির্ধারণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কত বছর বয়সে ছেলেদের বাল্গ ধরা হবে,সেই বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের মত বিরোধ রয়েছে।
প্রাধান্য পাওয়া বক্তব্য হল, বালেগ হবার উপরোক্ত আলামতগুলো যদি কোন ছেলে বা মেয়ের মাঝে প্রকাশিত না হয়, তাহলে সন্তানের বয়স পনের বছর হলেই উক্ত ছেলে মেয়ে বালেগ হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عن ابن عمر رضي الله عنهما أنه عُرِض على النبي صلى الله عليه وسلم يوم أُحدٍ وله أربع عشرة سنة فلم يُجِزْه، وعُرِض عليه يوم الخندق وله خمس عشرة سنة فأجازه.
ইবনে উমর রাঃ উহুদের জিহাদে অংশ নেবার অনুমতি চাইলেন, তখন তার বয়স ছিল চৌদ্দ বছর। রাসূল সাঃ তাকে অনুমতি প্রদান করেননি। কিন্তু খন্দকের জিহাদের অংশ নিতে অনুমতি চাইলে অনুমতি দেয়া হয়, তখন তার বয়স ছিল পনের বছর। [আলআহাদ ওয়ালমাছানী, হাদীস নং-৭৪৬]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বালকের যদি স্বপ্নদোষ না হয়,আর বয়স যদি ১৫ বছরের কম হয়,সেক্ষেত্রে সে এখনো বালেগ হয়নি।
(০৩)
যৌনতা মূলক গল্প না হলে ও ইসলামী আকীদা বিরোধী না হলে সেই গল্প পড়া যাবে।
এক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়তে হারাম, নিষিদ্ধ, গর্হিত—এ ধরনের কোনো বিষয় যদি সেখানে এসে যায়, তাহলে সেটাও নিষিদ্ধ হবে। যেমন শিরক শিক্ষা দিচ্ছে, যৌনতার শিক্ষা দিচ্ছে, মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষা দিচ্ছে, যদি এমনি কিছু সেখানে থাকে, তাহলে সেগুলো পড়বেন না।
আরো জানুনঃ
(০৪)
এভাবে কটাক্ষ করা জায়েজ নয়।
(০৫)
তাদের দাবী যদি হক না হয়,আর আপনার দাবিই যদি হক হয়,সেক্ষেত্রে এমনটি সুযোগ রয়েছে।
তবে তারা কষ্ট পেলে এটি জায়েজ হবেনা।
(০৬)
না,যাবেনা।
(০৭)
না,জায়েজ নেই।
(০৮)
আপনি এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের/আইনি সহায়তা নিতে পারেন।
কেননা এক্ষেত্রে আপনি আক্রমণ করতে গেলে জুলুম হওয়ার শংকাই বেশি।
(০৯)
হ্যাঁ, যাবে।