আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হব।

১.তাশাহুদে ওয়া আলা ঈবাদিল্লাহিসসলিহিন না পড়ে যদি ঈবাদিল্লাহি সলিহিন পড়ি তাহলে নামাজে কোন সমস্যা হবে?

২.যদি কোন বালকের শুধু মজি বের হয় কিন্তু বির্য বের হয় না সে কি বালেগ বলে গণ্য হবে?

৩.ফেসবুকে অনেক গুলো গল্প আছে। যেগুলো অশ্লীল নয়। কিন্তু গল্পে থাকা অনেক বিষয় ইসলাম সমর্থন করে না। সেগুলো দেখা কি যায়েজ হবে?

৪.ফেসবুকে কারো সাথে তর্ক করার সময় তাচ্ছিল্য করে করা বলা যাবে? যেমন: বেশি বুঝার জন্য কাউকে মুফতি সাব বলে  কটাক্ষ করা ।

৫.মা-বাবার সাথে ভদ্র ভাষায় তর্ক করা যাবে কি?

৬.দুষ্টামি করে গালি দেওয়া যাবে?

৭.কেউ যদি আমার মা তুলে গালি দেয় তার উপর আক্রমণ করা কি জায়েজ?

৮.আমাদের স্কুলে কিছু ছেলে মস্তানি করে বেঞ্চ দখল করে।আমি যদি প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে তাদের উপর আক্রমণ করি তা কি জায়েয হবে?

৯.পড়াশোনার কোন ক্ষতি না হলে পড়াশোনার মাঝে ব্যায়াম করা যাবে?


জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এক্ষেত্রে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
ছেলেদের বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হবার মূল নিদর্শন বীর্যস্খলন হওয়া। এটির প্রকাশক অনেক কিছুই হতে পারে। যেমন
সেটি স্বপ্নদোষের মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে।

ছেলেদের দাড়ি গোফ উঠা  ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে।

যদি নিদর্শন বুঝা না যায়,তাহলে বয়স হিসেবে বালেগ হওয়া নির্ধারণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে কত বছর বয়সে ছেলেদের বাল্গ ধরা হবে,সেই বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের মত বিরোধ রয়েছে। 

প্রাধান্য পাওয়া বক্তব্য হল, বালেগ হবার উপরোক্ত আলামতগুলো যদি কোন ছেলে বা মেয়ের মাঝে প্রকাশিত না হয়, তাহলে সন্তানের বয়স পনের বছর হলেই উক্ত ছেলে মেয়ে বালেগ হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن ابن عمر رضي الله عنهما أنه عُرِض على النبي صلى الله عليه وسلم يوم أُحدٍ وله أربع عشرة سنة فلم يُجِزْه، وعُرِض عليه يوم الخندق وله خمس عشرة سنة فأجازه.

ইবনে উমর রাঃ উহুদের জিহাদে অংশ নেবার অনুমতি চাইলেন, তখন তার বয়স ছিল চৌদ্দ বছর। রাসূল সাঃ তাকে অনুমতি প্রদান করেননি। কিন্তু খন্দকের জিহাদের অংশ নিতে অনুমতি চাইলে অনুমতি দেয়া হয়, তখন তার বয়স ছিল পনের বছর। [আলআহাদ ওয়ালমাছানী, হাদীস নং-৭৪৬]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বালকের যদি স্বপ্নদোষ না হয়,আর বয়স যদি ১৫ বছরের কম হয়,সেক্ষেত্রে সে এখনো বালেগ হয়নি।

(০৩)
যৌনতা মূলক গল্প না হলে ও ইসলামী আকীদা বিরোধী না হলে সেই গল্প পড়া যাবে।

এক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়তে হারাম, নিষিদ্ধ, গর্হিত—এ ধরনের কোনো বিষয় যদি সেখানে এসে যায়, তাহলে সেটাও নিষিদ্ধ হবে। যেমন শিরক শিক্ষা দিচ্ছে, যৌনতার শিক্ষা দিচ্ছে, মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষা দিচ্ছে, যদি এমনি কিছু সেখানে থাকে, তাহলে সেগুলো পড়বেন না।

আরো জানুনঃ 

(০৪)
এভাবে কটাক্ষ করা জায়েজ নয়।

(০৫)
তাদের দাবী যদি হক না হয়,আর আপনার দাবিই যদি হক হয়,সেক্ষেত্রে এমনটি সুযোগ রয়েছে।

তবে তারা কষ্ট পেলে এটি জায়েজ হবেনা।

(০৬)
না,যাবেনা।

(০৭)
না,জায়েজ নেই।

(০৮)
আপনি এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের/আইনি সহায়তা নিতে পারেন।

কেননা এক্ষেত্রে আপনি আক্রমণ করতে গেলে জুলুম হওয়ার শংকাই বেশি।

(০৯)
হ্যাঁ, যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...