বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এইধরনের কথা বলা কুফুরি নয়।
এধরনের কথা বললে ঈমান চলে যায়না।
তবে এভাবে বলা অনুচিত।
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো ছবি যুক্ত ঘরে নামাজ পড়া মাকরুহ।
নামাযীর মাথার উপর সামনে ডানে, বায়ে এবং জুতোর মধ্যে এবং সিজদার স্থানে প্রাণীর ছবি থাকলে নামায মাকরূহ তাহরিমী হবে|
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن انس رضى الله تعالى عنه قال كان قر ام لعائشة سترت به جانب بيتها , فقال النبى صلى الله عليه وسلم اميطى عنى لا تزال تصاوير. تعرض لى فى صلاتى.
অর্থঃ হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত| তিনি বলেন, হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার একখানা (প্রাণীর ছবিযুক্ত) পর্দা ছিল, যা তিনি উনার ঘরের এক পাশে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন| হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, “হে হযরত ছিদ্দিকা আলাইহাস সালাম পর্দাটি আমার থেকে দূরে সরিয়ে নিন| কারণ এর ছবিগুলো নামাযে আমার দৃষ্টি ও মন আকৃষ্ট করে।” [ বুখারী শরীফ ২/ ৮৮১,ফাতহুল বারী ১০/ ৩৯১]
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার নামাজ হয়েছে।
কিন্তু এক্ষেত্রে ডান দিকে ছবি থাকায় আপনার নামাজ মাকরুহ হয়েছে।
তবে এতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হয়নি।
(০৩)
এভাবে বলা জায়েজ আছে।
কাহারো নাম কালাম রাখা যাবে।