জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বিড়ালের পেশাব নাপাক।
যদি কাপড়ে বা জায়নামাজে এক দেরহাম বা তার চেয়ে বেশি বিড়ালের পেশাব লেগে যায়,তাহলে সেই জায়নামাজে বা সেই কাপড়ে নামাজ আদায় করা নাজায়েজ।
নামাজের অন্যতম একটি শর্ত (ফরজ)হলো জায়গা পাক থাকা।
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَامَ أَعْرَابِيٌّ فَبَالَ فِي الْمَسْجِدِ فَتَنَاوَلَهُ النَّاسُ، فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم " دَعُوهُ وَهَرِيقُوا عَلَى بَوْلِهِ سَجْلاً مِنْ مَاءٍ، أَوْ ذَنُوبًا مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِينَ، وَلَمْ تُبْعَثُوا مُعَسِّرِينَ ".
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা জনৈক বেদুঈন দাঁড়িয়ে মসজিদে পেশা করল। তখন লোকেরা তাকে বাধা দিতে গেলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ তোমরা তাকে ছেড়ে দাও এবং ওর পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কারণ তোমাদেরকে কোমল ও সুন্দর আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়েছে, রূঢ় আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়নি। (বুখারী ২২০.৬১২৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২০)
,
তবে যদি বিড়ালের পেশাব না লাগে,তাহলে শুধুমাত্র বিড়ালের বসার দ্বারা কোনো জায়নামাজ, বা কাপড় নাপাক হয়না।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত জায়নামাজ, কাপড় পাক।
সেখানে নামাজ আদায় করতে কোনো সমস্যা নেই।
,
হ্যাঁ যদি বিড়ালের বসার পর সেখান থেকে বিড়ালের পেশাবের গন্ধ আসে,তাহলে সেখানে নামাজ পড়া জায়েয হবেনা।
বিড়াল এমন এক প্রানী,সে পেশাব করলে অবশ্যই গন্ধ বের হবে।
সুতরাং উক্ত জায়নামাজ, কাপড়ে পেশাব লেগে থাকার গন্ধ না পাওয়া গেলে উক্ত জায়নামা৷ কাপড়ে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।