কুরআনে ৫ টি আসমানি কিতাবের নাম উল্লেখ রয়েছেঃ-
১) তাওরাত (মূসা আলাইহিস সালাম এর উপর অবতীর্ণ)
وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ لَعَلَّهُمْ يَهْتَدُونَ
“আমি মুসাকে কিতাব (তাওরাত) দিয়েছিলাম যাতে তারা সৎপথ পায়।” (সূরা মুমিনূন: ৪৮)
২) যাবুর (দাউদ আলাইহিস সালাম এর উপর অবতীর্ণ)।
আল্লাহ তাআলা বলেন: وَآتَيْنَا دَاوُودَ زَبُورًا
“আর আমি দাউদকে দিয়েছি যাবুর।” (সূরা ইসরা: ৫৫)
৩) ইঞ্জিল (ঈসা আলাইহিস সালাম এর উপর অবতীর্ণ)
আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَقَفَّيْنَا عَلَىٰ آثَارِهِم بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ ۖ وَآتَيْنَاهُ الْإِنجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
“আমি তাদের পেছনে ঈসা ইবনে মরিয়মকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন কারী ছিলেন। আমি তাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়েত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন করে এবং এটি আল্লাহ ভীরুদের জন্যে হেদায়েত উপদেশ বানী।” (সূরা মায়িদা: ৪৬)
৪) আল কুরআন (শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি অবতীর্ণ)।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
نَزَّلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَنزَلَ التَّوْرَاةَ وَالْإِنجِيلَ – مِن قَبْلُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَأَنزَلَ الْفُرْقَانَ ۗ
“তিনি আপনার প্রতি কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাব সমুহের। নাযিল করেছেন তাওরাত ও ইঞ্জিল, এ কিতাবের পূর্বে, মানুষের হেদায়েতের জন্যে এবং অবতীর্ণ করেছেন ফুরকান [সত্য-মিথ্যা নিরূপণকারী গ্রন্থ আল কুরআন]।” (সূরা আলে ইমরান: ৩ ও ৪)
(০৫) এ ছাড়াও ইবরাহীম ও মুসা আলাইহিমাস সালাম এর উপর অবতীর্ণ সহিফা (ছোট ছোট পুস্তিকা) সমূহের প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করা আবশ্যক। এগুলোর সংখ্যা কুরআন-হাদিসে বর্ণিত হয় নি।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
إِنَّ هَـٰذَا لَفِي الصُّحُفِ الْأُولَىٰ -صُحُفِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَىٰ
“এটা লিখিত রয়েছে পূর্ববর্তী সহিফা (পুস্তিকা); ইব্রাহীম ও মুসার সহীফা (পুস্তিকা) সমূহে।” (সূরা আ’লা: ১৮ ও ১৯)
আসমানি কিতাব সর্বমোট কয়টি? এ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো কথা কুরআন হাদীসের কোথাও বর্ণিত হয়নি।
কুরআনে পাঁচটি কিতাবের কথা উল্লেখ রয়েছে।আসমানি কিতাব সম্পর্কে যে সংখ্যার কথা পাওয়া যায় যে,তার সংখ্যা ১০৪ টি।এই হাদীসের সনদ বিশুদ্ধ নয়।