আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (14 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ,
একটু দেখবেন দয়া করে,

১) https://ifatwa.info/56191/
এই লিংকের ১ নাম্বার প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসা রোগী তাই আমার কোন তা*** গ্রহনযোগ্য হবেনা। আমি পরিপূর্ণ সুস্থ হলে কে ঘোষনা করবে ? আমি নিজেই ঘোষনা করবো নাকি সাক্ষীর প্রয়োজন আছে ?

২)এখন আবার ঈমান নিয়ে বিভিন্ন চিন্তা মাথায় আসছে।অনেকদিন আগে  ঝগড়ার অবস্থায় আমার স্ত্রী নবীর একটা হাদিস এর কথা অথবা নবী (সা) নিয়ে কি যেন একটা বলেছিল সঠিক মনে নেই ।যেহেতু  ঝগড়ার সময় মাথা ঠিক ছিল না তখন না বুঝেই স্ত্রীকে মুখ ফসকে একটা গালি দিয়ে ফেলি  , "বা*লের কথা এখন বলতে আসছে " সম্ভবত এইটা বলেছি।স্ত্রী সম্ভবত আমাকে বলেছিলো ,তুমি নবীকে কি বললা? ! আমি বলেছি, আমি তোমাকে বলেছি( মানে স্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে দিয়েছি গালিটা) । কথোপকথন টা সঠিক ভাবে মনে নেই, মনে হয় এই কথাই বলেছিলাম তখন ,এখন  স্পষ্ট মনে নেই। হয়ত এই উদ্দেশ্যে বলেছিলাম যে এখন এই কথা টা কেন বলতে আসছো ঝগড়ার মাঝে ,এই টাইপের কিছু হবে সঠিক মনে পড়ছে না ।অনেক দিন আগের কথা প্রায় ২ বছর আগের কথা। এখন সন্দেহ হচ্ছে যেহতু আমি ওয়াসওয়াসার রোগী তাই সঠিকভাবে মনে করতে পারছিনা। আমি যদি জানতাম এমন কথা বললে আমার ঈমান চলে যাবে  , আমি জীবনেও এমন কথা মুখে আনতাম না এবং সাথে সাথে তাওবা করে ফেলতাম।। আমার নবীকে গালিতো দূরের কথা তাহার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে আমার সহ্য হয় না , আমি নবীকে উদ্দেশ্যে করে বলিনি ।স্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলা হয়েছিল গালিটা যে এখন কেন বলতে আসছে পরে বললেও হতো এটাই উদ্দেশ্য ছিলো আমার । আমার স্পষ্ট মনে পড়ছে না। হঠাত আজকে এই কথাটা মনে পড়লো। মনে পড়ার সাথে সাথেই তাওবা করে নিয়েছি আল্লাহর কাছে।
ঈমান কি ভেংগে গিয়েছিল তখন?

আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক কি আগের মতই বহাল আছে এখনো?

৩)ঈমান ভেংগে গেলে কি শুধু বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় নাকি তার সাথে  কোন তা** যোগ হয়ে যায়। মানে আগে যদি কেউ কোন  তা**  না দিয়ে থাকে তার স্ত্রীকে তাহলে কি এক তা**** হয়ে যাবে নাকি শুধু বিচ্ছেদ হয়ে যায় নতুন করে তা** যোগ হবে না শুধু বিয়ে করে নবায়ন করলে আবার ঠিক হয়ে যাবে ?

 এখন করনিয় কি ?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
আপনার মনের মধ্যে যদি আর এ সংক্রান্ত ওয়াসওয়াসা না আসে,তাহলে আপনি নিজেকে সুস্থ মনে করতে পারবেন।
সাক্ষীর প্রয়োজনীয়তা নেই।

(০২)
আল্লাহ,রাসুলুল্লাহ সাঃ ও শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে। 

(০৩)
শুধু বিবাহ বিচ্ছেদ হবে।
তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...