আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আজ ভার্সিটিতে গেলে স্যার রা জিজ্ঞেস করে কাদের বয়ফ্রেন্ড আছে? আমার বয়ফ্রেন্ড নেই সেটা তারা বিশ্বাস করে না।পরে আমি স্যারকে বলি স্যার এইটা হারাম এবং নাজায়েজ। তো বাসায়  এসে আমি ঘটনা টা আম্মুকে বলি।এবং আমি এইভাবে বলতেসিলাম যে আম্মু এখন বয়ফ্রেন্ড না থাকাটা আশ্চর্যের। আমার বয়ফ্রেন্ড নাই স্যার রা বিশ্বাস করে না আরও বলতেসিলাম যে আম্মু বেশির ভাগ মেয়ের ই বয়ফ্রেন্ড আছে।আর আম্মু ওরা এত ই(সুন্দর) ও না কিন্তু ওদের ও ববয়ফ্রেন্ড আছে। আল্লাহই জানে টাইম পাস করে নাকি।এমন করে কথাটা বলেছিলাম।মানে আমি বিষয় টা এইভাবে মাথায় এনে বলি যে সাধারণত যাদের বয়ফ্রেন্ড থাকে তারা একটু বেশি অন্যরকম হয় না মানে অনেক সুন্দরি রাই ত রিলেশন এ থাকে।
তো সুন্দর এর ব্যাপারটা আমি ঘুড়িয়ে পেচিয়া বলার আগেই আম্মু বলে ফেলে যে "এত সুন্দর ও না".।

তো কুরআনে ত একটা আয়াত আছে যে আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দর আকৃতিতে।তো আমি ত আয়াত জানি তাই সুন্দর এর ব্যাপারটা অন্য ভাবে বলতে গিয়েছি কিন্তু তার মাঝেই আম্মু বলল যে এত সুন্দর ও না।
এখন আমার মাথায় শুধু আসতেসে যে আমাদের দ্বারা  ইন্ডাইরেক্টলি আয়াত অস্বিকার হলো কিনা।আম্মু ত এত না ভেবেই অই উক্তি করেছিল।স্বাভাবিক ভাবে বলসিল কিন্তু তাও আমার সন্দেহ হচ্ছে আমাদের বা আম্মুর ঈমানের কোনো ক্ষতি হলো কিনা।

আমরা মুসলমানেরা ত আর কুরআন বা কুরআনের আয়াত কে অস্বীকার করি না। এত বড় দুঃসাধ্য তে নাই আমাদের আল্লাহ মাফ করুক।

আম্মু কথার সাপেক্ষে বা কথার পৃষ্ঠে এমন বলছে।আমাদের ঈমানের কোন ক্ষতি হবে বা আম্মুর।(আমার দ্বারাও গিবত এর মত হয়ে যায়।কিন্তু আমি আসলে ঘটনা টা বলতে গিয়ে বলে ফেলি।)

২) আমরা অনেক সময় বলি যে এই এত আইস্ক্রিম খেও না ঠান্ডা লাগবে।এই বৃষ্টিতে ভিজো না ঠান্ডা লাগবে জ্বর আসবে।এইগুলা ত আল্লাহর হুকুমেই হয় এখন আইস্ক্রিম, বৃষ্টির যে রিজন দেখাই এতে সমসা হবে কিনা?

৩) এইটা কৌতুহল থেকে জিজ্ঞেস করা যে, আমাদের দেশে যারা রাজনীতি করে বা কোন এলাকার নেতা তাদের উপর বিভিন্ন কাজের ভার থাকে হয়ত তো তারা মন্দির, চার্চ ইত্যাদি এর জন্য তো মুসলিম ব্যক্তির কি মন্দির বা চার্চ এর জন্য খরচা করা কি জায়েজ।?বা অমুসলিম ব্যক্তিকে সাহায্য করা সেইটা নিয়ে ইসলাম কি বলে?

৪) এক ব্যক্তির কথা বলার সময় বলতেসিল যে, আমি মুসলমান আমি মুসলমান ঘরে জন্মেছি তাই মুসলমান।যদি খ্রিস্টান ঘরে জন্মাতাম তাহলে খ্রিস্টান, যদি হিন্দু ঘরে জন্মাতাম তাহলে হিন্দু হতাম।এই বাক্যোর মাধ্যমে কি কুফরি কিছু হইসে?

৫)আর সব ধর্মই নাকি মানবসেবার কথা বলে এই কথাটা কতটুকু যৌক্তিক?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এতে আয়াতকে অস্বীকার করা হয়েছে,বলা হবেনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আম্মুর ঈমানের কোনো ক্ষতি হবেনা।
নিশ্চিত থাকুন।

(০২)
শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,
কিছু বিষয় আছে এমন, যা তাওহীদ-পরিপন্থী তো নয়, তবে তা ‘তাওয়াক্কুলে’র সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিম্নস্তরের। এ ধরনের বিষয়গুলোকে শিরক বলা স্পষ্ট ভুল। 

তাওয়াক্কুলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিপন্থী বিষয়কে তাওহীদের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে শিরক বানিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
,

শিরক নিয়ে আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ঠান্ডা লাগা, জ্বর হওয়া এগুলো তো সবই মহান আল্লাহর নির্দেশেই হয়।
তবে আইসক্রিম খাওয়া, বৃষ্টিতে ভেজা,এগুলো ওসিলা মাত্র।
এগুলো বলা শিরক নয়।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের  কাজে সহযোগিতা করা জায়েজ হবেনা।
এতে গুনাহ হবে।

(০৪)
এতে কুফরি হয়নি।

(০৫)
হ্যাঁ, জানা মতে সব ধর্মই নাকি মানবসেবার কথা বলে।
এটি যৌক্তিক।
কোনো ধর্মই খুন,রাহাজানি, চুরি ডাকাতি সমর্থন করেনা ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...