আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in পবিত্রতা (Purity) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

আমি খুব ওয়াসওয়াসা সমস্যায় ভুগছি। দয়া করে আমাকে সঠিক সমাধানের মাধ্যমে এর থেকে মুক্তির পথ বলে দিবেন।

প্রস্রাব করার পর আমার মনে হয় এই বুঝি প্রস্রাবের ছিটা আমার কাপড়ে লেগে গেলো। পায়খানায় পানি ইউজ করলে মনে হয় ময়লার ছিটা লেগে গেলো। বিশেষ করে প্রস্রাবের সমস্যাটা প্রকট! সঠিক ভবে ক্লিয়ার না হওয়ার কারনে বারবার মনে হয় ফোটা ঝরছে। আমি বারবার চেক করি। প্রস্রাব করার পর টিস্যু ও পানি ব্যবহারে আমার প্রচুর টাইম নেয়।১০-১৫ মিনিট টিস্যু নিয়ে রাখি। তবুও পরে মনে হয় বের হচ্ছে হচ্ছে। সমস্যাটা বেশি হয় প্রস্রাব করে ওজু করলে। মাঝে মাঝে টিস্যু দিয়ে চেক করলে হাল্কা ভিজে যায়। আবার কখনো ভিজে না। এর জন্য কোন আমলও ঠিক মত করতে পারছিনা। আবার গোসল করতে ২ ঘন্টা টাইম নিয়ে নেয়। পানি ঢালার সাথে সাথে মনে হয় ফোটা বের হচ্ছে। এর জন্য পানি ঢালতেই থাকি। অতিরিক্ত পানি ব্যবহারে পায়ের আঙ্গুলে ঘাঁ হয়ে যাচ্ছে। আর কোন কিছুতে ধরলে মনে হয় জিনিষটা নাপাক হয়ে যাচ্ছে। আবার হাতে কোন পানি লাগ্লে মনে হয় নাপাক লেগে গেলো। হাত বারবার ধুতে হয়। কারো কাপড়ের সাথে আমার কাপড় লাগ্লে মনে হয় আমার কাপড় নাপাক হয়ে গেলো।মানে সারাক্ষন মনে হয় আমি বুঝি নাপাক অবস্থায় আছি। আমি বোঝাতে পারবোনা শায়েখ কি খারাপ সিচুয়েশন এটা। উল্লেখ্য আমি ৩ চিল্লার সফরে আছি। এবং জামাতের জিম্মাদারি পালন করছি। আর আমার এই সমস্যার কারনে সাথীদের ঠিক মত টাইম দিতে পারছিনা। গোসল/ইস্তিঞ্জাতেই অনেক সময় চলে যায়। আমলে বসলে বারবার বাইরে গিয়ে চেক করি ফোটা বের হচ্ছে কিনা। এবং আমাকে প্রতিদিন ২-৩ বার গোসলও করতে হয় এটার জন্য। প্রতিবার ৩ বার করে কাপড় ধুতে হয়। কারন একাটা প্রস্রাবের  ফোটা পরলে  ওজু করার সময় কাপড়ে পানি লেগে সেটা ছড়িয়ে পরে মনে হয়। এতে কপড়ও নষ্ট হচ্ছে তাড়াতাড়ি। এবং ওজু করার সময় মনে হয় বায়ু বের হচ্ছে তাই দুই তিনবারও অজু করত্র হচ্ছে। আবার নামজের মধ্যে বারবার মনে হয় এই বুঝি বায়ু বের হচ্ছে। এই সমস্যাটা কোন ভাবেই যাচ্ছে না। বারবার অজু করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় অজু করতে করতে ক্লান্ত হতে গেলে এভাবেই নামাজ পরে ফেলি। পরে সারাক্ষণ মনে হয় নামাজ কি হয়েছে নাকি হয়নি। সব মিলিয়ে আমি খুব মানুষিক যন্ত্রণায় আছি শায়েখ। দয়া করে এর থেকে আমাকে মুক্তি পাওয়ার পথ বলে দিন। জামাতে থাকায় অন্য কিছুও করতে পারছিনা। চিকিৎসাও জামাতে থেকে করাতে পারছিনা। দয়া করে আমাকে সমাধান দিন আর আমার জন্য এক্টু খাস করে দোয়া করুন রব যেনো আমাকে এর থেকে মুক্তি দেয়।

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
   

https://ifatwa.info/31852/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
হাদীস শরিফে এসেছে,

عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

ঈসা ইবন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৬)
 
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ .

حكم : صحيح

নাসর ইবনুল মুহাজির ..... হাকাম বা ইবনু হাকাম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেশাবান্তে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন এবং তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান হালকাভাবে ধৌত করার পর উযূ করেন)।
(আবু দাউদ ১৬৮)

আরো জানুনঃ- 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কয়েকবার নিংড়ানোর পর টিস্যু পেপার ব্যবহার করে কিছুক্ষন হাটাহাটি করবেন।
এর পর ভালোভাবে পানি ঢেলে দিবেন।
এতে কাজ না হলে চিকিৎসা করাবেন।
,
আপাতত নামাজের আগ দিয়ে ইস্তেঞ্জা না করাই আপনার পবিত্রতার জন্য উচিত হবে।
নামাজের পর ইস্তেঞ্জা করবেন,নামাজের আগে কাপড়ে পেশাব লেগে যাওয়া স্থান ধুয়ে পাক করে নিবেন অথবা নামাজের জন্য আলাদা কাপড় ব্যবহার করবেন।     
সেই কাপড়টিকে শুধুমাত্র নামাজের সময়ে ব্যবহার করবেন।       

আপনি নামাজের মধ্যে বায়ু বের হওয়ার সন্দেহকে পাত্তা দিবেননা।
নামাজ চালিয়ে যাবেন।
হ্যাঁ যদি আপনি বায়ু বের হওয়ার আওয়াজ পান বা গন্ধ পান বা আপনি বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হোন,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে দিয়ে অযু করে এসে যেখানে নামাজ ভেঙ্গে দিয়িছিলেন,সেই রুকন থেকে বাকি নামাজ আদায় করবেন।
পুরো নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

কোনো রাকাতের রুকু অবস্থায় রেখে গেলে এসে সেই রাকাতের রুকু করবেন।
শুরু থেকে নামাজ আদায় করতে হবেনা।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
প্রস্রাব কাপড়ে লেগে শরীরে লাগলে শরীর নাপাক হয়ে যাবে না??? নাকি শুধু কাপড় চেঞ্জ করে নিলেই হবে???
কাপড়ে লেগে থাকা প্রস্রাব ভালো কাপলে সাথ্র লাগলে ভালো কাপড় নাপাক হবে না???
by (573,660 points)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে তো শরীরও নাপাক হয়ে যাবে।
শরীরের সেই অংশ পাক ধুয়ে নিতে হবে।
by (573,660 points)
কাপড়ে লেগে থাকা পেশাব পাক কাপড়ে লাগলে পাক কাপড়ে নাপাকির ভেজা পাওয়া গেলে সেই পাক কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...