জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَاعْتَصِمُواْ بِحَبْلِ اللّهِ جَمِيعًا وَلاَ تَفَرَّقُواْ وَاذْكُرُواْ نِعْمَةَ اللّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَاء فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنتُمْ عَلَىَ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।(সূরা আলে ইমরান-১০৩)
প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয যে,তারা এক উম্মাহ হবে।তাদের খলিফাও একজন হবেন।যার শাষন সারা দুনিয়া ব্যাপী থাকবে।অতঃপর এই খলিফা দেশে দেশে এবং শহরে শহরে উনার প্রতিনিধি নিয়োগ দিবেন।যেমন ইসলামের প্রাথমিক যুগে ছিলো।সুতরাং সমস্ত মুসলমানের উপর ফরয যে তারা একত্র হয়ে এক খলিফার কাছে বায়আত গ্রহণ করবে।তাদের পরিচয় হবে এক,তাদের পতাকা হবে এক,তারা একটি ছায়াতলেই একত্রিত হবে,আর সেই ছায়াই হল,শান্তি ও নিরাপত্তার ছায়া,ইসলাম।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রকৃত ঐক্য হচ্ছে :
১. গোটা উম্মত খালিস তাওহীদের উপর ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
২. গোটা উম্মত আল্লাহর বিধানসমূহ পালন করতে থাকা।
৩. গোটা উম্মত সুন্নতে নববীর অনুসরণ ও উসওয়ায়ে হাসানা মোতাবেক জীবন গঠনে সচেষ্ট হওয়া।
৪. গোট উম্মত ইজমায়ী বিষয়সমূহে ইজমার উপর অটল অবিচল থাকা এবং ইজতিহাদী ও ইখতিলাফী বিষয়ে নিজের ইমাম, মুফতী বা মুরশিদের নির্দেশিত পন্থায় আমল করা এবং অন্যদের পথ ও পন্থার উপর আপত্তি ও সমালোচনা থেকে বিরত থাকা।
৫. গোটা উম্মতের মাঝে প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি হওয়া এবং ভালো কাজে সহযোগিতা আর জুলুম ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা পরিহারের প্রেরণা জাগ্রত হওয়া।
এই উম্মতের এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তাওহীদ ও ঈমান এবং ঈমানী ভ্রাতৃত্বের উপর ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
(০২)
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যদি সেই একটি গুনাহ মাফ না করে দেন,তাহলে তাকে সেই একটি গুনাহের কারনে তাকে জাহান্নামে পাঠাতে চাইলে পাঠাতে পারবেন।
এটি মহান আল্লাহ তায়ালা চাইলে পারবেন।
সেটা জুলুম হবেনা।
যেমন মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ مَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَہٗ ﴿۸﴾
আর কেউ অণু পরিমাণ অসৎকাজ করলে সে তাও দেখবে।
(সুরা যিলযাল ০৮)
মহান আল্লাহ তায়ালা চাইলে একটি গুনাহের কারনে কাউকে জাহান্নামে পাঠানোর হক রাখলেও কুরআনের বর্ণনায় সুস্পষ্ট এসেছে যে, পুণ্যের পাল্লা ভারি হলে মানুষ তার পাপ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে এবং সরাসরি জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ লাভ করবে (আ‘রাফ ৮, ক্বারি‘আহ ৬-৭)।
তাই এই পদ্ধতিতেই মূলত হাশরের ময়দানে ফায়সালা হবে।