আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
254 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (72 points)
দুঃখিত পুনরায় পোস্ট করার জন্য

কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর শীগ্রই জানা দরকার

আসসালামু আলাইকুম

সরাসরি প্রশ্নে আসছি

ঘটনা ১. ১মাস আগের ঘটনা আমার  আবছা মনে আছে

বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম তো একদিন আমার স্বামীর সাথে ফোনে কথা বলছিলাম ঘরের কোন এক ব্যাপারে কথা বলার এক পর্যায়ে রাগারাগি হলে বলে তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,তুমি স্বাধীন lawyer এর সাথে কথা বলেছি। এরপর ফোনটা রেখে দেয়।আমি কিছুক্ষণ পরে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কি নিয়ত করে বলেছো অথবা এটা কি সত্যি।

বলে এই ব্যাপারে কথা বলতে চায় না।স্বাভাবিকভাবেই টপিক চেঞ্জ করে অন্য কথা বলে ব্যস্ত আছে বলে ফোনটা রেখে দেয়

আমি আবার পরের দিন ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করি বরাবরের মতোই ওই কথার উত্তর দিতে চায় না।তাই আমিও আর জোর করিনি।

ঘটনা ২.আজকের ঘটনা, সবকাজ শেষ করে যখন বিকেলে একটু শুতে আসলাম তখন বলে আমার কাপড় আয়রন করে দাও আকদে যাব

আমি বললাম আয়রন করা আছে ওখান থেকে একটা পরে যাও অথবা কোনটা পরে যাবে আগে বলে রাখতে আমি আয়রন করে রাখতাম। এক পর্যায়ে অনেক রেগে গিয়ে বলে তুমি চলে যাও, এইসব কাজের জন্য আমার ভাবতে হলে তোমাকে বিয়ে করছি কেনো?

এমতাবস্থায় আমি চুপ ছিলাম পরিবেশ আরো উত্তপ্ত হবে ভেবে

এখন চিন্তা হচ্ছে

আমি বেশকিছুদিন আগেই জানতে পেরেছি এইসব কথা কেনায়া তালাকের অন্তর্ভুক্ত এবং এইসব বলার পরে যতবারই তাকে জিজ্ঞেস করি তোমার কি কোন নিয়ত ছিল এসব বলার ব্যাপারে

তার উত্তর সবসময় একটা সেটা হলো -না

এটাও বলে তুমি জানো আমি নিয়ত করে বলি কিনা বলিনা

মানে সে বুঝাতে চাই তার মনের মধ্যে আমাকে ছাড়ার কোন ইচ্ছা নাই

কথাগুলো শুধু রাগ হলেই বলে

এটাও বলে রাগের মাথায় তো মানুষ অনেক কিছু বলবে

আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করি সবসময় হাজার রাগ হলেও এইরকম শব্দ ব্যবহার না করার জন্য

আরো একটা বিষয় জানার ছিল (৬মাস আগের ঘটনা)

একদিন আমার স্বামী আমার মায়ের সামনে বলেছেন তুমি তোমার মায়ের সাথে চলে যেতে পারো/ যাও( ঠিক মনে নেই) তখন আম্মু বলেছিল আমি তো ওকে নিতে আসি নাই

আমার মায়ের সামনে অনেক কথা কাটাকাটি হয়েছিল আমাদের দুইজনের। আমার স্বামী আমার আমাকে বলেছিল নিয়ে যান ওকে সাথে করে। আমার ইচ্ছা/অনিচ্ছা হয়ত দুইটাই ছিল চলে যাওয়ার কিন্তু বেশ আগের ঘটনা ঠিকমত মনেও পরছে না

এটা কি তালাকের মজলিস গণ্য হবে?

আমার স্বামীর এমন কথা দ্বারা কি তালাক পতিত হয়েছে????

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে যেহেতু আপনার স্বামী তালাকের নিয়তে উক্ত সব কিছুই বলেনি,তাই এতে তালাক হবেনা।

আপনি নিশ্চিত থাকুন, আপনাদের ঘর সংসার বৈধ আছে।

শেষোক্ত ছুরতটি তালাকের মজলিস বলে গন্য হবেনা। 
কেননা এখানে স্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় তালাকেরও আবেদন করেনি,আর স্বামীও তালাকের হুমকি দেয়নি।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (72 points)
হুজুর মাফ করবেন আরো একটা বিষয় জানার ছিল
আমাদের একদিন খুব ঝগড়া হয় এবং সে আমাকে বেশ কয়েকটা থাপ্পড় দেই
আমাদের মধ্যে অনেক রাগারাগি হয়
আমি আমার মা বাবাকে ফোন দিয়ে সে কথাটা জানাই এবং বলি আমাকে নিয়ে যেতে ওর সাথে থাকব না
না নিয়ে গেলে আমি মরে যাবো
আবার পরেরদিন সকালে আমার মাকে ফোন দিয়ে বলি আমাকে এসে নিয়ে যেতে 
আমার মা এসেছিলেন সেদিন কিন্তু অন্য উদ্দেশ্য যেটা আগে থেকে পূর্ব নির্ধারিত ছিল
এবং সাথে আমি জোর করাতে আমাকে শান্ত করতেও আসতে পারেন(এটা উনি ভালো জানবেন)
উনি আসার মূল উদ্দেশ্য আমার স্বামী জানত না তাই বলেছিল আমার মা আসলে আমাকে আর রাখবে না
 আম্মু  আসার পরে আমি অনেকবার বলছি আমাকে নিয়ে যেতে 
আমার মা বলে আমি কিভাবে নিব? 
এভাবে হয় নাকি?
আমার শাশুড়ী, মা  কে সামনে রেখে আমাদের মাঝে অনেক কথা কাটাকাটি হয় 
আবারো ঘরের অন্য জায়গায় গিয়ে আমার আম্মুর সামনে দুইজনের কথাকাটাকাটি হয় 
তখন ও  আমার আম্মুকে বলে আমাকে সাথে নিয়ে যেতে আমিও বলি হ্যাঁ থাকব না। 
এমনেই রাগের বসে থাকব না অথবা বিচ্ছেদের উদ্দেশ্যে বলেছিলাম কিনা মনে নেই
কিন্তু আমার মা আমকে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন না
উনি নাস্তা পানি করে চলে যান

প্লিজ শায়খ এতে কি তালাকে শর্ত পতিত হবে?
আমার এই ব্যাপারে জ্ঞান শূন্যের তলায় 
আল্লাহ আপনার ভালো করুক


by (559,140 points)
এতে তালাক হবেনা।
কোনো শর্তযুক্ত তালাকও হবেনা।
by (72 points)
হুজুর এখানে দুইটি ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছিল 
আপনি কি দুইটিই পড়ে ফাতওয়া দিয়েছিলেন হুজুর? 
প্লিজ জানাবেন
by (559,140 points)
জী, দুইটিই পড়ে ফাতওয়া দেয়া হয়েছে।
by (72 points)
হুজুর ঘটনা ১ এবং ২ 
তারপর একটা মজলিস সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা ছিল
হুজুর সব পড়েছিলেন? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...