بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
কুরআনুল কারীমে বর্ণিত
হয়েছে :
﴿ وَلِلَّهِ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ فَٱدۡعُوهُ
بِهَاۖ﴾ [الاعراف: ١٨٠]
‘‘আল্লাহ তা‘আলার সুন্দর নামাবলী রয়েছে, সুতরাং তোমরা তাঁকে সে সব নামাবলীর মাধ্যমে আহ্বান কর।’’(আল-কুরআন, সূরা আল-অ‘রাফ :১৮০)
হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
:
«إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا»
‘‘আল্লাহ তা‘আলার নিরানববইটি নাম রয়েছে।’’ (বুখারী-৬৯৫৭, মুসলিম-২৬৭৭)
কুরআনুল কারীমের সূরা ‘আল-বাকারাহ’-এর ২৫৫ নং আয়াতে, সূরা ‘আল-হাশর’-এর শেষ তিন আয়াতে ও সূরা ‘আল-হাদীদ’-এর দ্বিতীয়
আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সে সব নামসমূহের কতিপয় নামের বর্ণনা দিয়েছেন। জামে‘ তিরমিজীতে
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এ সব নাম সম্বলিত একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তাতে
রয়েছে, ‘‘যে ব্যক্তি এ সব নামসমূহ স্মরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’’(সুনানে
তিরমীযী)
আল্লাহ তা‘আলার এ সব
নামের মধ্যকার কেবলমাত্র একটি নাম হচ্ছে তাঁর জাতি বা সত্তাগত নাম। সে নামটি হচেছ-‘আল্লাহ’।
আর অবশিষ্ট নামসমূহ হচ্ছে তাঁর সিফাতী বা গুণগত নাম। গুণগত এ নামগুলো প্রকৃতপক্ষে তাঁর
রুবূবিয়্যাতের সাথে সম্পর্কিত।
যেমন তাঁর সে সব নামের মধ্যে রয়েছে- তিনি চিরঞ্জীব ও সব কিছুর
ধারক (حَيٌّ و
قَيُّوْمٌ), তিনি সকলের সৃষ্টিকর্তা ও রিযিকদাতা خَالِقٌ و رَازِقٌ, তিনি যাবতীয় রকমের কল্যাণ
ও অকল্যাণকারী (نَافِعٌ
و ضَارٌّ), তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্য সব কিছুর জ্ঞানী (عَالِمُ الْغَيْبِ وَ الشَّهَادَةِ) , তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা
(سَمِيْعٌ و
بَصِيْرٌ), তিনি সব কিছু পরিচালনাকারী (مُدَبِّرٌ) ইত্যাদি। মহান আল্লাহ এ সব গুণের অধিকারী হয়েছেন বলেই তিনি এ জগতের
সব কিছুর রবের আসনে সমাসীন হয়েছেন। তাঁর এ সব নামের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, তাঁর সৃষ্টির মধ্যকার যে যত বড় গুণী আর উপকারীই হোক না কেন কেউই
তাঁর এ সব নামে নামান্বিত ও গুণান্বিত হতে পারে না। সে জন্যে যেমন এ সব নামে কারো নাম
রাখা যায় না, তেমনি কাউকে এ সব নামে ডাকাও যায় না, আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যমে কেউ এ সব গুণের বিন্দুমাত্র অধিকারীও
হতে পারে না। তিনি চিরদিন থেকে এ সব গুণের অধিকারী। এ সব গুণের অধিকারী বলেই তিনি এ
বিশ্বজগত পরিচালনা করছেন। এ সব গুণের ক্ষেত্রে তাঁর কোনো শরীক বা সমকক্ষ নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন !
শুধু আলীম বলেও
ডাকা যাবে। তবে উত্তম হলো আব্দুল আলীম বলে ডাকা। সূরা উসূফের ৫৫ নং আয়াতে আল্লাহ রয়েছে:
قَالَ اجْعَلْنِي عَلَىٰ خَزَائِنِ الْأَرْضِ إِنِّي حَفِيظٌ عَلِيمٌ
“ইউসুফ বলল: আমাকে দেশের ধন-ভাণ্ডারে নিযুক্ত করুন।
আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও অধিক জ্ঞানবান।”
অত্র আয়াতে ইউসুফ আ: কে আলীম
বলা হয়েছে। মোটকথা, উক্ত নামটি আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নাম হলেও আপেক্ষিক অর্থে
বান্দার জন্যও ব্যবহার করা জায়েয আছে। তবে আব্দুন শব্দ যোগ করে বলাই শ্রেয়। যারা আপনাকে
শুধু আলীম বলে ডাকেন, তাদের যদিও গোনাহ হবে না। কিন্তু আপনার উচিত তাদেরকে উত্তম
কাজের দিকে আহ্বান করা।