আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আচ্ছালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা তুহু,

আামার নানা একজন খুব ভালো মানুষ ছিলেন, কখনো কারোর কোনো ক্ষতি তিনি করেন নি।কিন্তু তিনি সালাত আদায় করতেন না, সিগারেট খেতেন আরো কিছু মাদক পানীয় সেবন করতেন,তার জীবনে যদি খারাপ কাজ বলতে কিছু ছিল তা হলো এগুলো।তাছাড়া তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন,সকলকে সাহায্য করতেন।

৬০ বছর বয়সে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে একদম লাস্ট স্টেজে,জীবনের শেষ সময়ে অনেক কষ্টে যায়।খুব বেশিদিন না, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তিনি ইন্তেকাল করেন।তাকে তার জন্মস্থানের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

কিছু দিন থেকেই গ্রামের মানুষজন বলতে শুরু করেছে যে কবরস্থান থেকে নাকি অনেক শব্দ করে কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে তারা।তারা আশঙ্কা করেছে যে যার কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায় সে আমার নানা।
আমার বিশ্বাস এমন কিছু কখনও সম্ভব না।

আমার প্রশ্ন হলো আমার নানার সাথে কি এমন কিছু হতে পারে যার জন্য কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وذهب الحنفية إلى أن تارك الصلاة تكاسلا عمدا فاسق لا يقتل بل يعزر ويحبس حتى يموت أو يتوب.
হানাফী মাযহাব মতে নামায তরক কারীকে হত্যা করা হবে না, বরং তাকে আমৃত্যু বন্দী করে রাখা হবে,যতক্ষণ না সে তাওবাহ করবে।

وذهب الحنابلة: إلى أن تارك الصلاة تكاسلا يدعى إلى فعلها ويقال له: إن صليت وإلا قتلناك، فإن صلى وإلا وجب قتله ولا يقتل حتى يحبس ثلاثا ويدعى في وقت كل صلاة، فإن صلى وإلا قتل حدا، وقيل كفرا، أي لا يغسل ولا يصلى عليه ولا يدفن في مقابر المسلمين. لكن لا يرق ولا يسبى له أهل ولا ولد كسائر المرتدين.
হাম্বলী মাযহাব মতে, নামায তরককারীকে সর্বপ্রথম নামাযের কথা বলা হবে যে,তুমি যদি নামায না পড়ো তবে তোমার উপর হত্যার আইন প্রয়োগ করা হবে।যদি নামাযের দাওয়াত দেয়ার পরও নে নামায না পড়ে, তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।তথা তিনদিন জেলে রাখা হবে,এবং প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তে তাকে ডাকা হবে।যদি পরে নেয় তাহলে ভালো,নতুবা তখনই তাকে হত্যা করা হবে।

হাম্বলী মাযহাবের কেউ কেউ মনে করেন,তখন তাকে কুফরীর শাস্তি বা হত্যা প্রয়োগ হবে।সুতরাং তাকে গোসল দেয়া হবে না,জানাযা পড়াও হবে না।এবং মুসলমানদের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে না যেমন সাধারণ মুরতাদের বেলায় হুকুম প্রযোজ্য হয়ে থাকে। (আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৭/৫৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3936

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামায পরিত্যাগ মারাত্বক পর্যায়ের গোনাহ।এর জন্য অবশ্যই কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে।কবরের আওয়াজ কখনো কেউ শুনতে পারবে না। আপনার নানার নানার কবর থেকে কান্নার আওয়াজ আসছে, এ কথাটা সঠিক হতে পারে না। তবে যে ব্যক্তিই নামাযকে পরিত্যাগ করবে, তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। হ্যা, আল্লাহ ইচ্ছা করলে যে কাউকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
জ্বী নানা শেষ সময়ে তওবা করছেন এবং শরীরের সামর্থ্য অনুযায়ী মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন
by (589,140 points)
আল্লাহ উনাকে ক্ষমা করুক। আমীন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...