আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম। শায়েখ আমি ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখেছিলাম সেখানে বলা হয়েছে আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের এক্টি  পাতাও নড়ে না। কথাটা কুফরি কথা। কেননা বেনামাজি নামাজ পড়েনা। আল্লাহ কি আদেশ করেছে বেনামাজি হতে  । এরকম আরও উদাহরণ আছে। কথাটা হবে আল্লাহর বিনা ইচ্ছায় গাছের পাতা নড়েনা। ভালো কাজের খেত্রে একথা বলা যাবে যে আল্লাহর আদেশ ও আছে এবং ইচ্ছাও আছে।  কিন্তু মন্দ কাজের খেত্রে  আল্লাহ আদেশ করেন নি কিন্তু  ইচ্ছা আছে।

তো কয়েকদিন আগে যতদুর সম্ভব রাজধানীতে গার্ডার পড়ে। একাধিক মানুষ মারা গেল।সে ভিডিও দেখছিলাম। তখন আমার উপরের ভিডিওর কথা মনে হয়। তখন আমি মনে মনে ভাবি গার্ডার পড়ার কথা যে এখানে আল্লাহর ইচ্ছা আছে। এখানে হুকুম হবে না। কারন আল্লাহ কাজে অবহেলা করতে বলেনি। তখন আবার আমার মনে হয় যে এখানে তো মানুষ মারা গেছে। আল্লাহর হুকুমে মানুষের মৃত্যু হয়। তখন আমি ইস্তিগফার পড়ি। ইস্তিগফার পড়ার পর আবার আমার মনে হয় যে  আল্লাহর হুকুমে মানুষের  মৃত্যু বলা যাবে বা বলা আবার ভুল হল নাকি। এজন্য আমি  আবার ইস্তিগফার পড়ি। ইস্তিগফার পড়ার পর আবার আমার মনে হয় যে আল্লাহর হুকুমে মানুষের মৃত্যু হয়। তখন আমি মনে মনে বলি যে আমার ভাবনার ভেতর  বা মনে  মনে ভাবার ভেতর কোন ভূল হল নাকি  এজন্য আমি ইস্তিগফার পড়ি। পরবর্তীতে আমি ইউটিউবে বা গুগলে সার্চ করি যে আল্লাহর   হুকুমে মানুষের মৃত্যু এমন কথা কুরআন হাদিসে কোথাও আছে বা কোন ভিডিও আছে নাকি তা দেখার জন্য।     শায়েখ এখন আমার প্রশ্ন হল-

১.উপরের বিবরন অনুযায়ী এরকম ভাবনা আসার কারনে বা এরকম ভাবার কারনে কি  আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

২.আল্লাহর হুকুমে মানুষের মৃত্যু হয়। এরকম বলা যাবে কি। এখেত্রে কোনটা বলতে হবে আল্লাহর ইচ্ছা ও আছে আদেশ ও। না শুধু ইচ্ছা আছে বলতে হবে?      
৩.আমার এরকম সন্দেহের কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?   
৪. আমার এরকম প্রশ্ন করার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি? আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাযি থেকে বর্ণিত,
أخرجه أبو نعيم في "حلية الأولياء" (6/66) ، وأبو القاسم التميمي في "الحجة في بيان المحجة" ، وقوام السنة في "الترغيب والترهيب" (673) ، جميعا من طريق عبد الجليل بن عطية القيسي ، قال ثنا شهر بن حوشب ، عن عبد الله بن سلام -رضي الله عنه- قال: خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُمْ يَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ اللهِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:" فِيمَ تَتَفَكَّرُون " ، قَالُوا: نَتَفَكَّرُ فِي اللهِ قَالَ:" لَا تُفَكِّرُوا فِي اللهِ ، وَتَفَكَّرُوا فِي خَلْقِ اللهِ ؛ فَإِنَّ رَبَّنَا خَلَقَ مَلَكًا قَدَمَاهُ فِي الْأَرْضِ السَّابِعَةِ السُّفْلَى ، وَرَأْسُهُ قَدْ جَاوَزَ السَّمَاءَ الْعُلْيَا، مَا بَيْنَ قَدَمَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ مَسِيرَةُ سِتِّمِائَةِ عَامٍ، وَمَا بَيْنَ كَعْبَيْهِ إِلَى أَخْمَصِ قَدَمَيْهِ مَسِيرَةُ سِتِّمِائَةِ عَامٍ، وَالْخَالِقُ أَعْظَمُ مِنَ الْمَخْلُوقِ» .
সারমর্মঃ রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা ফিকির করবে না।বরং আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা গবেষণা করবে।(হিলয়াতুল আউলিয়া-৬/৬৬(আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব-৬৭৩)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تَفَكَّرُوا فِي آلَاءِ اللَّهِ، وَلَا تَفَكَّرُوا فِي اللَّهِ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে চিন্তা গবেষনা করো। আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা গবেষনা করবে না।(বায়হাক্বী-৯২৭, তাবারানি-১২১১১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাকে পরামর্শ দিবো যে, আপনি উপরোক্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাকে পরিত্যাগ করে আ'মলের দিকে ব্রতি হবে।

হ্যা, যদি আপনি আকিদা শিক্ষার্থী হন, তাহলে আপনাকে বলছি,
আল্লাহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণকারী, এমনকি মানুষের মনেরও নিয়ন্ত্রণকারী। আবার আল্লাহ মানুষকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করারও সুযোগ দিয়েছেন। ভাল মন্দকে গ্রহণ করতঃ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগও মানুষকে দিয়েছে। যখন কোনো মানুষ ভাল বা মন্দ কাজ করার মনস্থ করবে, সাথে সাথেই আল্লাহ সেই কাজের তাওফিক দিয়ে থাকেন।আল্লাহ পক্ষ্য থেকে তাওফিক ব্যতিত কেউ কখনো কোনো ভালো বা মন্দ কাজ করতে পারবে না। মনস্থ করার উপরই মূলত মানুষকে পুরুস্কার বা শাস্তি দেওয়া হবে।

উল্টা পাল্টা প্রশ্ন মনের মধ্যে জাগ্রত হওয়ার কারণে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। প্রশ্নের জবাব বোধগম্য না হলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)উপরের বিবরন অনুযায়ী এরকম ভাবনা আসার কারনে বা এরকম ভাবার কারনে আপনার ঈমানে কোন সমস্যা হবে না। আপনার বিবাহে কোন সমস্যা হবে না।

(২)আল্লাহর হুকুমে মানুষের মৃত্যু হয়। এরকম বলা যাবে। আল্লাহর ইচ্ছা ও আদেশ,  এভাবে ডিভাইড করার কোনো কারণ নাই। 
 
(৩)আপনার এরকম সন্দেহের কারনে আপনার ঈমানে কোন সমস্যা হবে না। বিবাহে কোন সমস্যা হবে না।

(৪) এরকম প্রশ্ন করার কারণে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...