বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
কখন থেকে এবং কোন পদ্ধতিতে কা'যা নামায-কে আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1609
জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।
তিনটি হারাম সময় ব্যতীত যেকোনো সময় কা'যা নামায পড়া যাবে।https://www.ifatwa.info/1604
(২)
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই।
আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সাবাসের মাধ্যমে মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।
কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/102
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
সন্তান কখন বালেগ হবে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/13073
(২)
রোজা না রাখলে এখন রোযা রেখেই তা আদায় করতে হবে। আর রেখে ভঙ্গ করলে একটার পরিবর্তে একটা এবং সাথে ৬০ টি রোযা দ্বারা একটা কাফফারাও আদায় করতে হবে। রোযা সম্ভব না হলে, ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা আহার করাতে হবে।
(৪-৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/120
(৬)
নামাযকে আদায় করতেই হবে। অসম্ভব হলে, নামাযের ফিদয়া তথা এক নামাযের বদলা একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করার অসিয়ত করতে হবে।