জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহল্লার মসজিদে ঘরের নামাজের চেয়ে পঁচিশ গুণ বেশি সওয়াব। আর মহল্লার মসজিদের চেয়ে জামে মসজিদে পাঁচশ’ গুণ বেশি সওয়াব, এমনিভাবে বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদে পঁচিশ হাজার নামাজের সওয়াব, মসজিদে নববীতে পঞ্চাশ হাজার নামাজের সওয়াব এবং বায়তুল্লাহ শরীফে এক লাখ নামাজের সওয়াব পাওয়া যাবে। (মিশকাত)।
,
সুতরাং জামে মসজিদে নামাজ পড়লে ছওয়াব বেশি।
তবে যদি মহল্লার মসজিদে যদি আযান হয়ে যায়,তাহলে বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিত ছওয়াবে বেশির কারনে অন্য মসজিদে যাওয়া যাবেনা।
،
,
(০২)
ইমাম ও ইমামতি ইসলাম ধর্মের এবং মুসলিম সমাজের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুল প্রয়োজনীয় বিষয়। কেননা পাঁচ ওয়াক্ত নামায সম্পাদন করা ইসলামের দ্বিতীয় রোকন এবং ইসলামের স্পষ্ট প্রতীক যা মহান আল্লাহ জামাআতবদ্ধভাবে আদায় করার আদেশ করেছেন।
আর সেই আদেশ ইমাম ব্যতীত বাস্তবায়িত হয় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম ও মুয়াযযিনের ব্যাপারে বলেছেন,
ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ
‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)
প্রকাশ্যে কবিরা গোনাহয় লিপ্ত থাকে, তাহলে সমাজের মানুষগুলো আর কাকে অনুসরণ করবে!
,
ফাসেক ইমামের পিছনে নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী।(বাদায়েউস সানায়ে’-১/৩৮৭;ফাতওয়ায়ে শামী-২/২৯৯; ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/৮৪; আল বাহরুর রায়েক-১/৬১০)
যদি দাঁড়ি এক মুষ্ঠির কম রাখেন এবং প্রকাশ্যে পর্দা লংঘন করেন তাহলে তিনি ফাসেক। এ জাতীয় ইমাম নিঃসন্দেহে ইমামতির যোগ্যতা রাখে না, বরং তার পেছনে নামাজ আদায় করা মাকরূহে তাহরীমী। ফিকাহর কিতাবসমূহে এসেছে,
إن إمامةالفاسق مكروه تحريما‘
ফাসিক ব্যক্তির ইমামতি মাকরূহে তাহরীমী।’
(তাহত্বাভী পৃ: ২৪৪) সুতরাং এমন ইমামের দায়িত্ব হল, এহেন গর্হিত কাজগুলো থেকে তাওবা করা।
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم: ثَلاَثَةٌ لاَ تُقْبَلُ لَهُمْ صَلاَةٌ الرَّجُلُ يَؤُمُّ الْقَوْمَ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ وَالرَّجُلُ لاَ يَأْتِي الصَّلاَةَ إِلاَّ دِبَارًا – يَعْنِي بَعْدَ مَا يَفُوتُهُ الْوَقْتُ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যাক্তির নামাজ কবূল হয় না, যে ব্যাক্তি লোকেদের ইমামতি করে তাকে তারা অপছন্দ করা সত্ত্বেও, যে ব্যাক্তি নামাজের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর নামজ পড়ে এবং যে ব্যাক্তি কোন স্বাধীন ব্যাক্তিকে দাস বানায়।(ইবন মাজাহ ৯৭১)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এমন ইমামের,বা এমন মসজিদে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হয়ে যাবে ঠিকই,তবে মাকরুহ হবে।
.
★জুমা হয়না এমন মসজিদে নামাজ পড়া যাবে।
যদি ইমামের কোনো প্রকাশ্য গুনাহের কারনে মুক্তাদিরা তার তার পিছনে নামাজ পড়তে অনিহা পেশ করে,তাহলে তার পিছনে নামাজ হয়ে গেলেও মাকরুহে তাহরিমি হবে।
অন্যথায় নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।