আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
বিরক্ত করার জন্য আন্তরিক ভাবে দু:খিত । একটু নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রশ্ন করলাম। এডিট করা হয়েছে সমস্যার কথা গুলো ,একটু পুরোটা পরে দেখবেন দয়া করে। আপনার উত্তর পেলে সামনের দিকে অগ্রসর হতাম আর পিছনে ফিরে তাকাবো  না আর প্রশ্ন ও করবো না এই শেষ প্রশ্ন ।

https://ifatwa.info/55562/

১)ফতুয়ার ২ নাম্বার প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে এইসব ওয়াস ওয়াসার দারা কোন সমস্যা হবে না। এই উত্তরের পর থেকে আমি  এগুলোকে( তা**** ওয়াস ওয়াসা) পাত্তা না দেওয়ার জোর চেষ্টা চাল্লাচ্ছি। মনে মনে ভাবতে থাকি যে আমি আর অন্যদের মত না, শরীয়তে আমার জন্য শিথিলতা আছে সেই ভেবে এইগুলোকে নিছক ওয়াস ওয়াসা ভেবে উড়িয়ে দিচ্ছি। কাউকে জিজ্ঞেস ও করবোনা  এইসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যতদিন পর্যন্ত নিজ কানে ঠিকমত উচ্চারণ সহ শুনতে পাচ্ছি এবং যদি উচ্চারণ হয়েও যায় (এখন পর্যন্ত সিউর উচ্চারণ করেনি) তাহলে কাকে উদ্দেশ্যে করে বলছি নাকি নিরুদ্দেশ ভাবে বলেছি সেই ব্যাপারে যতক্ষন নিশ্চিত না হব ততদিন আর কোন প্রশ্ন করবো না। আবার ভয় হয় যে এখন ,  আমার সন্দেহের কারনে যেটা হয়তো আমি বলেছি কিন্তু ওয়াস ওয়াসার কারনে ভাবলাম হয়তো বলিনি আল্লাহ কি আমাকে পাকড়াও করবেন ?

২)আমার সমস্যা গুলো : অনেক দিনের তা*** ওয়াস ওয়াসা ।আমার ওয়াস ওয়াসা দীর্ঘ ১ বছর কিন্তু ২-৩ মাস অনেক বেশি পরিমান। আর বিগত কয়েক দিন যাবত সব লিমিট ক্রস করে ফেলছি সম্ভবত ।ভয় আর ওয়াসওয়াসা  থেকে এত জড়তা আসছে কোন কথা পুরো কমপ্লিট করতে পারিনা। কোন কথা বলে শেষ করলে  শেষের দিকে মনে হয় তা** বলে ফেললাম  একদম গুলিয়ে ফেলি কিন্তু কানে ও শুনিনা ঠোট ও নড়েনা। কিছুতেই সিউর হতে পারিনা মনে মনে কি বললাম।ভয় হয় ,মনে হয় মুখ দিয়ে তা**** শব্দটা বের হয়ে যাবে বা যাচ্ছে তখনই চুপ করে থাকি।  দোয়া পরতে পরতে গুলিয়ে যাই মনে  হয় তা*** কথাটা কি  দোয়ার ফাকে বলে ফেললাম নাকি যেহতু জিহবা নড়ছিলো দোয়া পরার জন্য কিন্তু মনে তা*** ওয়াস ওয়াসা থাকার কারনে মনে হল গুলিয়ে কি বলে ফেললাম নাকি বলিনি সন্দেহে পরে যাই।। সন্দেহ হয় জিহবা নাড়ানো নিয়ে ,নামাজে সূরা পরার সময়,কথা বলার সময় ,খাবার খাওয়ার সময়, আমার কানের কাছে কেউ জোরে কথা বললে আতংকিত হয়ে যাচ্ছি,এমনকি হাই তুলতে , ঘুমের মধ্যে ও খুব সমস্যা হচ্ছে মনে হয়  তা**** বলে ফেললাম কিনা শুধু সন্দেহ থাকে । পানি খাওয়ার সময় মনে হচ্ছে জিহবা নাড়িয়ে কিছু বললাম কি না । জিহবা নড়েছে হয়ত অন্য যেকোন কারনে সন্দেহ হয় ,কিন্তু কানে ও কিছু শুনিনা  ঠোট ও নড়েনা,এমনকি আমার এসমস্থ কথা বলার কোন উদ্দেশ্য ও থাকেনা কিন্তু সন্দিহান হয়ে পড়ি। আমি সিউর আমি কিছু বলি নি কিন্তু জিহবা  নাড়ার কারনে সন্দেহ বেড়ে যায় । সিউর হতে পারিনা। আপনি বিশ্বাস করেন , আমি ঢোক গিলতে ও এত সাবধানে ঢোক গিলি সেখানে শব্দ হলেও আতংকিত হয়ে পড়ে । এই হল আমার অবস্থা। মনে ওই চিন্তা আসলেই মাথা ঝাকিয়ে অন্য কাজে মন দিতে চেষ্টা করি। আমি দিনে যতক্ষন জেগে থাকি এই টেনশনের বাহিরে আমার অন্য কোন চিন্তা থাকেনা। ঘুমের মধ্যেও এই চিন্তা ।
৩)কোন একটা সাধারন  বিষয়ে কথা বলার মাঝখানে স্ত্রী আমাকে খুনসুটি বা দুষ্টুমি করে বলে ,তুমি তো ক্ষেত ,আনস্মার্ট , কি দেইখা যে তোমাকে বিয়ে করলাম ? আগে এমন জানলে বিয়ে তো করতাম না। ঊত্তরে আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি এই সমস্ত কথা বলা এখন উচিত না যেহেতু আমি ওয়াসওয়াসার রোগী উল্টা পাল্টা চিন্তা শুধু মাথায় ঘোরে ।মানে এই সমস্ত কথা না বলার জন্য বলি । তারপর আগের কথায় ফিরে আসার উদ্দেশ্যে স্ত্রীকে বলি, " কি বলতে চেয়েছো সেটা আগে শেষ কর"।

মজা করে বললে ,"কি দেইখা বিয়ে করলাম ,আগে জানলে বিয়ে করতাম না ?"
এটা কি মজলিস হবে

তারপর আগের কথায় ফিরে আসার উদ্দেশ্যে স্ত্রীকে বলি, " কি বলতে চেয়েছো সেটা আগে শেষ কর" মানে আগের অপূর্ণ কথা টা শেষ করার উদ্দেশ্য বলা।

"আগে শেষ কর"কি কেনায়া বাক্য হবে? আর সেখানে কোন নিয়ত ও ছিলোনা।

৪) ৩ নাম্বার পয়েন্টের কথা শেষ করে আমি বলি আচ্ছা ঠিকাছে কাল কথা হবে। স্ত্রী রাগ করে বলে , "আমি আর তোমার সাথে কথা বলবো না, প্রযোজনে সিম ও মোবাইল ভেঙে ফেলবো  "। আমি জিগ্যেস করলাম কেনো সে বলে  আমি ফোন করলে সে ধরবে না (এখানে তা*** ইংগিত করেনি) । আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করি এই সমস্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকতে সে বলে আমি অন্য কিছু বুঝাইনি( মানে তা*** বুঝায়নি) । বুঝাতে ব্যর্থ হলে আমি রাগ করি এক পর্যায়ে  উত্তেজিত হয়ে গালি ও দিয়ে ফেলি যাতে এই ধরনের কথা না বলে। আর  আমি কোন কেনায়া বাক্য বলি নি ।
"আমি আর তোমার সাথে কথা বলবো না" এই কথা কি তা** আবেদন বুঝায়। একথার দারা কি মজলিস হয়ে যাবে ?
এই কথা বলার পর কেনায়া বাক্য উচ্চারণ করিনি তবে গালি দিয়েছি  কুকু*** বাচ্চা বলে (ক্ষমা করবেন) উত্তেজিত হয়ে যাতে সে এই ধরনের কথা না বলে  এবং কেন এই কথা বলছে সেই বিষয়ে শাষন করতে। উত্তেজিত অবস্থায় গালি গুলো কি কেনায়া হিসেবে গন্য হয়?

৫) কেউ যদি বলে দুনিয়া থাকতে ভালো লাগেনা। এত মেন্টালি টর্চার আর সহ্য হয় না। মন চায় সুইসাইড করি বা সব ছেড়ে কোথাও চলে যাই। হতাশাগ্রস্থর ব্যাক্তির এসব কথা কি কেনায়া বাক্য।

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/53172/ ফতোয়া মোতাবেক আপনার তালাক পতিত হবেনা।
আপনি ওয়াসওয়াসার রুগী। 
তাই আপনার জন্য ছাড় রয়েছে।
আপনি নিশ্চিত থাকুন। 

আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পাকড়াও করবেননা।

তবে এ কথা গুলো এড়িয়ে চলা আপনার জন্য খুবই জরুরী। 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এখান থেকে নিজেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আপনার জন্য কিছু পরামর্শঃ-

অহেতুক পেরেশানী করে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। আপনি কিছুদিন বাহিরে থাকুন।
তাবলিগে গিয়ে ৪০ দিন সময় লাগান,চিল্লায় চলে যান, মনের তীব্র কনফিউশন থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিন। 
,
আপনি তালাক নিয়ে যতই চিন্তা করুন না কেন, কিংবা মনে মনে কথা বলুন না কেন, কিংবা মনে মনে যতই উল্লেখিত শর্ত আওড়ান না কেন, কিংবা নিয়ত ও সংকল্প করুন না কেন– যতক্ষণ পর্যন্ত মুখে উচ্চারণের বিষয়টি পরিপূর্ণ নিশ্চিত হবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত তালাক হবে না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لأُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ وَحَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ بِهِ

‘নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসা, মনে মনে কথা বলা ক্ষমা করে দিয়েছেন; যতক্ষণ না সে কর্ম করে কিংবা কথা বলে।’ (সহিহ বুখারী ৬৬৬৪ সহিহ মুসলিম ১২৭)

আরো পরামর্শ জানুনঃ- 

(০২)
তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।

(০৩)
★"কি দেইখা বিয়ে করলাম ,আগে জানলে বিয়ে করতাম না ?"
এটা তালাকের মজলিস হবেনা।

★" কি বলতে চেয়েছো সেটা আগে শেষ কর" মানে আগের অপূর্ণ কথা টা শেষ করার উদ্দেশ্য বলা।

"আগে শেষ কর"এটা কেনায়া বাক্য হবেনা।

★প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

 (০৪)
"আমি আর তোমার সাথে কথা বলবো না" এই কথা  তালাকের আবেদন বুঝায়না। একথার দ্বারা তালাকের মজলিস হয়ে যাবেনা।

উত্তেজিত অবস্থায় গালি গুলো কেনায়া হিসেবে গন্য হবেনা।

(০৫)
হতাশাগ্রস্থ ব্যাক্তির এসব কথা তালাকের কেনায়া বাক্য নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...