আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ,

শায়খ আমি ১-২ মাস যাবত রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে ভয় পাই। নামাজে দাড়ালে মনে হয় পিছনে কেউ আছে বা হাটছে।  কিছু দিন আগে আমি নামাজরত অবস্থায় হাটার শব্দও পাই। এছাড়াও আমি ২-৩ বছর থেকেই স্বপ্ন দেখি যে ভয়ংকর গরু আমার পিছু নেই। অনেক সময় একটা গরু অনেক সময় অনেক গুলো গরু তবে আলহামদুলিল্লাহ আমি প্রতেকবার বেচে চাই। তাই আমি একজন আলেম থেকে চিকিৎসা চাই। তিনি আমাকে পানি পড়ে দেন এবং ওই পানি দিনে ৩-৪ বার খেতে বলেন,ওই পানি সাধারণ পানির সাথে মিশিয়ে ওযু(পা ধোয়া ব্যতীত)করে রাতে ঘুমোতে বলেন। রাতে অন্যান্য যিকির-আযকার করে বুকের বাম পাশের অর্থাৎ হ্নদয়ের ৪ আঙুল নিচে হাতের আঙুল দিয়ে  উমর (عمر) লিখতে বলেছেন। এটা কী আমি করতে পারবো? সহিহ? কুফর বা শিরক হয়ে যাবে না তো?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে আপনি উক্ত আমল গুলো করতে পারেন।
এগুলো বুযুর্গানে দ্বীনের পরিক্ষিত আমল,কুরআন হাদীসে বর্ণিত আমল নয়।

আকীদা বিশুদ্ধ রেখে আবশ্যকীয় মনে না করে করতে পারেন।

সাথে সাথে ফজর নামাজের পর, মাগরিব নামাজের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে তিন কুল পরে শরীরে ফুক দিতে পারেন।
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়বেন।

সকাল-সন্ধ্যায় তিন কুল (সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস)   তিনবার করে পড়ার কথা হাদীসে বর্ণিত হয়ছে। 

عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خُبَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا فِي لَيْلَةٍ مَطِيرَةٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيدَةٍ نَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي لَنَا – قَالَ – فَأَدْرَكْتُهُ فَقَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا . قَالَ ” قُلْ ” . قُلْتُ مَا أَقُولُ قَالَ ” قُلْ : هوَ اللَّهُ أَحَدٌ وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي وَتُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ ”
আবদুল্লাহ ইবন খুবায়ব তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক বর্ষণমুখর রাতে গভীর অন্ধকারে আমাদের জন্য দু’আ করার উদ্দেশ্যে আমারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তালাশ করতে বের হলাম। এক স্থানে গিয়ে আমি তাঁকে পেলাম।
তখন তিনি বললেনঃ বল।
আমি কিছুই বললাম না।
তিনি আবার বললেনঃ বল।
আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি আমাকে বললেনঃ বল। আমি বললামঃ কি বলব?
তিনি বললেনঃ “সকাল-সন্ধ্যায় কুল হুয়াল্লাহু আহাদ এবং মুআওওয়াযাতায়ন (কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক ও কুল আউযু বিরাব্বিন নাস) তিন বার পাঠ করবে; তবে তা সব কিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।”
[তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭৫ [আল মাদানী প্রকাশনী] হাদীসটির সনদ হাসান, তা’লীকুর রাগীব ১/২২৪, আল কালিমুত তাইয়্যিব ১৯/৭]


★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তিন বার তিন বার করে প্রত্যেক সুরা পড়ে তার পর দুই হাতে ফু দিয়ে পুরো শরীরের উপর উক্ত হাত ফিরাইবেন।
এটাই অনেকে বলেছেন।
তবে এক্ষেত্রে শুধু সুরা পড়াই মূল বিষয়। 
হাত দিয়ে মুছে দেওয়ার কথা হাদীসে নেই।
এটি বুযুর্গানে দ্বীনের আমল। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 82 views
...