জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে আপনি উক্ত আমল গুলো করতে পারেন।
এগুলো বুযুর্গানে দ্বীনের পরিক্ষিত আমল,কুরআন হাদীসে বর্ণিত আমল নয়।
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে আবশ্যকীয় মনে না করে করতে পারেন।
সাথে সাথে ফজর নামাজের পর, মাগরিব নামাজের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে তিন কুল পরে শরীরে ফুক দিতে পারেন।
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়বেন।
সকাল-সন্ধ্যায় তিন কুল (সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস) তিনবার করে পড়ার কথা হাদীসে বর্ণিত হয়ছে।
عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خُبَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا فِي لَيْلَةٍ مَطِيرَةٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيدَةٍ نَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي لَنَا – قَالَ – فَأَدْرَكْتُهُ فَقَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا . قَالَ ” قُلْ ” . قُلْتُ مَا أَقُولُ قَالَ ” قُلْ : هوَ اللَّهُ أَحَدٌ وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي وَتُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ ”
আবদুল্লাহ ইবন খুবায়ব তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক বর্ষণমুখর রাতে গভীর অন্ধকারে আমাদের জন্য দু’আ করার উদ্দেশ্যে আমারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তালাশ করতে বের হলাম। এক স্থানে গিয়ে আমি তাঁকে পেলাম।
তখন তিনি বললেনঃ বল।
আমি কিছুই বললাম না।
তিনি আবার বললেনঃ বল।
আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি আমাকে বললেনঃ বল। আমি বললামঃ কি বলব?
তিনি বললেনঃ “সকাল-সন্ধ্যায় কুল হুয়াল্লাহু আহাদ এবং মুআওওয়াযাতায়ন (কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক ও কুল আউযু বিরাব্বিন নাস) তিন বার পাঠ করবে; তবে তা সব কিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।”
[তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭৫ [আল মাদানী প্রকাশনী] হাদীসটির সনদ হাসান, তা’লীকুর রাগীব ১/২২৪, আল কালিমুত তাইয়্যিব ১৯/৭]
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তিন বার তিন বার করে প্রত্যেক সুরা পড়ে তার পর দুই হাতে ফু দিয়ে পুরো শরীরের উপর উক্ত হাত ফিরাইবেন।
এটাই অনেকে বলেছেন।
তবে এক্ষেত্রে শুধু সুরা পড়াই মূল বিষয়।
হাত দিয়ে মুছে দেওয়ার কথা হাদীসে নেই।
এটি বুযুর্গানে দ্বীনের আমল।