ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো আকীদা বিশুদ্ধ রেখে স্ত্রী সহবাসের সময় স্ত্রীর অনুমতিক্রমে আযলের অনুমতি রয়েছে।
তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ আযল করতে সাহাবায়ে কেরামদের অনুৎসাহিত করেছেন।
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، قَالَ: دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ عَنِ العَزْلِ؟، فَقَالَ: أَبُو سَعِيدٍ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَبِ فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ وَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْفِدَاءَ فَأَرَدْنَا أَنْ نَعْزِلَ، ثُمَّ قُلْنَا نَعْزِلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوا، مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلَّا وَهِيَ كَائِنَةٌ
ইবনু মুহায়রিয (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মাসজিদে প্রবেশ করে সেখানে আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযি.)-কে দেখতে পেয়ে তাঁর কাছে গিয়ে বসি এবং তাকে ‘আযল’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। আবূ সাঈদ (রাযি.) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বনু মুসতালিকের যুদ্ধাভিযানে বের হই। তখন আমাদের হাতে কিছু মহিলা বন্দী হয়। ঐ সময় আমরা স্ত্রীদের থেকে দূরে অবস্থান করায় নারী বন্দীদের প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। অতঃপর আমরা তাদেরকে অধিকমূল্যে বিক্রি করার ইচ্ছায় তাদের সাথে আযল করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা ভাবলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝেই আছেন। কাজেই তাকে কিছু জিজ্ঞেস না করে আযল করা উচিত হবে না। সুতরাং আমরা এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ তোমরা এরূপ না করলে কি ক্ষতি? কেননা কিয়ামাত পর্যন্ত যারা সৃষ্টি হবে বলে নির্ধারিত তারা তো জন্মাবেই।
(আবু দাউদ ২১৭২)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যেহেতু শরীয়তে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে স্ত্রী সহবাসের সময় স্ত্রীর অনুমতিক্রমে আযলের অনুমতি রয়েছে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শারীরিক সম্পর্কের আগে বাচ্চা না হওয়ার দোয়া করাও জায়েজ আছে।
(০২)
ওদি নাপাক।
তবে এক দিরহামের কম লাগলে তাহা মাফ।
মযি আর ওদির হুকুম একই।
এতে গোসল ফরজ হবেনা,তবে অযু ভেঙ্গে যাবে।
শরীর বা কাপড়ে লাগলে তাহা পাক করতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، قَالَ كُنْتُ أَلْقَى مِنَ الْمَذْىِ شِدَّةً وَكُنْتُ أُكْثِرُ مِنْهُ الاِغْتِسَالَ فَسَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ : إِنَّمَا يُجْزِيكَ مِنْ ذَلِكَ الْوُضُوءُ . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ بِمَا يُصِيبُ ثَوْبِي مِنْهُ قَالَ : يَكْفِيكَ بِأَنْ تَأْخُذَ كَفًّا مِنْ مَاءٍ فَتَنْضَحَ بِهَا مِنْ ثَوْبِكَ حَيْثُ تُرَى أَنَّهُ أَصَابَهُ
সাহল ইবনু হুনাইফ রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার অত্যধিক মযী নির্গত হত তাই আমি অধিক গোসল করতাম। অতঃপর আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞাসা করি তিনি বলেন, মযী বের হওয়ার পর অযু করাই যথেষ্ট। তখন আমি বলি, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার কাপড়ে মযী লাগলে কি করব? তিনি বলেন, কাপড়ের যে যে স্থানে মযীর নিদর্শন দেখবে, এক আজলা পানি নিয়ে উক্ত স্থান ধুয়ে নিবে, যাতে তা দূরীভূত হয়। (আবু দাউদ ২১০)
(০৩)
গামছা তো নাপাক হয়েছেই।
বাকি গামছার যেই অংশে নাপাকি লেগেছিলো,সেই অংশ আপনার শরীরে লাগলে শরীরও নাপাক হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে সতর্কতামূলক শরীর পাক করে নিবেন।
(০৪)
পেশাবের পর বের হলে তাহা ওদি।
আর সহবাসের পর বের হলে সেটিকে বীর্যের অংশ বলা হবে।