আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
151 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,
আমরা লক্ষ করি একই হাদিস বুখারী মুসলিম বা যেকোনো কিতাবের হাদিস গুলো প্রকাশনী ভেদে নম্বর একেবারেই মিল নেই।যে কারণে রেফারেন্স খুজে পেতে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়।আবার কেউ দালীল চাইলে তার সংগে মেলেনা।এটা অনেকখানি বিব্রতকর।

অথচ কুরআনের সূরা নম্বর,আয়াত সব পৃথিবীব্যাপী একই হওয়ায় মারাত্মক সুবিধা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন হল,একই সংকলণকারীর হাদিসের কিতাবের প্রকাশনী ভেদে নম্বর অমিল হয়ে যায় কেন?অথচ ভিন্ন প্রকাশনীর কুরআনের আয়াত নম্বরে অমিল হচ্ছেনা।এটাকি ইচ্ছাকৃত?

যদি ইচ্ছাকৃত হয় তবে কেন এমন করা হচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যেহেতু কুরআনের সূরা ও আয়াত সুনির্ধারিত, তাই কুরআনের আয়াত নিয়ে কোনো মতপার্থক্য নাই। হাদীসের কিতাব সমূহের মধ্যে হাদীসের নাম্বারে বৈপরীত্য থাকার অনেক কারণ রয়েছে,এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হল, 
(১)
হাদীসের নুসখার মধ্যে হাদীসের কমবেশ হওয়ার কারণে নাম্বারে বৈপরীত্যতা চলে এসেছে। যেমন বুখারী শরীফের নুসখা সমূহের মধ্যে কোনো নুসখায় একটি বা একাধিক হাদীসের কিতাবের প্রথমে বা শেষে বেশী চলে এসেছে, তাই শেষপর্যন্ত নাম্বারে বৈপরীত্যতা চলে এসেছে।

(২)
কোনো কোনো নুসখায় একজাতীয় একাধিক হাদীসকে নিয়ে আসা হয়েছে,যা মুসান্নিফ রাহ লিখেছিলেন। আবার কোনো কোনো নুসখায় একজাতীয় একাধিক হাদীসকে বিলুপ্ত করে শুধুমাত্র প্রথমবার একটি হাদীস নিয়ে আসা হয়েছে, পরবর্তীতে আর কোনো হাদীস নিয়ে আসা হয়নি।

(৩)
বিশেষকরে মুসলিম শরীফের হাদীসে বৈপরীত্যতা বেশী। কেননা ইমাম মুসলিম রাহ প্রথমে একটি ভুমিকা লিখেছিলেন, সেই ভুমিকায় অনেকগুলো হাদীস তিনি নিয়ে এসেছেন। 

এখন কেউ কেউ কিতাবের ভুমিকা বা মুকাদ্দিমা থেকে হাদীস গণনা শুরু করে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ ইমাম মুসলিম রাহ ভুমিকা শেষ হওয়ার পর যেখান থেকে মূল আলোচনা শেষ করেন, সেখান থেকে হাদীসকে গণনা করেছে।


মোটকথাঃ- এসব কারণ সহ আরো অনেকগুলো কারণে হাদীসের নাম্বারের মধ্যে মতপার্থক্য হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...