ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যেহেতু কুরআনের সূরা ও আয়াত সুনির্ধারিত, তাই কুরআনের আয়াত নিয়ে কোনো মতপার্থক্য নাই। হাদীসের কিতাব সমূহের মধ্যে হাদীসের নাম্বারে বৈপরীত্য থাকার অনেক কারণ রয়েছে,এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হল,
(১)
হাদীসের নুসখার মধ্যে হাদীসের কমবেশ হওয়ার কারণে নাম্বারে বৈপরীত্যতা চলে এসেছে। যেমন বুখারী শরীফের নুসখা সমূহের মধ্যে কোনো নুসখায় একটি বা একাধিক হাদীসের কিতাবের প্রথমে বা শেষে বেশী চলে এসেছে, তাই শেষপর্যন্ত নাম্বারে বৈপরীত্যতা চলে এসেছে।
(২)
কোনো কোনো নুসখায় একজাতীয় একাধিক হাদীসকে নিয়ে আসা হয়েছে,যা মুসান্নিফ রাহ লিখেছিলেন। আবার কোনো কোনো নুসখায় একজাতীয় একাধিক হাদীসকে বিলুপ্ত করে শুধুমাত্র প্রথমবার একটি হাদীস নিয়ে আসা হয়েছে, পরবর্তীতে আর কোনো হাদীস নিয়ে আসা হয়নি।
(৩)
বিশেষকরে মুসলিম শরীফের হাদীসে বৈপরীত্যতা বেশী। কেননা ইমাম মুসলিম রাহ প্রথমে একটি ভুমিকা লিখেছিলেন, সেই ভুমিকায় অনেকগুলো হাদীস তিনি নিয়ে এসেছেন।
এখন কেউ কেউ কিতাবের ভুমিকা বা মুকাদ্দিমা থেকে হাদীস গণনা শুরু করে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ ইমাম মুসলিম রাহ ভুমিকা শেষ হওয়ার পর যেখান থেকে মূল আলোচনা শেষ করেন, সেখান থেকে হাদীসকে গণনা করেছে।
মোটকথাঃ- এসব কারণ সহ আরো অনেকগুলো কারণে হাদীসের নাম্বারের মধ্যে মতপার্থক্য হয়েছে।