আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
280 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম 

শায়েখ,

আগের প্রশ্ন ও উওর : দেখার অনুরোধ করছি শায়েখ -
https://ifatwa.info/55576/

হুজুর আমাকে এই মানসিক কষ্ট থেকে বাচাতে আপনার সাহায্য প্রয়োজন। ---

& আমি তালাকের চিন্তা কিছুতেই মন থেকে সরাতে পারছি না। আজ সকালে ওয়াইফ এর সাথে ফোনে কথা বলার সময় মনের ভিতর তালাক নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলে আসলো। "তালাক দিয়ে দেবো " এমন কোন চিন্তা হতে পারে। সেটা আমি মুখে উচ্চারন করলাম কিনা আমি সন্দিহান। সম্ভবত মনে আসছে কিন্তুু আমার মনে হচ্ছে মুখে বলছি। ফোনে ওয়াইফের সাথে কথা বলতে গেলে মনের ভিতর তালাক,তালাক আসতেই থাকে। মাঝে মাঝে জিব্বা নাড়িয়ে তালাক বলে ফেলি সম্ভবত কিন্তুু মুখে কোন শব্দ হয় না।  আমি এই সন্দেহ সবসময় ফিল করি। এথেকে মুক্ত হতে পারছি না। কোন প্রকার শব্দ মুখ দিয়ে বের হলেই আমার মনে হয় তালাক উচ্চারন করে ফেললাম। গত রাতে ওয়াসরুমে যাবার পর তালাকের চিন্তা মাথায় আসার পর আমি তালাক উচ্চারন করলাম কিনা তাতেও আমার সন্দেহ হচ্ছে। ওয়াসরুমে গেলে এই সমস্যা বেশি হয়। ঘুমের ভিতরেও মাঝে মাঝে তালাক রিলেটেড স্বপ্ন দেখছি । ঘুম থেকে ওঠার সময় তালাকের শব্দ মনে আসার সাথে সাথে মুখ চেপে রাখার ট্রাই করছিলাম। তারপরেও উচ্চারন হলো কিনা আমি সন্দিহান। এভাবে তো বেচে থাকা মুশকিল। খাওয়ার সময় তালাক,তালাক বেশি মনে পড়ে। খেতে খেতে যখন মুখ নড়ছে তখন মনে হচ্ছে তালাক উচ্চারন করে ফেলছি। কিন্তুু আমি নিজের কানে স্পষ্টভাবে শুনতে পারছি না। এবং আমার বিশ্বাস যদি কেউ আমার পাশে বসে থাকে সে ও শুনতে পারবে না। আমি বুঝতে পারছি যে,আমি যখন মনে মনে কথা বলি তখন আমার কাছে এতটায় রিয়েল মনে হয় যেন আমি উচ্চারন করলাম। আবার কোন সময় যদি আমি আনমনা থাকি, পরে মনে হয় কিছুসময় আগে বা যখন আনমনা ছিলাম তখন কি তালাক বললাম, এমন সন্দেহ আমাকে হতাশার মাঝে ডুবিয়ে রাখে। কোন কিছুতেই মন বসাতে পারি না। 
এতে কি তালাক হবে শায়েখ ???


(১)" তোমার যা খুশি তাই করো "
" তুমি যা ভাল বোঝো তাই কর "
এগুলা কি কেনায়া শব্দ শায়েখ???

স্বাভাবিক কথাবার্তার ভিতরে যদি এসব কথা বলে ফেলছি তো ভয় লাগা শুরু হচ্ছে। তালাক হয়ে গেল কিনা। ওয়াইফের সাথে কোন অভিমানে বা স্বাভাবিকভাবে এসব শব্দ বলে ফেলছি তো মনে হচ্ছে তালাক দিয়ে দিলাম । আমার তালাকের মারাত্তক ওয়াসওয়াসা আছে। সবসময় তালাক,তালাক মনের ভিতর চলতে থাকে। এমন অবস্হায়- তোমার যা খুশি তাই করো "
- তুমি যা ভাল বোঝো তাই কর"
  এসব উচ্চারন হয়ে গেলেই মনে হচ্ছে তালাক দিয়ে দিলাম। যেহেতু মনে তালাক তালাক সবসময় আসে। তাই মনে হয়ে যায় যে আমি মনে হয় তালাকের নিয়তেই বললাম। মনে কনফিউশন কাজ করে।


(২) ঘুম ভংগার পর তালাক নিয়ে নানা ধরনের কল্পনা চলে আসছে। তখন হালকা ঝিমকি আসলে তালাক শব্দ উচ্চারন  করে ফেলছি কিনা আমি সন্দিহান।সজাগ থাকা কালিন কন্টোল করি যেন মুখ দিয়ে না বের হয়। কিনতু হালকা ঘুম ঘুম থাকা অবস্থায় তালাক উচ্চারন হয়ে যাচ্ছে কিনা আমি সন্দিহান।
আজকে সজাগ হবার ঠিক আগ মুহুর্তে কি যেন বললাম মনে হল,  তালাক বললাম কিনা আমি সন্দিহান। এজন্য কি তালাক হবে??

(৩) যদি তুমি ভেবে থাকো আলাদা হবা, তাহলে শুনে রাখো তোমার মত বঊ ৮/১০ টা আসবে যাবে তবু আমি মা বাবার সাথে আলাদা হব না। এটা কি কেনায়া শব্দ?

এতে কি তালাক হবে?

(৪) ওয়াসরুম ঠিকমত পরিস্কার করে না বলে ওয়াইফের সাথে একটু রাগ হয়ে কথা বলছিলাম। কথা বলার এক পর্যায় সম্ভবত আমি বললাম - পরিস্কার করলে করবা, না করতে পারলেও বলো, আমি দেখছি কিভাবে করতে পারি। তালাকের ওয়াসওয়াসা থাকার কারনে তখনি আমার মনে হলো আমি নতুন বিয়ে করার নিয়তে এ কথা বলছি । এজন্য আমি যে কোন কথা বলে ভয়ে ভয়ে  থাকি কোন কথা কেনায়া হয়ে যায় কিনা। এতে কি তালাক পতিত হবে ?

(৫) আমার ওয়াইফকে  নিয়ে ফোনে খালার সাথে কথা বলছিলাম। আমার সাথে আমার ওয়াইফের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না  তাই ওয়াইফের ব্যাপারে আমি বললাম যে, আমি আর পারছি না খালা। তার সম্পর্কে অনেক নেগেটিভ কথা বললাম। মাঝে আর কি কথা হল ঠিক মনে করতে পারছি না। শেষে আমি বললাম যে, অনেককিছু হয়ে যাবার পর যেন আল্লাহ সঠিক বুঝ না দেই। আমি মিন করতে চাইছি যে, তালাক হয়ে যাবার পর যেন আল্লাহ তাকে সঠিক বুদ্ধি না দেই।

এতে কি তালাক হবে শায়েখ..??

(৬) মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে মুখ দিয়ে জোর করে তালাক শব্দ বেরিয়ে যাবে। যদিও আমি স্পষ্ট শব্দ শুনছি না। জিব্বা ত্ব তে গিয়ে আটকিয়ে যাচ্ছে। আবার মাঝে মাঝে আনমনা হয়ে উচ্চারন করে ফেলছি মনে হচ্ছে। আমি মানসিক ভাবে ভেংগে পড়েছি শায়েখ। এতে কি তালাক হবে? 


সবকিছুতে আমার সন্দেহ হচ্ছে। ভয়ে কোন কথা বলতে পারি না। আমার জন্য বেচে থাকা মুশকিল হয়ে গেছে হুজুর। কিছু ভালো লাগে না।স্বাভাবিক কথা বললেও মনে হয় কেনায়া শব্দ হয়ে গেল বুঝি।

@আমি মানসিকভাবে অসুস্থ। মারাত্তক  ওয়াসওয়াসার স্বিকার বলতে পারেন। আমার জন্য কি শরিয়তে কোন ছাড় আছে??

by (14 points)
ঘুম ভেংগে গেলে সাথে সাথে আমার মুখ দিয়ে তালাক বেরিয়ে যাচ্ছে শায়েখ। এটি কি ওয়াসওয়াসা?

1 Answer

0 votes
by (567,120 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

https://ifatwa.info/55576/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে আপনার তালাক পতিত হবেনা।
তাই আপনি নিশ্চিত থাকুন। 

আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এখান থেকে নিজেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আপনার জন্য কিছু পরামর্শঃ-

অহেতুক পেরেশানী করে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। আপনি কিছুদিন বাহিরে থাকুন।
তাবলিগে গিয়ে ৪০ দিন সময় লাগান,চিল্লায় চলে যান, মনের তীব্র কনফিউশন থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিন। 
,
আপনি তালাক নিয়ে যতই চিন্তা করুন না কেন, কিংবা মনে মনে কথা বলুন না কেন, কিংবা মনে মনে যতই উল্লেখিত শর্ত আওড়ান না কেন, কিংবা নিয়ত ও সংকল্প করুন না কেন– যতক্ষণ পর্যন্ত মুখে উচ্চারণের বিষয়টি পরিপূর্ণ নিশ্চিত হবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত তালাক হবে না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لأُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ وَحَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ بِهِ

‘নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসা, মনে মনে কথা বলা ক্ষমা করে দিয়েছেন; যতক্ষণ না সে কর্ম করে কিংবা কথা বলে।’ (সহিহ বুখারী ৬৬৬৪ সহিহ মুসলিম ১২৭)

★আপনি তালাক সংক্রান্ত কোন মাসআলা পড়বেন না। কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না।
তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন করবেননা। 

মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না। আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন। ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان
‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

★সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন-

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

 (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও শয়তানের সংস্পর্শ থেকে।)

★ফজর ও মাগরিবের পর এবং ঘুমানোর আগে সূরা ফালাক ও নাস পড়ুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,
গত কিছুদিন  ifatwa.com ফলো করে দেখলাম অনেকই তালাক, নাপাক, কুফরি নিয়ে ওয়াসওয়াসায় ভুগছেন। মানুষের মনে চিন্তা আসাটা স্বাভাবিক কিন্তু একই চিন্তা যদি রিপিটেডলি আসতে থাকে,যা সে করতে চায়না এবং এ চিন্তা থেকে বের হতে না পারে তাহলে এটি একটা মানসিক রোগ। যাকে মেডিক্যালের ভাষায় অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার (OCD) বলেযা সাধারণত ব্রেইনের সেরোটোনিন নামক একটা নিউরোকেমিক্যালের হ্রাস-বৃদ্ধির জন্য হয়ে থাকে। অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা এ রোগে পরিনত হয় এবং আক্রান্ত রোগীকে মানসিকভাবে অনেক কষ্ট দিতে থাকে। ইনশাআল্লাহ এ রোগ ৩/৪ মাস মেডিসিন ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয়, সাথে আল্লাহর কাছে এ রোগ মুক্তির দোয়া করতে হয়। 
তাই আপনাদের অনুরোধ করব, ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির আমল গুলার সাথে যেন সাইকিয়াট্রিস্ট এর পরামর্শ নিতে বা কোন সরকারি মেডিকেলের সাইকিয়াট্রি বিভাগের আউটডোরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

জাযাকাল্লাহু খাইরান 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...