আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। খুব অকওয়ার্ড একটা প্রশ্ন নিয়ে হাজির হলাম। মেয়েলি ব্যাপার যেহেতু তাই বলতে খুব দ্বিধান্বিত লাগছে কিন্তু আমি অনন্যোপায়।
আমি অবিবাহিতা আমার অনিয়মিত হায়েযের অভ্যাস আছে, ২/৩ মাস পরপর নাপাক হই কিন্তু যখন হায়েয হয় সাধারণত ৩-৫ দিন স্থায়ী হয়। প্রায় ২.৫ মাস পর বৃহস্পতিবার সকালে ফজর পড়ার সময় কোনোরকম কিছু ছিলো না, সকাল আটটার দিকে অপবিত্রতা বুঝতে পারি এবং যোহর থেকে সলাত পড়া বন্ধ করি। কিন্তু শুরু থেকে থেকেই নাপাকি এতই সামান্য যে কোনোরকম দু-এক ফোঁটা বাইরে দৃষ্টি গোচর হচ্ছে  তা বাদে ন্যাপকিনের প্রয়োজনও পড়ছে না। হায়েযের রক্তে তো দূর্গন্ধ থাকে ইউজুয়ালি কিন্তু প্রথমদিনে এমন হালকা গন্ধ থাকলেও এরপর আর কোনো দুর্গন্ধ বোঝা যায়নি। একদম লালচে তাজা রক্ত মনে হচ্ছে।

১. এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী হতে পারে? আমি কি হায়েয ধরে নিবো নাকি ইস্তিহাযা?

২. আসলে ৩ দিন গণনার পদ্ধতি কী? এটা কি শুরুর সময় থেকে ২৪ ঘন্টা ধরে ধরে একেক দিন হিসাব করবো, তাহলে হয়তো আমার জন্য হিসাব করতে সুবিধা হয়।

৩. যদি হিসাব অনুযায়ী ৩ দিনের আগেই নাপাকি শেষ হয় তাহলে কি ইস্তিহাযা ধরে নিয়ে বৃহস্পতিবার যোহর থেকে সবগুলো সালাত কাযা আদায় করতে হবে?

৪. যদি নাপাকি স্থায়ী হয় ৫ দিনেরও বেশি তাহলে কি ৫ দিনকে ধরে নিয়ে বাকি দিনগুলো ইস্তিহাযা ধরে সালাত কন্টিনিউ করবো?

৫. নাকি ৫ দিন ওভার করলে ১০ দিন অবধি অপেক্ষা করবো? ১০ দিন পরেও যদি বন্ধ না হয় তখন কি ৫ দিনকে হায়েয ধরে ৬ষ্ঠ দিন থেকে সালাতগুলো সব কাযা আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
আপনি এটিকে হায়েজ ধরবেন।

(০২)
হ্যাঁ, স্রাব আসার শুরুর সময় থেকে ২৪ ঘন্টা ধরে ধরে একেক দিন হিসাব করবেন।

(০৩)
হ্যাঁ, সেক্ষেত্রে সব গুলো নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।

(৪-৫)
যদি নাপাকি  স্থায়ী হয় ৫ দিনেরও বেশি, তবুও আপনি হায়েজ হিসেব নামাজ বন্ধ রাখবেন।

হ্যাঁ যদি ১০ তম দিনে এসেও হায়েজ বন্ধ না হয়,সেক্ষেত্রে ১১ তম দিন থেকে ইস্তেহাজা ধরবেন।
এই ১১ তম দিন থেকে নামাজ আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (16 points)
জাযাকাল্লাহ খাইর শাইখ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...