আসসালামুআলাইকুম। হুজুর আমি ঈমান ভংগের কারন জানার পর ওয়াসওয়াসায় ভুগতেছিলাম।
১.আমি একদিন মনে মনে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে চিন্তা করতেছিলাম। তখন আমার মনে হয় বা আমার মনের মধ্যে চিন্তা হয় মানুষ তার মনের নিয়ন্ত্রণকারী। এই কথা আমার মনে হওয়ার পর বা মনে মনে বলার পর আমার মনে হয় যে, আল্লাহ তো সব কিছু নিয়ত্রন করেন। তখন আমি ইস্তিগফার পড়ি। তারপর আমার মনে হয় যে, আমরা যে পাপ করি তা প্রব্রিত্তির অনুসরণ করে। আল্লাহ তো মানুষকে বিবেক বুদ্ধি দিয়েছে সে ভালো মন্দ বোঝে। আল্লাহ যদি মনের নিয়ন্ত্রণকারী হয় তাহলে তো মানুষ পাপ করলে তো তার কোন দোষ থাকবে না।(আমি ইউটিউবে একটি ভিডিওতে দেখেছিলাম যে আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের এক্টি পাতাও নড়ে এ ই কথাটা বলা কুফরি। কারন আল্লাহ তো পাপ করতে নিষেধ করেছেন, বলতে হবে আল্লাহর বিনা অনুমতিতে গাছের এক্টি পাতাও নড়ে না) তখন উপোরক্ত এই ভিডিওর কথা আমার মনে হয় এবং আমি আবার ইইস্তিগফার পড়ি এই কথা মনে করে যে, আমার ওভাবে মনে মনে বলা বা মনে করা ভুল হয়েছে। তখন আমি আবার ইস্তিগফার পড়ি।
এখন আমার প্রশ্ন হল- এভাবে আমার মনে হওয়ার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?
২.ইগল পাখির মাছ শিকার করার ভিডিও বা বাঘের শিকার করার ভিডিও দেখে তাদের শিকার করার পদ্ধতি বা খিপ্রতা দেখে আল্লাহ আকবার বা সোবহানাল্লাহ বল্লে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?(মুলত তাদের শিকার করার পদ্ধতি দেখে বা বুদ্ধি দেখে বা খিপ্রতা দেখে আমি বলেছিলাম)
3. কেউ যদি আল্লাহ তায়া’লার আকার আছে না নিরাকার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর না জানে বা তাকে প্রশ্ন করা হলে সে যদি বলতে না পারে তাহলে তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?
৪.কেউ যদি মনে করে যে আল্লাহ নিরাকার। কিন্তু ভিডিও দেখে জানার পর ইস্তিগফার পড়ে। তার অই রকম মনে করার কারনে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? তার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?