আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
শায়েখ

আগের প্রশ্ন ও উওর : দেখার অনুরোধ করছি শায়েখ -
https://ifatwa.info/55576/

হুজুর আমাকে এই মানসিক কষ্ট থেকে বাচাতে আপনার সাহায্য প্রয়োজন। ---

(১) আমি তালাকের চিন্তা কিছুতেই মন থেকে সরাতে পারছি না। আজ সকালে ওয়াইফ এর সাথে ফোনে কথা বলার সময় মনের ভিতর তালাক নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলে আসলো। "তালাক দিয়ে দেবো " এমন কোন চিন্তা হতে পারে। সেটা আমি মুখে উচ্চারন করলাম কিনা আমি সন্দিহান। সম্ভবত মনে আসছে কিন্তুু আমার মনে হচ্ছে মুখে বলছি। ফোনে ওয়াইফের সাথে কথা বলতে গেলে মনের ভিতর তালাক,তালাক আসতেই থাকে। মাঝে মাঝে জিব্বা নাড়িয়ে তালাক বলে ফেলি সম্ভবত কিন্তুু মুখে কোন শব্দ হয় না।  আমি এই সন্দেহ সবসময় ফিল করি। এথেকে মুক্ত হতে পারছি না। কোন প্রকার শব্দ মুখ দিয়ে বের হলেই আমার মনে হয় তালাক উচ্চারন করে ফেললাম। গত রাতে ওয়াসরুমে যাবার পর তালাকের চিন্তা মাথায় আসার পর আমি তালাক উচ্চারন করলাম কিনা তাতেও আমার সন্দেহ হচ্ছে। ওয়াসরুমে গেলে এই সমস্যা বেশি হয়। ঘুমের ভিতরেও মাঝে মাঝে তালাক রিলেটেড স্বপ্ন দেখছি । ঘুম থেকে ওঠার সময় তালাকের শব্দ মনে আসার সাথে সাথে মুখ চেপে রাখার ট্রাই করছিলাম। তারপরেও উচ্চারন হলো কিনা আমি সন্দিহান। এভাবে তো বেচে থাকা মুশকিল। খাওয়ার সময় তালাক,তালাক বেশি মনে পড়ে। খেতে খেতে যখন মুখ নড়ছে তখন মনে হচ্ছে তালাক উচ্চারন করে ফেলছি। কিন্তুু আমি নিজের কানে স্পষ্টভাবে শুনতে পারছি না। এবং আমার বিশ্বাস যদি কেউ আমার পাশে বসে থাকে সে ও শুনতে পারবে না। আমি বুঝতে পারছি যে,আমি যখন মনে মনে কথা বলি তখন আমার কাছে এতটায় রিয়েল মনে হয় যেন আমি উচ্চারন করলাম। আবার কোন সময় যদি আমি আনমনা থাকি, পরে মনে হয় কিছুসময় আগে বা যখন আনমনা ছিলাম তখন কি তালাক বললাম, এমন সন্দেহ আমাকে হতাশার মাঝে ডুবিয়ে রাখে। কোন কিছুতেই মন বসাতে পারি না।
এতে কি তালাক হবে শায়েখ ???

আমাকে কিছু পরামর্শ দিন শায়েখ। আশা করি আমার সমস্যাগুলি আপনি বুঝেছেন।  ছোট ছোট বিষয়ে আমি হতাশ হয়ে যাচ্ছি। ওয়াইফ এর সাথে কথা বলার সময় শান্তি পাচ্ছি না ,কখন মুখ দিয়ে তালাক বেরিয়ে যায়। আমার ocd বা চিন্তার বাতিকগ্রস্থ রোগ আছে। মানসিক ডাক্তারের পরামর্শে কিছুদিন ঔষধ খাবার পরও চিন্তা আসা বন্ধ হয়নি। আমি আমার মনে আসা বিভিন্ন উতভট চিন্তা কন্টোল করতে পারছি না। হায় তুলতে গিয়ে একটু জিব্বা নড়লে তালাক বলে ফেলেছি ভেবে ভয় লাগা শুরু হচ্ছে।   আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। আমি কি স্বাভাবিক জিবনে ফিরতে পারবো? এই সন্দেহতো আমাকে শেষ করে ফেলছে শায়েখ। সারাটাদিন রাত আমি এসব ভাবি,  ও তালাক হয়ে গেল কিনা এসবের সন্দেহ নিয়ে দিন রাত কাটায়। আমাকে এমন কিছু পরামর্শ দিন যেন এসবের চিন্তা আমি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারি।

(২) "মারাবানা' এটা কি কেনায়া শব্দ?

(৩) কিছুদিন বাবার বাসায় ছিলে ভালো ছিলাম। আসার পর আবার অশান্তুি শুরু করলে। এটা কি কেনায়া শব্দ?

(৪) প্যাচাল পাড়ছো কেন?  এটা কি কেনায়া শব্দ?

(৫) এটা বললে কেনায়া শব্দ, ওটা বললে কেনায়া শব্দ, তাহলে তো কোন কাথায় বলা যাবে না, এভাবে তো বেচে থাকা যায় না @ এমন কথা যদি মনের ভিতর চলে আসে তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?

(৬) একটা ভিডিওতে ভগবান নাম শোনার পর আমার মনে চলে আসছে যে,  আল্লাহ ভগবান। হিন্দুরা যে ভগবানের পুজা করে আমি তাকে মানি না। সেটা মিথ্যা তাতেও কোন সন্দেহ নেই আমার। তারপরেও এমন বাজে চিন্তা আমার মনে চলে আসছে। এছাড়া আল্লাহকে নিয়ে আরো অনেক বাজে বাজে চিন্তা আসে যা আমি বলতে লজ্জাবোধ করি। মাঝে মাঝে এমন কিছু কথা মনে চলে আসে যা আমার বিশ্বাসের বিপরিত।এতে কি আমার ঈমান চলে যাবে ???

(৭) বাসায় সবসময় মা আর ওয়াইফের মাঝে সমস্যা লেগেই থাকে। আজ বাসায় আসার পর ও দেখি মা ও ওয়াইফের মাঝে সমস্যা চলছে। তাই আমি রেগে গিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আসি। আর আমার উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন আজে বাজে চিন্তা আসার দরুন মনে হতাসা নিয়ে আমি মনে মনে ভেবে বসি যে, আমি কাফের, মুরতাদ হয়ে যাবো। তারপর অন্য কিছু একটা ভাবতে গিয়ে থেমে যায়। এবং ভাবি এ আমি কি ভাবছি,!

আমার কি ঈমান চলে গেল শায়েখ?
@আমার জন্য কি শরিয়তে কোন ছাড় আছে??

1 Answer

0 votes
by (63,200 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে অন্য এক বর্ণনায় এসেছে,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ( ﺟَﺎﺀَ ﻧَﺎﺱٌ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﺴَﺄَﻟُﻮﻩُ ﺇِﻧَّﺎ ﻧَﺠِﺪُ ﻓِﻲ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻳَﺘَﻌَﺎﻇَﻢُ ﺃَﺣَﺪُﻧَﺎ ﺃَﻥْ ﻳَﺘَﻜَﻠَّﻢَ ﺑِﻪِ ، ﻗَﺎﻝَ : ﻭَﻗَﺪْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻤُﻮﻩُ ؟ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ : ﻧَﻌَﻢْ ، ﻗَﺎﻝَ : ﺫَﺍﻙَ ﺻَﺮِﻳﺢُ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ )

কিছু সংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন,আমাদের অন্তরে অনেক সময় মন্দ চিন্তাভাবনা চলে আসে।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, এটা কি সম্ভব? তারা বলল, জ্বী হ্যা। রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, মাঝেমধ্যে এমন সন্দেহ মনে উঁকি দেয়াই হল, কামিল ঈমানের পরিচায়ক। (সহীহ মুসলিম-১৩২)

ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,

ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...

অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়, যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়। সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।

আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা। (আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।

এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

রাসূলুল্লাহ  বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)

ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নেল্লিখিত সমস্যাগুলি হওয়ার মূল কারণ হলো ওয়াসওয়াসা । প্রশ্নেল্লিখিত কোন ছুরতেই তালাক হবে না এবং সেগুলি কেনায় শব্দও নয়। ওয়াসওয়াসা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। সে চায় মানুষকে পেরেশান ও অস্থির করে রাখতে যাতে সে আল্লাহ তায়ার ইবাদতে মাশগুল থাকতে না পারে। বিধায় এমন পরিস্থিতিতে আপনি হতাশ হবেন না। বরং ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে উপরে উল্লেখিত আমলগুলি করুন এবং মানসিক রোগের কোন ভালো চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা করুন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনবেন।

উল্লেখিত অবস্থায় আপনার ঈমান নষ্ট হবে না হবে ইস্তিগফার করতে হবে। বেশী বেশী জিকির, দোয়া ও কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...