ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ইমাম সাহেব নামাজে সালাম ফিরানোর সময় ওয়া রহমাতুল্লাহ কে জোরে এভাবে রাহমাতুল্লাআআআআহ টান করে পড়া হলে নামাজে কোন সমস্যা হবে না।
(২)
আহলে হাদীস বা ভিন্ন মাযহাবী মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে।
প্রথম কথা হল, এটাও অন্যান্য মসজিদের মত একটি মসজিদ। দ্বিতীয় কথা হল, যদি কেউ এটাকে মসজিদ মনে না করে (যদিও এ মনে না করার কোনো কারণ নাই) তাহলে এটাকে তো অবশ্যই পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আর পবিত্রতম স্থানে নামায পড়া যাবে।
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - وَقَالَ مُوسَى فِي حَدِيثِهِ فِيمَا يَحْسَبُ عَمْرٌو - أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدٌ إِلاَّ الْحَمَّامَ وَالْمَقْبُرَةَ "
মূসা ইবনু ইসমাঈল ......আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ গোসলখানা ও কবরস্থান ব্যতীত সমস্ত জমীনই মসজিদ হিসাবে গণ্য (অর্থাৎ যে কোন স্থানে নামায পড়া যায়)। (সুনানে আবি দাউদ- ৪৯২)
(৩)
এটা সম্পূর্ণ অনুচিত একটা বিষয়।
(৪)
ফেসবুকে ফেক জিমেইল দিয়ে একাউন্ট খোলা ধোকা ও প্রতারণা হওয়ার দরুণ নাজায়েয হওয়াই যুক্তিযুক্ত।
(৫)
وَاخْتُلِفَ فِي السَّلَامِ عَلَى الْفُسَّاقِ فِي الْأَصَحِّ أَنَّهُ لَا يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ، كَذَا فِي التُّمُرْتَاشِيِّ-
ফাসিককে সালাম প্রদান করা সম্পর্কে মতানৈক্য রয়েছে।বিশুদ্ধমতানুযায়ী সালাম প্রদাণ করা যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩২৬)মাকরুহে তাহরিমী না তানযিহি? এসম্পর্কে পরিস্কারভাবে কোথাও কিছু না পাওয়া গেলেও বুঝা যাচ্ছে যে, মাকরুহে তানযিহি-ই হবে।
(৬)
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِ وَلاَ البَذِيءِ.
আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিন কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিসম্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৯৭৭]
কাফির দুই প্রকার যথা- (১) যিম্মি কাফির (২) হারবী কাফির।
যিম্মি কাফিরকে গালাগাল করা, নাম বিকৃত করা কোনোটাই জায়েয হবে না।তবে যুদ্ধরত কাফিরকে জরুরতের গালাগাল করা,নাম বিকৃত করার রুখসত থাকলেও এটা অনুচিৎ হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৭)
(৮)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' ৪০ বৎসর বয়সে নবুওত প্রাপ্ত হয়েছেন।
(৯)
জুম্মার খুতবার আগের বয়ানের সময় নামাজ যিকির করা যাবে।
(১০)
খুতবার সময় কেউ ডাকলে জবাব দেয়া যাবে না। কোনো প্রকার কথা বলা যাবে না।
(১১)
জনবহুল স্থানে ধীরে ধীরে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে। তবে কোনো কাজে কর্মরত রয়েছে, এমন কারো কানে যেন তিলাওয়াতের শব্দ না পৌছে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2265
(১২)
কাজে ব্যস্ত লোকদের সামনে রেকর্ড তিলাওয়াত বা রেডিওর তিলাওয়াত বাজানো যাবে না।
(১৩)
কুরআন তেলাওয়াত হচ্ছে এই সময় কেউ থাকলে যদি সে কর্মব্যস্ত থাকে তাহলে নিম্নস্বরে পড়বেন।