আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হব।

১. ইমাম সাহেব নামাজে সালাম ফিরানোর সময় ওয়া রহমাতুল্লাহ কে জোরে এভাবে রাহমাতুল্লাআআআআহ টান করে পড়েছেন। নামাজে কোন সমস্যা হবে?

২.আহলে হাদীস বা ভিন্ন মাযহাবী মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে কি?

৩.এই Ifatwa তে আমার একাধিক আইডি আছে। অনেকে আইডিগুলো কে ভিন্ন ভিন্ন লোক মনে করে ধোকায় পড়তে পারে। এতে কি আমার গুণাহ হবে?

৪.ফেসবুকে ফেক জিমেইল দিয়ে একাউন্ট খোলা জায়েয কি?

৫.ফাসিক ব্যাক্তিকে সালাম দেওয়া মাকরুহে তাহরীমি নাকি তানযিহী?

৬.ইসলামের দুশমনদের নাম বিকৃত করা যায়েজ কি?

৭.পোষা প্রাণীর নাম রাখা কি জায়েয?

৮.রাসুলুল্লাহ (সা.) কি জম্ম থেকেই নবী ছিলেন?

৯. জুম্মার খুতবার আগের বয়ানের সময় নামাজ যিকির করা যাবে?

১০.খুতবার সময় কেউ ডাকলে করণীয় কি?

১১.জনবহুল স্থানে ধীরে ধীরে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে?

১২.অনেক সময় রেডিওর মাধ্যমে কুরআন তেলাওয়াত ছাড়া হয় তখন যারা কাজে ব্যাস্ত তাদের করণীয় কি?

১৩.কুরআন তেলাওয়াত হচ্ছে এই সময় কেউ থাকলে করণীয় কি?

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ইমাম সাহেব নামাজে সালাম ফিরানোর সময় ওয়া রহমাতুল্লাহ কে জোরে এভাবে রাহমাতুল্লাআআআআহ টান করে পড়া হলে নামাজে কোন সমস্যা হবে না।

(২)
আহলে হাদীস বা ভিন্ন মাযহাবী মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে। 
প্রথম কথা হল, এটাও অন্যান্য মসজিদের মত একটি মসজিদ। দ্বিতীয় কথা হল, যদি কেউ এটাকে মসজিদ মনে না করে (যদিও এ মনে না করার কোনো কারণ নাই) তাহলে এটাকে তো অবশ্যই পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আর পবিত্রতম স্থানে নামায পড়া যাবে।
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - وَقَالَ مُوسَى فِي حَدِيثِهِ فِيمَا يَحْسَبُ عَمْرٌو - أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدٌ إِلاَّ الْحَمَّامَ وَالْمَقْبُرَةَ "
মূসা ইবনু ইসমাঈল ......আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ গোসলখানা ও কবরস্থান ব্যতীত সমস্ত জমীনই মসজিদ হিসাবে গণ্য (অর্থাৎ যে কোন স্থানে নামায পড়া যায়)। (সুনানে আবি দাউদ- ৪৯২)

(৩)
এটা সম্পূর্ণ অনুচিত একটা বিষয়।

(৪)
ফেসবুকে ফেক জিমেইল দিয়ে একাউন্ট খোলা ধোকা ও প্রতারণা হওয়ার দরুণ নাজায়েয হওয়াই যুক্তিযুক্ত।

(৫)
وَاخْتُلِفَ فِي السَّلَامِ عَلَى الْفُسَّاقِ فِي الْأَصَحِّ أَنَّهُ لَا يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ، كَذَا فِي التُّمُرْتَاشِيِّ-
ফাসিককে সালাম প্রদান করা সম্পর্কে মতানৈক্য রয়েছে।বিশুদ্ধমতানুযায়ী সালাম প্রদাণ করা যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩২৬)মাকরুহে তাহরিমী না তানযিহি?  এসম্পর্কে পরিস্কারভাবে কোথাও কিছু না পাওয়া গেলেও বুঝা যাচ্ছে যে, মাকরুহে তানযিহি-ই হবে।

(৬)
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِ وَلاَ البَذِيءِ.
আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ  মু’মিন কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিসম্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৯৭৭]

কাফির দুই প্রকার যথা- (১) যিম্মি কাফির (২) হারবী কাফির।
যিম্মি কাফিরকে গালাগাল করা, নাম বিকৃত করা কোনোটাই জায়েয হবে না।তবে যুদ্ধরত কাফিরকে জরুরতের গালাগাল করা,নাম বিকৃত করার রুখসত থাকলেও এটা  অনুচিৎ হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৭)
পোষা প্রাণীর নাম রাখা জায়েয।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/55850

(৮)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' ৪০ বৎসর বয়সে নবুওত প্রাপ্ত হয়েছেন।

(৯)
জুম্মার খুতবার আগের বয়ানের সময় নামাজ যিকির করা যাবে।

(১০)
খুতবার সময় কেউ ডাকলে জবাব দেয়া যাবে না। কোনো প্রকার কথা বলা যাবে না।

(১১)
জনবহুল স্থানে ধীরে ধীরে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে। তবে কোনো কাজে কর্মরত রয়েছে, এমন কারো কানে যেন তিলাওয়াতের শব্দ না পৌছে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2265

(১২)
কাজে ব্যস্ত লোকদের সামনে রেকর্ড তিলাওয়াত বা রেডিওর তিলাওয়াত বাজানো যাবে না।

(১৩)
কুরআন তেলাওয়াত হচ্ছে এই সময় কেউ থাকলে যদি সে কর্মব্যস্ত থাকে তাহলে নিম্নস্বরে পড়বেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...