জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পাঠ করা সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ، وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ، وَيُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مَا لاَ يُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ، وَهَكَذَا فِي الْعَصْرِ وَهَكَذَا فِي الصُّبْحِ.
আবূ কাতাদাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা ও দু’টি সূরাহ্ পড়তেন এবং শেষ দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা পাঠ করতেন এবং তিনি কোন কোন আয়াত আমাদের শোনাতেন, আর তিনি প্রথম রাক‘আতে যত দীর্ঘ করতেন, দ্বিতীয় রাক‘আতে তত দীর্ঘ করতেন না। ‘আসরে এবং ফজরেও এ রকম করতেন।
(বুখারী শরীফ ৭৭৬.৭৫৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪০)
فتاوی شامی :
"(واكتفى) المفترض (فيما بعد الأوليين بالفاتحة) فإنها سنة على الظاهر، ولو زاد لا بأس به (قوله ولو زاد لا بأس) أي لو ضم إليها سورة لا بأس به لأن القراءة في الأخريين مشروعة من غير تقدير والاقتصار على الفاتحة مسنون لا واجب فكان الضم خلاف الأولى وذلك لا ينافي المشروعية، والإباحة بمعنى عدم الإثم في الفعل والترك كما قدمناه في أوائل بحث الواجبات."
(کتاب الصلاۃ، باب صفۃ الصلاۃ، ج: 1، صفحہ: 511، ط: ایچ، ایم، سعید)
সারমর্মঃ
ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাত শুধু সুরা ফাতেহার উপর ক্ষান্ত করা যথেষ্ট, কেননা ইহা সুন্নাত।
কেহ যদি এর চেয়েও বেশি পাঠ করে,তাহলে ক্ষতি নেই।,,,,সুরা ফাতেহার উপর ক্ষান্ত করা সুন্নাত। ওয়াজিব নয়।
حاشية الطحطاوی على مراقي الفلاح :
"وتسن قراءة الفاتحة فيما بعد الأوليين" يشمل الثلاثي والرباعي."
(کتاب الصلاۃ، فصل في بيان سننها، ص: 270/ ط: دار الكتب العلمية بيروت - لبنان)
সারমর্মঃ
ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাত সুরা ফাতেহা তিলাওয়াত করা সুন্নাত।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ নামাজের ৩য় এবং ৪র্থ রাকাতে সূরা ফাতেহা না পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে।
তবে সুন্নাতের খেলাফ হবে।
উল্লেখ্য যে এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
(০২)
হ্যাঁ, শাহাদাত আঙ্গুল উঠাতে হবে।
এটি সুন্নাত।
(০৩)
এক্ষেত্রে ২য় রাকাতে বৈঠক করতে হবে,নতুবা সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
হযরত আয়শা রাঃ বলেন,
وكان يقول فى كلِّ ركعتين التحية … تعليق-٥
নামাযের প্রতি দুই রাকাতেই একবার আত্তাহিয়্যাতু পড়বে। [সহীহ মুসলিম হা.১১৩৮]
ছাবেত আল বুনানী বলেন:
صليت مع أنس وبت عنده قال : فرأيته يصلى مثنى مثنى، حتى إذا كان في آخر صلاته أوتر بثلات مثل المغرب
আমি হযরত আনাস রা. এর ঘরে রাত্রি যাপন করেছি এবং তাঁর সাথে নামায পড়েছি। তাঁকে দেখেছি রাতে দুই রাকাত করে নামায পড়েছেন। এবং সব শেষে মাগরিবের নামাযের মত তিন রাকাত বিতর পড়লেন। [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক হা.৪৬৩৬ সালাতুল বিতর লিল মারওয়াযী- পৃ. ১২৩]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন:
عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : صلاة المغرب وتر النهار فأوتروا صلاة الليل
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: দিনের বিতর হল মাগরিবের নামায। তোমরা রাতের নামাযকেও অনুরূপ বিতর করে পড়। [মুসনাদে আহমদ হা.৪৮৪৭ এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য: শুয়াইব আরনাউত। ইবনে আবী শাইবা ৪/৪ হা.৬৭৭৩, ৬৭৭৮ আব্দুর রাযযাক হা.৪৬৭৫ তাবারানী: সগীর ও আওসাত।]
সুফ্ইয়ান ছাউরী র. তাঁর পূর্বসূরি তাবেয়ীদের বিতর নামাযের বিবরণে বলেন:
كانوا يستحبون أن يقرأ في الركعة الأولى : سبح اسم ربك الأعلى، وفي الثانية : قل يا أيها الكافرون، ثم يتشهَّد، وينهَضُ، ثم يقرأ في الثالثة : قل هو الله أحد.
অর্থ: তাঁরা তিন রাকাত বিতরের প্রথম রাকাতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কাফিরুন পড়তেন। তারপর বসে তাশাহহুদ পড়ে আবার উঠে দাঁড়াতেন এবং তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাছ পড়তেন। [সালাতুল বিতর: মারওয়াযী পৃ. ২৭৯]
ইবনে হাজার আসকালানী বলেন: এর সনদ সহীহ: নাতাইযুল আফ্কার ২/১১৪, ৫০৩।
★এক রাকাত বিতর নামাজ আদায় করলে আদায় হবেনা।
তিন রাকাতই আদায় করতে হবে।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে যেহেতু বিতির নামাজ এক রাকাত,সুতরাং তাদের অনুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারেন।
★আপনি এই তাফসীরের অনুবাদ পড়তে পারেন।কোনো সমস্যা নেই।