আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম!প্রথমেই জানিয়ে রাখি আমি একজন স্টুডেন্ট এবং আমার বাবা একজন মুদি দোকানি।দোকানে আমিও পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে সময় দিয়ে থাকি।এখন ঘটনায় চলে যাই একদিন সাধারণ ভাবেই সব সময়ের মতই এক কাস্টমার আসলো তার পছন্দ অনুযায়ী সে কিছু খরচ নিল।নেওয়া শেষে যখন আমি হিসাব করবো তখন একটা প্রোডাক্ট দেখলাম নতুন ছিল আমার দোকানে। যার দামটা আমি জানতাম না।পরে প্যাকেটের গায়ে দেখলাম তার দামটা ঠিক স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না।৩০ না ৬০ টাকা লেখলো ঠিক বুঝে উঠতে পারি নাই।তাই আমি খরিদদার কে বললাম এটা ৬০ টাকা।খরিদদার টাকা দিয়ে চলে গেল।পরে আব্বা দোকানে আসলে তার কাছে প্রোডাক্টার দামটা জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিলেন এটা ৩০ টাকা।তখন আমি চিন্তিত হয়ে পরলাম যে কাস্টমার থেকে ৩০ টাকা বেশি রেখে দিছি।এখন আমার ভুলের জন্য আমার আব্বার পুরো হালাল ইনকামটাই হারাম হয়ে গেল!

আবার আরেকদিন এক কাস্টমার কে তারাতাড়ি হিসাব দিতে গিয়ে মনে মনে হিসাবে করে ভুল করে ১০ টাকা বেশি রেখে দিছি।পরে হটাৎ মনে সন্দেহ জাগলো যে আসলেই সঠিক হিসেব করেছি কিনা!পরে সঠিক ভাবে হিসাব করে দেখলাম ঐ কাস্টমার থেকে ১০ টাকা বেশি রেখে দিছি।কাস্টমারকে বাইরে গিয়ে অনেক খোজ করার পরেও পেলাম না কারণ ততক্ষণে তিনি চলে গেছেন।এখন হুজুর এই মূহুর্তে আমার করণীয় কি?আমার দুটা ভুলের কারণে আমার আব্বার হালাল ব্যাবসায় হারাম হয়ে গেল।এখন এই ১০ টাকা আর ৩০ টাকার ভুলের বিনিময়ে আমাকে কি কাফফারা দিতে হবে?যদি বলতেন অনেক উপকৃত হতাম।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1382


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যার কাছে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্যকে বিক্রি করেছেন, তাকে কাছে পণ্যকে বিক্রি করে দিবেন। এবং যার কাছ থেকে পণ্যর অতিরিক্ত মূল্য রেখেছেন, তাকে তার টাকা ফিরিয়ে দিবেন।যদি তাদেরকে না পান,তাহলে তাদের নামে সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
ধন্যবাদ হুজুর।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...