ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
পরীক্ষা হল মেধা
যাচাইয়ের স্থান। আর মেধা নির্ণিত হবে প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদাভাবে।
সুতরাং যার যে
মেধা সেটি সত্যিকার যাচাই হবে যদি তার নিজস্ব মুখস্ত ও যোগ্যতা থেকে উত্তর প্রদান
করে।
কিন্তু নকল করে
লিখলে বা কারো কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে
লিখলে বা দেখে লিখলে সেক্ষেত্রে ধোঁকার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। যা জায়েজ হবে না।
ধোঁকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله
عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ،
فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা
দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله
عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১৪৭)
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/31577/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. যদি এক
দুইটা শব্দ জিজ্ঞাসা করে লিখে থাকেন যার উপর তেমন কোনো মার্ক সাধারণত আসে না বা যার মাধ্যমে তেমন কোনো মার্ক কম-বেশী হয় না। তাহলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার অর্জিত সার্টিফিকেট
জায়েজ হবে। তবে অবশ্যই সেই কাজটা জায়েজ হয়নি। আর যদি পুরো নকল করে বা অন্যের দেখে
দেখে লিখে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে অর্জিত সার্টিফিকেট
জায়েজ হবে না এবং সেটা দিয়ে (কোনো প্রকার পরীক্ষা ছাড়াই) অন্য কোথাও ভর্তি হওয়াও
জায়েজ হবে না।
২. পরীক্ষায় নকল
করা জায়েজ নয়। তবে নকলকারী এই সার্টিফিকেট
দিয়ে কোনো চাকরি করলে নিষ্ঠার সাথে তার কাজ আঞ্জাম দিলে তার চাকুরী বেতন হালাল
হবে। আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/22757/