আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
retagged by
আসসালামু আলাইকুম
আমি পরীক্ষা নিজেই সম্পূর্ণভাবে পারি তারপরও মাঝে মাঝে কিছু অংশ মনে পড়ে না তখন অন্যের কাছে জিজ্ঞেস করে মনে করি এতে করে কি আমার অর্জিত সার্টিফিকেট হালাল হবে?

তা দিয়ে অন্য কোথাও ভর্তি হওয়া যাবে কিনা?

গুনাহ এর কথা জেনেও পরবর্তী পরীক্ষায় দেখলে সার্টিফিকেট হালাল হবে কি?
by
where is my answer

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

পরীক্ষা হল মেধা যাচাইয়ের স্থান। আর মেধা নির্ণিত হবে প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদাভাবে।

সুতরাং যার যে মেধা সেটি সত্যিকার যাচাই হবে যদি তার নিজস্ব মুখস্ত ও যোগ্যতা থেকে উত্তর প্রদান করে।

কিন্তু নকল করে লিখলে বা কারো কাছ থেকে  জিজ্ঞাসা করে লিখলে বা দেখে লিখলে সেক্ষেত্রে ধোঁকার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। যা জায়েজ হবে না।

ধোঁকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,

হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) 

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)

 

হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي

ভাবার্থঃ যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১৪৭)

 

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/31577/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. যদি এক দুইটা শব্দ জিজ্ঞাসা করে লিখে থাকেন যার উপর তেমন কোনো মার্ক সাধারণত আসে না বা যার মাধ্যমে তেমন কোনো মার্ক কম-বেশী হয় না। তাহলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার অর্জিত সার্টিফিকেট জায়েজ হবে। তবে অবশ্যই সেই কাজটা জায়েজ হয়নি। আর যদি পুরো নকল করে বা অন্যের দেখে দেখে লিখে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে অর্জিত সার্টিফিকেট জায়েজ হবে না এবং সেটা দিয়ে (কোনো প্রকার পরীক্ষা ছাড়াই) অন্য কোথাও ভর্তি হওয়াও জায়েজ হবে না।

 

২. পরীক্ষায় নকল করা জায়েজ নয়। তবে নকলকারী  এই সার্টিফিকেট দিয়ে কোনো চাকরি করলে নিষ্ঠার সাথে তার কাজ আঞ্জাম দিলে তার চাকুরী বেতন হালাল হবে। আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/22757/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (4 points)
উত্তরটা জানলে খুশি হতাম

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...