বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বের
226 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।
সুতরাং কাগজে লিখে সেই কাগজ কে রক্ষাকারী মনে করা শিরিকের পর্যায়ের।সুতরাং এমন মনোভাব কারো থাকলে তাৎক্ষণিত তাওবাহ করতে হবে।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি যে উনার সন্তাদিকে তাবজি লটকিয়ে দিতেন,সেটা মূলত আল্লাহ খালিক ও মালিক মেনেই দিতেন।যেমন হাদীসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে- 'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন' এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)