আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ, আমার আম্মু চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে পাস করা gynecologist, আব্বু আর্মি অফিসার, দুই বোনের মধ্যে আমি বড়, আমি চট্টগ্রাম সেনানিবাস এ থাকি, ছোটবেলা থেকেই সহশিক্ষায় পড়েছি, আমি ssc22, দোয়া করবেন যেন মহিলা কলেজে টিকে যাই ইন শা আল্লাহ
আমি ক্লাস নাইন এ ইউটিউব এ ওয়াজ শোনার মধ্যে দিয়ে হেদায়েত পাই, এরপরে নিয়মিত নামাজ পড়তে থাকি, যেটা দেখে আমার হাজী বাবা মা বেশ খুশি ছিলেন, এরপরে আমি fb তে ইসলামিক পোস্ট দিতে থাকি, তখন আম্মু বলে "তুমি এইসব পোস্ট আর শেয়ার করবে না, লোকে তোমাকে জঙ্গি +গোমরাহ বলবে" এরপরে আমি ফ্যামিলি members দের hide করে ইসলামিক পোস্ট করতাম fb তে, তারপরে আমার পরিবারের আসল রহস্য আমার কাছে পরিষ্কার হয়, তাদের ইনকাম এর একটা অংশ জড়িত সুদি ব্যাংক এর সাথে, লোন দেয়া, নেয়া, ওই টাকা দিয়ে তারা আবার বছর বছর হজ umrah ও করে,
তারপর উনারা গান গাওয়া, হিজাব এর সাথে make up করাকে জায়েজ মনে করেন, এইগুলা না করা নাকি জঙ্গিবাদ.
পরিবারের কেউই সহি পর্দা করে না, দেবর কে ভাত বেড়ে দেয়, কাজিনরা ঈদের দিন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা বিনিময় করে (চাচাতো ভাই বোন রা) আমি এইসব থেকে বাঁচতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ. তবে বাঁচতে পারি নি আমার নিজ বাবা মা থেকে, আম্মু নিজে আমাকে বাহারি ডিজাইন এর হিজাব, জামা কিনে দেয় আর বাইরে যাওয়ার সময়ে lipstick +কাজল লাগিয়ে দেয়, আমি প্রতিরোধ করলে বলে, "কোত্থেকে শিখছ এইসব, আমি কিন্তু তোমার fb নিয়ে নিবো (fb তে আমি ইয়াকিন বইঘর ও ইসলাহ শপ থেকে বই কিনি ,এইটা আমার deen শেখার একমাত্র অবলম্বন)", এই কারণে আমি চুপ থাকি, দুই চোখে শুধু দেখেই যাই কিভাবে উনারা আমাকে সাজিয়ে গুছিয়ে বেপর্দা করে জাহান্নামের পথে নিয়ে যাচ্ছে, কিছু বলতে পারি না আমার কখনো বোরখা নিকাব ছুয়ে দেখার ও সৌভাগ্য হয় নি, শুধু হিজাব তাও আবার ডিজাইন করা তার উপর make up. আমি আম্মু কে অনেকবার বলেছি এইগুলো গুনাহ, অনেক দাওয়াত দিয়েছি, আম্মু বলেছে "এই যুগে এইসব চলে না, তুমি সেজে না থাকলে তোমার বিয়ে হবে কিভাবে"
আর এইদিকে আব্বু আমাকে আর্মি তে দেয়ার জন্য দিন গুণছে। কলেজে গেলে নাকি BNCC তে দিয়ে দিবে
উনারা বলেন "khadija( ra) business করেছেন, ইসলামে মহিলা রা যুদ্ধে গিয়েছে, সুতরাং আর্মি তে যাওয়া যায় এইগুলোই সাফল্য. আমি চিন্তা করেছিলাম রেজাল্ট খারাপ করব, তাহলে উনারা আর pressure দিবে না. কিন্তু রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পর নামাজে বাধা আসলো, শুধু ফরজ পড়তে বলা হলো (যেমন fojorer দুই rakat sunnot না পড়ে just দুই rakat ফরজ পড়তাম, এইভাবে সব wakter salat) যদিও আমি লুকিয়ে ফুল নামাজই পড়তাম, নামাজ পড়তে দেখলে উনারা বলেন, "তাড়াতাড়ি করো তাড়াতাড়ি করো" উনারা দোয়া করতে দেয় না, এইগুলো নাকি সময় নষ্ট), তারপর কোচিং এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়া হলো ফলে আমি সহশিক্ষায় আরো বেশি জড়িয়ে গেলাম, আগে খালি স্কুলে সহশিক্ষা এখন কোচিং এও সহশিক্ষা. রেজাল্ট খারাপ করার পর উনারা বললেন ," এত নামাজ পড়ে কি হলো, এখন থেকে নাচ গান করবে, বাইরে যাবে, ghurbe, সব করবে, সব করলেই রেজাল্ট ভালো হবে, ঘরে বসে কি করেছো তুমি!" (পর্দা ও non mahram maintain করতে ঘর থেকে কম বের হতাম ও গান ছেড়ে দিয়েছিলাম)
কোরান পড়তে গেলে আম্মু তাগাদা দেয়, "দিনে এক পৃষ্ঠা কোরান পড়বে, এর বেশী না" আম্মু অনেক ইসলামিক বইয়ের পিডিএফ ডিলিট করেছে আমার ফোন থেকে, এইগুলা নাকি জঙ্গিবাদ. আমি সেনানিবাস এ থাকি, এইখানে কেউই পর্দা করে না, এইখানে রাস্তায় আমার বয়সী মেয়েরা orna ছাড়া টাইট কাপড় পড়ে ঘুরে, এইখানে আমার বয়সী দুইজন হিজাব পরে মাত্র, তাদের আবার deen এর বুঝ নাই, আমাদের এইখানে পরিবেশটাই bedin আমার আব্বু হাজী, নিয়মিত নামাজ পড়ে, প্রতি রোজায় কোরান খতম দেন কিন্তু তিনি পরকীয়া +জিনার সাথে জড়িত, (আম্মু জিনাতে নেই, আম্মু পবিত্র) আম্মু কষ্ট পাবে দেখে বলতেও পারছি না. আমার এক চাচাতো বোন tiktok করে আরেকজন LGBTQ (সমকামিতা) সাপোর্ট করে, আর বাকি দুই চাচাতো বোন হারাম এ লিপ্ত, চাচাতো ভাই রা non mahram তাই কথা বলি না তাদের সাথে তেমন.
আমার পরিবারে দুই ধরণের মানুষ আছে
1. মডারেট ইসলাম প্রিয় মানুষ
2. লেবাসধারি
আমার সমস্যা :
পরিপূর্ণ পর্দা করতে পারি না, non mahram maintain করতে পারি না, প্রকাশ্যে ইসলামিক বই পড়তে পারি না ,আমাকে আর্মি তে দিবে বলছে, (আর্মি তে হিজাবটাও নেই মেয়েদের) আর না হয় সরকারি/আর্মি মেডিক্যাল এ.
এখন আমার করণীয় কী?