প্রথমেই একাধিক বিষয়ে প্রশ্নের জন্য ক্ষমা চাই, আশা করছি আপনার থেকে জবাব পাবো ৩ টি প্রশ্নের। জাজাকাল্লাহ।
★পাকিস্তানিরা ১৯৭১ সালে গণধর্ষণ সংগঠিত করেছে। শত শত নারী তখন ধর্ষিত হয়েছিলো। আজকে ফেসবুকে একজন দেখলাম বিষয়টার সাথে ইসলামের সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করতেছেন এবং বুঝাতে চাচ্ছেন যে পাকিস্তানিদের এই কাজ ধর্মের ব্যাপারে না কি ঠিক ই আছে।
১.এখন আমি জানতে চাই যে যুদ্ধচলাকালীন পাকিস্তানি বাহিনীর এই গণধর্ষণ সম্পর্কে ইসলামের অবস্থান কি?
যদি এই কাজ ইসলাম বিরোধী হয়ে থাকে তবে তার পিছনে কারণ কি, তারা কোন আইন না মানার জন্য তাদের এই কাজ বৈধ হয় নি, দলিল সহ দিলে ভালো হয়, তাদের জবাব দিতে কাজে দিবে।
২. আমাদের ছাত্রদের পাঠদানের সময় " জনসংখ্যা সংখ্যা সমস্যা " নামের পাঠ পড়াতে হয় যা ১-১০ সকল শ্রেনীতেই আছে। এইগুলো তে লেখা থাকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কুফল, জনসংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে ধর্মীয় কারণ,বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ,সামাজিক ইত্যাদি দেখানো হয়। পাঠের মূল বক্তব্য থাকে জনসংখ্যা কমানো ও তার পিছনে করনীয় যেমন নারীর চাকরী, বাল্য বিবাহ, ইত্যাদির কথা বলা থাকে। বিজ্ঞান পড়াতে গেলে বিবর্তন থাকে, সমাজ পড়াতে গেলে গনতন্ত্র থাকে আরো বিষয় পড়াতে হয় যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা পড়ানোর সময় এই গুলো রিডিং পড়াই এবং কিছু ব্যাখা করতে হয় কিছু কথা বলতে হয়।আমরা এই গুলো কিভবে পড়াবো?পড়ালে ইমানের ক্ষতি হবে কি?কুফরি হবে?
৩."জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দরকার,", "এর কুফল রয়েছে", " অনেকে ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে বেশি বাচ্চা নেয়, কিন্তু বাস্তব সমস্যার কথা ভাবে না","অধিক জনসংখ্যার ফলে মানুষ দরকারি খাবার,চিকিৎসা পায় না " "জনসংখ্যা কমাবোর জন্য কাজ করা দরকার " এই টাইপের এই কথা গুলো বলার কারণে কি কেও কাফের হতে পারে?