আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
157 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (63 points)
reshown by
প্রথমেই একাধিক বিষয়ে প্রশ্নের জন্য ক্ষমা চাই, আশা করছি আপনার থেকে জবাব পাবো ৩ টি প্রশ্নের। জাজাকাল্লাহ।
★পাকিস্তানিরা ১৯৭১ সালে গণধর্ষণ সংগঠিত করেছে। শত শত নারী তখন ধর্ষিত হয়েছিলো। আজকে ফেসবুকে একজন দেখলাম বিষয়টার সাথে ইসলামের সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করতেছেন এবং বুঝাতে চাচ্ছেন যে পাকিস্তানিদের এই কাজ ধর্মের ব্যাপারে না কি ঠিক ই আছে।
১.এখন আমি জানতে চাই যে  যুদ্ধচলাকালীন পাকিস্তানি বাহিনীর এই গণধর্ষণ  সম্পর্কে ইসলামের  অবস্থান কি?
 যদি এই কাজ ইসলাম বিরোধী হয়ে থাকে তবে তার পিছনে কারণ কি, তারা কোন আইন না মানার জন্য তাদের এই কাজ বৈধ হয় নি, দলিল সহ দিলে ভালো হয়, তাদের জবাব দিতে কাজে দিবে।

২. আমাদের ছাত্রদের পাঠদানের সময় " জনসংখ্যা সংখ্যা সমস্যা "  নামের পাঠ পড়াতে হয় যা ১-১০ সকল শ্রেনীতেই আছে।  এইগুলো তে লেখা থাকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কুফল,  জনসংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে ধর্মীয় কারণ,বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ,সামাজিক  ইত্যাদি দেখানো হয়। পাঠের মূল বক্তব্য থাকে জনসংখ্যা কমানো ও তার পিছনে করনীয় যেমন নারীর চাকরী,  বাল্য বিবাহ, ইত্যাদির কথা বলা থাকে। বিজ্ঞান পড়াতে গেলে বিবর্তন থাকে,  সমাজ পড়াতে গেলে গনতন্ত্র থাকে আরো বিষয় পড়াতে হয় যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা পড়ানোর সময় এই গুলো রিডিং পড়াই এবং কিছু ব্যাখা করতে হয় কিছু কথা বলতে হয়।আমরা এই গুলো কিভবে পড়াবো?পড়ালে ইমানের ক্ষতি হবে কি?কুফরি হবে?

৩."জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দরকার,", "এর কুফল রয়েছে", " অনেকে ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে বেশি বাচ্চা নেয়, কিন্তু বাস্তব সমস্যার কথা ভাবে না","অধিক জনসংখ্যার ফলে মানুষ দরকারি খাবার,চিকিৎসা পায় না " "জনসংখ্যা কমাবোর জন্য কাজ করা দরকার " এই টাইপের এই কথা গুলো বলার কারণে কি কেও কাফের হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (597,990 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
  যুদ্ধচলাকালীন পাকিস্তানি বাহিনীর কর্তৃক গণধর্ষণ করা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি। ইসলাম এটাকে কখনো সমর্থন দিবেনা। কেননা এখানে মুসলমান মুসলমানের যুদ্ধ ছিল। ইসলাম যে দাস দাসী বানানো ও দাসীর সাথে সহবাসের অনুমোদন দিয়েছে, সেটা ভিন্ন প্রেক্ষাপটের আলোকে দিয়েছে। এবং এই বিধান শুধুমাত্র কাফিরদের সাথে যুদ্ধের মুহূর্তে অনুমোদন দিয়েছে।দাসীর সাথে সহবাসের বিধানকেও একটি নিয়মাবলীর আলোকে দিয়েছে।কাফির মহিলাদেরকেও ধর্ষণের বিধান ইসলাম দেয়নি।

(২)
এগুলো শিক্ষা দেয়া জায়েয হবে না। যদি একজন শিক্ষক হিসেবে আপনি মজবুর হন, তাহলে সাথে সাথে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিও সামনে তুলে ধরতে হবে।

(৩)
এই কথাগুলোও বলা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (63 points)
২ এবং ৩ এর ক্ষেত্রে কুফরি হবে কি না শায়েখ?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...