আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমি HSC তে প্রাক্টিকেল লিখে নিয়েছি একজনের কাছে। লিখে নেয়ার বিনিময়ে তাকে পারিশ্রমিকও দিয়েছি। বুঝতে পেরেছি এটা গুনাহ। গুনাহ জেনেও আমি এমনটা করেছি। আল্লাহ কিভাবে আমাকে ক্ষমা করবেন? আমার সারাজীবনের উপার্জন কি হারাম হবে?

কিভাবে আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন?

1 Answer

0 votes
by (59,190 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/9269/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

এসাইন্টমেন্ট যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত থাকে,তা ছাত্রদের মেধা যাচাই ইত্যাদির জন্য নির্ধারণ করা হয়, বিষয়টা যখন এমন তাই উক্ত এসাইন্টমেন্টকে ছাত্ররা নিজেরাই করবে। অন্যকোথাও থেকে তা লেখিয়ে আনা যাবে না। যদি এমন কেউ করে তাহলে তা ধোকা হবে। চায় টাকার বিনিময়ে হোক বা এমনিতেই হোক। উক্ত পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তির জন্য তা লিখে দেওয়া কখনো বৈধ হবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻭَﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺒﺮِّ ﻭَﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯ ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏ

ِ তরজমাঃ সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা মায়েদা-২;)

সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানকে নেকীর কাজে সাহায্য- সহযোগিতা করা হবে। অন্যায়-ধোকা তথা গোনাহের কোনো কাজে কাউকে সহযোগিতা করা যাবে না। শিক্ষক জানেন,কিছু বলছেন না,এটা বৈধ হওয়ার কোনো কারণ হতে পারে না।কেননা বৈশ্বিক নিয়ম বা সরকারী নিয়ম হচ্ছে,ছাত্ররা নিজের কাজ নিজে করবে।নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করাবে না। হ্যা যদি সরকারী নিয়মই এমন থাকে যে,যে কেউ যে কাউকে লিখে পারবে,তাহলে এমন অবস্থায় একজন অন্যজনকে লিখে দিতে পারবে।

আরো জানুন: https://ifatwa.info/3912/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

জ্বী না অন্যের খাতা দেখে লেখা বা বিনিময় দিয়ে কারো থেকে প্রাক্টিকেল লিখে নেওয়া জায়েয নেই। এটি কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেওয়া হবে। উক্ত গোনাহের জন্য খালেস দিলে তওবা করতে হবে । এবং এজাতীয় ভুল যেন পরবর্তীতে না হয়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে পরবর্তীতে চাকুরী করে ইনকাম হারাম হবে না ইনশাআল্লাহ, যদি আপনি কৃত গোনাহের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে তওবা করেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...