بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/11330/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা
হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি
যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও জীবিকা উপার্জনের কোন সোর্স ব্যবস্থা
করতে না পারে, এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাপারে অন্যের
মুখাপেক্ষী হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে
জায়েয কোনো চাকরি পেয়ে যায়, তাহলে দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তার
জন্য সেখানে যাওয়া এবং বসবাস করা জায়েয হবে।
যথাঃ-
এক. সেখানে
আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ
থাকতে হবে। দুই. সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা
থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।
কেননা, হালাল জীবিকা
অন্বেষণ করাও ফরজ ইবাদতসমূহের পর একটি অন্যতম ফরজ কাজ। আর জীবিকা উপার্জনের জন্য ইসলাম
কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে দেয়নি। বরং জীবিকা উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের ব্যাপক
অনুমতি রয়েছে যে, যেখান থেকে ইচ্ছা করবে সেখান থেকে জীবিকা উপার্জন
করতে পারবে।
যেমন কুরআনে
কারীমে ইরশাদ হয়েছে :
ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﺟﻌﻞ ﻟﻜﻢ ﺍﻻﺭﺽ ﺫﻟﻮﻻ ﻓﺎﻣﺸﻮﺍ ﻓﻲ ﻣﻨﺎﻛﺒﻬﺎ ﻭﻛﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﺭﺯﻗﻪ ﻭﺍﻟﻴﻪ ﺍﻟﻨﺸﻮﺭ-
“আল্লাহ
তা‘আলা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন সুগম, সুতরাং তোমরা তাতে ভ্রমণ
কর এবং তার দেয়া জীবিকা থেকে আহার কর, তোমাদেরকে তার দিকেই প্রত্যাবর্তন
করতে হবে”। (সূরা মুল্ক ঃ আয়াত, ১৫)
তবে বিনা
প্রয়োজনে সেখানে চাকরী এবং বসবাসের কোনো অনুমিত শরীয়তে নেই।
যেমন,আবু দাঊদ শরীফে
হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ
করেন:
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি
অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের
অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)
হযরত জারীর
ইব্ন আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ
করেন :
ﺍﻧﺎ ﺑﺮﻳﺊ ﻣﻦ ﻛﻞ ﻣﺴﻠﻢ ﻳﻘﻴﻢ ﺑﻴﻦ ﺍﻇﻬﺮ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ، ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ! ﻟﻢ؟ ﻗﺎﻝ
ﻻ ﺗﺮﺉ ﺍﻱ ﻧﺎﺭﻫﻤﺎ -
“সেসব মুসলমানদের
ব্যাপারে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই, যারা অমুসলিমদের সাথে
বসবাস করে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ!
এর কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলামের
অগ্নি এবং কুফরীর অগ্নি উভয়টি এক সাথে থাকতে পারেনা। কোনটি মুসলমানের আগুন,
কোনটি অমুসলিমের আগুন তোমরা তা পার্থক্য করতে পারবেনা”।
বিস্তারিত
জানতে মুফতী তাকী উসমানী রাহ কর্তৃক লিখিত-ফেকহী মাক্বালাত (১/২৪৩) দেখা যেতে পারে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 3447
আরো জানুন:
https://ifatwa.info/48835/
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার স্বামী
যদি অন্তরে কাফিরদের দ্বীনের দাওয়াত প্রদানের নিয়ত রাখেন, তাহলে
অমুসলিম দেশে থাকতে পারবেন। এমনকি স্থায়ীভাবে থাকার বন্দোবস্তও
করতে পারবেন। কেননা, অনেক সাহাবা তাবেইন অমুসলিমদের মধ্যে এজন্য
এসে বসবাস শুরু করেছিলেন, যেন তাদের নিকট ইসলামের বাণী পৌছানো যায়। সদাসর্বদা নিজের ঈমান
ইসলামের প্রতি সযত্ন থাকতে হবে।
কিন্তু আপনার স্বামী
যদি সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনার মধ্যে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা বোধ করেন তাহলে
শুধুমাত্র উন্নত জীবন যাপনের জন্য অমুসলিম রাষ্ট্রে স্থায়ী ভাবে বসবাস করা জায়েয নেই।
নারীশ্রম কে
ইসলাম নিরোৎসাহিত করেছে। তবে শরয়ী জরুরুতে অনুমোদনও দিয়েছে। নারীশ্রমের শরয়ী বিধান
জানতে ভিজিট করুন করুন- https://www.ifatwa.info/632
https://ifatwa.info/21564/?show=21564#q21564