আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ।শাইখ,নিম্নোক্ত বিষয়ে পরামর্শ চাচ্ছি।
বিএসসি ইন কৃষি(অনার্স),এই সাবজেক্টটিতে বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়।এর মধ্যে প্রধানতম কাজই হলো:হাইব্রিড ফলন বা ফলন বৃদ্ধি করা,কম উৎপাদনশীল গাছকে বেশি উৎপাদনশীল গাছে পরিণত করা। একটি গাছের আম সৃষ্টিগতভাবেই টক কিন্তু আমি চাচ্ছি আমটি টক-মিষ্টি হোক।সেজন্য মিষ্টি আম গাছের একটি বৈশিষ্ট্য এনে টক আম গাছের চারায় যুক্ত করে দিলাম। ফলে ঐ গাছের আম টক না হয়ে টক-মিষ্টি হয়ে গেল।
পাশাপাশি পশুপালন সাবজেক্টে পশুদের প্রজনন নিয়ন্ত্রণ করা,খামারের মালিকের ইচ্ছামাফিক বাছুর উৎপাদন,কৃত্রিমভাবে মুরগির ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা উৎপাদন করা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,পশুদের বৈশিষ্ট্যও নিয়ন্ত্রণ করা।কোনো গাভীর সৃষ্টিগতভাবেই বাচ্চাদান ক্ষমতা কম।কিন্তু আমি চাচ্ছি,এই গাভী থেকে বেশি বাছুর উৎপাদন হোক।তাই,বেশি বাছুর দেওয়ার বৈশিষ্ট্য কৃত্রিমভাবে ঐ গাভীর মধ্যে দেওয়ার মাধ্যমে গাভীটিকে অধিক বাচ্চা দিতে সক্ষম করা হলো।
১.এই সমস্ত বিষয় কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করা শরীয়তের দৃষ্টিতে কি জায়েয?
২.এই ধরনের কাজ কি সৃষ্টির বিকৃতিসাধন কাজের মধ্যে পড়ে? এবং এই ধরনের (কোনো ফল বা প্রাণীর রূপ,সাইজ,বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের ভিত্তিতে) সাবজেক্টে পড়াশোনা করা কি জায়েয হবে?