আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ।শাইখ,নিম্নোক্ত বিষয়ে পরামর্শ চাচ্ছি।

বিএসসি ইন কৃষি(অনার্স),এই সাবজেক্টটিতে বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়।এর মধ্যে প্রধানতম কাজই হলো:হাইব্রিড ফলন বা ফলন বৃদ্ধি করা,কম উৎপাদনশীল গাছকে বেশি উৎপাদনশীল গাছে পরিণত করা। একটি গাছের আম সৃষ্টিগতভাবেই টক কিন্তু আমি চাচ্ছি আমটি টক-মিষ্টি হোক।সেজন্য মিষ্টি আম গাছের একটি বৈশিষ্ট্য এনে টক আম গাছের চারায় যুক্ত করে দিলাম। ফলে ঐ গাছের আম টক না হয়ে টক-মিষ্টি হয়ে গেল।

 পাশাপাশি পশুপালন সাবজেক্টে পশুদের প্রজনন নিয়ন্ত্রণ করা,খামারের মালিকের ইচ্ছামাফিক বাছুর উৎপাদন,কৃত্রিমভাবে মুরগির ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা উৎপাদন করা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,পশুদের বৈশিষ্ট্যও নিয়ন্ত্রণ করা।কোনো গাভীর সৃষ্টিগতভাবেই বাচ্চাদান ক্ষমতা কম।কিন্তু আমি চাচ্ছি,এই গাভী থেকে বেশি বাছুর উৎপাদন হোক।তাই,বেশি বাছুর দেওয়ার বৈশিষ্ট্য কৃত্রিমভাবে ঐ গাভীর মধ্যে দেওয়ার মাধ্যমে গাভীটিকে অধিক বাচ্চা দিতে সক্ষম করা হলো।

১.এই সমস্ত বিষয় কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করা শরীয়তের দৃষ্টিতে কি জায়েয?

২.এই ধরনের কাজ কি সৃষ্টির বিকৃতিসাধন কাজের মধ্যে পড়ে? এবং এই ধরনের (কোনো ফল বা প্রাণীর রূপ,সাইজ,বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের ভিত্তিতে) সাবজেক্টে পড়াশোনা করা কি জায়েয হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَهِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ أَصْوَاتًا . فَقَالَ " مَا هَذَا الصَّوْتُ " . قَالُوا النَّخْلُ يُؤَبِّرُونَهُ فَقَالَ " لَوْ لَمْ يَفْعَلُوا لَصَلَحَ " . فَلَمْ يُؤَبِّرُوا عَامَئِذٍ فَصَارَ شِيصًا فَذَكَرُوا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنْ كَانَ شَيْئًا مِنْ أَمْرِ دُنْيَاكُمْ فَشَأْنَكُمْ بِهِ وَإِنْ كَانَ شَيْئًا مِنْ أُمُورِ دِينِكُمْ فَإِلَىَّ " .

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু শোরগোল শুনতে পেয়ে জিজ্ঞেস করেনঃ এটা কিসের শোরগোল? সাহাবীগণ বলেন, লোকজন নর খেজুর গাছের কেশর মাদী খেজুর গাছের কেশরের সাথে সংযোগ করছে। তিনি বলেনঃ তার এরূপ না করলেই ঠিক হতো। অতএব তারা সে বছর উক্ত প্রক্রিয়া ত্যাগ করলো। এতে খেজুরের ফলন হ্রাস পেলো। তারা বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালে তিনি বলেনঃ তোমাদের একান্তই পার্থিব কোন বিষয় হলে সেটা তোমাদের নিজস্ব ব্যাপার এবং তোমাদের দীনের কোন বিষয় হলে তা আমার কাছে রুজু করবে।

(মুসলিম ২৩৬৩, ইবনে মাজাহ ২৪৭১. আহমাদ ২৪৩৯৯, বায়হাকী ফিস সুনান ৬/১৫৪।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
উপরোক্ত হাদীসের আলোকে প্রমানিত হয় যে, এই সমস্ত বিষয় কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করা শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয।

(০২)
এতে যেহেতু বিশেষ উপকার হচ্ছে,তাই এই ধরনের কাজ সৃষ্টির বিকৃতিসাধন কাজের মধ্যে পরবেনা।

এই ধরনের (কোনো ফল বা প্রাণীর রূপ,সাইজ,বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের ভিত্তিতে) সাবজেক্টে পড়াশোনা করা  জায়েয আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...