আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
268 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি এসএসসি ২০২২ সালের বাংলা ২য় পত্র পরিক্ষা দিয়েছি, এবং আমি আমার বাংলা ২য় পত্রের এমসিকিউ এর উত্তর মিলিয়ে দেখলাম যে আমার  ১৫ টার ভিতরে মাত্র ৩ টা উত্তর সঠিক হয়েছে। ১৫ টা এমসিকিও তে ১৫ মার্ক। ১ টা তে ১ মার্ক, এবং ৫ পেলে পাশ। আবার অনেকেই বলতেছে যে বাংলা ১ম এবং ২য় পত্রের এমসিকিউ মিলে  ১০ পেলে পাশ, তবে এ কথা সত্য কিনা জানিনা। আমার বাংলা ১ম পত্রের এমসিকিউ মিলিয়ে দেখার পর তো ১০/১১ টা সঠিক হয়েছে। আর আমি বাংলা ২য় পত্রের রাইটিং সাইড এর সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। এখন বাংলা ২য় পত্রের এমসিকিউ তে তো ৫ পেলে পাশ, আর আমার ৩ টা এমসিকিউ সঠিক হয়েছে, এখন আমার মনে হচ্ছে যে আমার এই বিষয়ে ফেইল আসবে। তো এখন থেকে আমি কি কি আমল করলে পরিক্ষায় ফেইল করবো না?

1 Answer

+1 vote
by (60,240 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

إِنَّ رَبَّكَ فَعَّالٌ لِّمَا يُرِيدُ

নিশ্চয় তোমার পরওয়ারদেগার যা ইচ্ছা করতে পারেন। সূরা হুদ, আয়াত নং-১০৭

 

তিনি অন্যত্রে ইরশাদ করেন-

إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

 নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

 

সফলতার জন্য আল্লাহ  রহমত অপরিহার্য বিষয়। তাই পরীক্ষাতে সফলতার জন্য চেষ্টা করা ও আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী দুআ করতে থাকা। সুতরাং পরীক্ষাতে কামিয়াবীর জন্য কিছু পরামর্শ থাকবে। যথা:

. অলসতা ত্যাগ করে নিজের সাধ্যানুযায়ী কঠোর পরিশ্রম করা এবং পড়া মুখস্থ করা।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

وَلِكُلّٖ دَرَجَٰتٞ مِّمَّا عَمِلُواْۖ وَلِيُوَفِّيَهُمۡ أَعۡمَٰلَهُمۡ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ

আর সকলের জন্যই তাদের কর্ম অনুসারে মর্যাদা রয়েছে। আর আল্লাহ যেন তাদেরকে তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দিতে পারেন। আর তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না।’ (সূরা আল-আহকাফ ১৯)

 

. আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করা

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ

যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সূরা ত্বলাক : ৩)

 

৩. আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী দুআ করতে থাকা। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েও দুআ করা।

হুযায়ফা রাযি. বলেন, كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ صَلَّى রাসূলুল্লাহ যখন কোন সংকটে পড়তেন, তখন নামাজে রত হতেন’ (আবু দাউদ ১৩১৯)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. আল্লাহ তায়ালা চাইলে সব কিছু করতে পারেন। তবে সাধারণত তিনি নিয়মের বহির্ভূত কিছু করেন না অর্থাৎ উত্তর পত্রে ভুল লিখে আসলেও তিনি সেগুলো সঠিক করে দিবেন বিষয়টা এমন নয়। তবে আল্লাহ তায়ালা চাইলে তা অসম্ভবের কিছু না। তিনি যুগে যুগে নিয়মের বহির্ভূত অনেক কিছু করে দেখিয়েছেন। তবে সাধারণত তিনি নিয়মের বহির্ভূত কিছু করেন না।

২. পরীক্ষাতে কামিয়াবীর জন্য আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী দুআ করতে পারেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, বিশেষ করে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েও দুআ করতে পারেন। তবে  ‘হে আল্লাহ! ঐ এমসিকিউগুলো সঠিক করে দাও।’ এভাবে দুআ না করে পরীক্ষাতে কামিয়াবী ও পাশ করার দুআ করবেন।

উল্লেখ্য যে, সর্বোপরি তাকদীরের ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...