আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম। দুঃক্ষিত একই বিষয় নিয়ে বারবার প্রশ্ন করার জন্য। আশা করি প্রশ্নটার উত্তর দিবেন।

আমি এসএসসি ২০২২ সালের বাংলা ২য় পত্র পরিক্ষা দিয়েছি, এবং আমি আমার বাংলা ২য় পত্রের এমসিকিউ এর উত্তর মিলিয়ে দেখলাম যে আমার  ১৫ টার ভিতরে মাত্র ৩ টা উত্তর সঠিক হয়েছে। ১৫ টা এমসিকিও তে ১৫ মার্ক। ১ টা তে ১ মার্ক, এবং এমসিকিউ তে আলাদাভাবে ৫ পেলে পাশ। আবার অনেকেই বলতেছে যে বাংলা ১ম এবং ২য় পত্রের এমসিকিউ মিলে ১০ পেলে পাশ, তবে এই কথা মনে হয়না যে সত্য। আমার বাংলা ১ম পত্রের এমসিকিউ মিলিয়ে দেখার পর তো ১০/১১ টা সঠিক হয়েছে। আর আমি বাংলা ২য় পত্রের রাইটিং সাইড এর সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমার রেজাল্টে জিপিএ ৫ পাওয়ার ইচ্ছা। আমি এই বিষয়ে খারাপ করলেও বাকি বিষয় গুলোতে ইনশাআল্লাহ ভালো করার ইচ্ছা আছে। এখন বাংলা ২য় পত্রের এমসিকিউ তে তো ৫ পেলে পাশ, আর আমার ৩ টা এমসিকিউ সঠিক হয়েছে, এখন আমার মনে হচ্ছে যে আমার এই বিষয়ে ফেইল আসবে। এখন আমি যদি "সালাতুল হাজত" পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করি যে আল্লাহ আমাকে ওই বিষয়ে পাশ করিয়ে দিন, এবং রেজাল্ট জিপিএ ৫ এনে দিন। মানি আমি "সালাতুল হাজত" পড়ে মোট রেজাল্টে জিপিএ ৫ পাওয়ার জন্য দোয়া করি তাহলে হবে তো? আর আমার সমস্যার জন্য "তাহাজ্জুদ" নামাজ পড়লে বেশি উপকার পাবো নাকি "সালাতুল হাজত"পড়লে বেশি উপকার পাবো? তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া নাকি আবার কবুল করা হয়, আসলে দুটোর মধ্যে পার্থক্য কি? আর এসব নামাজ বাদেও আমার এই সমস্যার জন্য আর কি কি আমল করা যায়, যাতে আমার এই সমস্যার সমাধান হবে এবং আমি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ ও পাবো?

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে অনেকেই বলতেছে যে বাংলা ১ম এবং ২য় পত্রের এমসিকিউ মিলে ১০ পেলে পাশ।

এ কথা যদি সঠিক না হয়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরণ মতে বাংলা ২য় পত্রের এমসিকিউ তে আপনার পাশ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন।

তবুও আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে দোয়া করতে পারেন,চাইলে ছলাতুল হাজত পড়েও দোয়া করতে পারেন।

এহেন পরিস্থিতিতে ছলাতুল হাজত দোয়া করাই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শিক্ষা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ كَانَتْ لَهُ إِلَى اللَّهِ حَاجَةٌ أَوْ إِلَى أَحَدٍ مِنْ بَنِي آدَمَ فَلْيَتَوَضَّأْ وَلْيُحْسِنِ الْوُضُوءَ ثُمَّ لْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ لْيُثْنِ عَلَى اللَّهِ وَلْيُصَلِّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ لْيَقُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ ”

আবদুল্লাহ ইবনু আবী আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির আল্লাহ তা’আলার কাছে অথবা কোন আদম সন্তানের কাছে কোন প্রয়োজন রয়েছে সে যেন প্রথমে উত্তমরূপে ওযু করে, তারপর দুই রাকাআত নামায আদায় করে, তারপর আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করে, তারপর এ দু’আ পাঠ করেঃ

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ

অর্থাৎ “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি ধৈর্যশীল ও মহামহিম। মহান আরশের মালিক আল্লাহ তা’আলা খুবই পবিত্র। সকল প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলার জন্য। (হে আল্লাহ!) আমি তোমার নিকট তোমার রাহমাত লাভের উপায়সমূহ, তোমার ক্ষমা লাভের কঠিন ওয়াদা, প্রত্যেক ভাল কাজের ঐশ্বর্য এবং সকল খারাপ কাজ হতে নিরাপত্তা চাইছি। হে মহা অনুগ্রহকারী! আমার প্রতিটি অপরাধ ক্ষমা কর, আমার প্রতিটি দুশ্চিন্তা দূর করে দাও এবং যে প্রয়োজন ও চাহিদা তোমার সন্তোষ লাভের কারণ হয় তা পরিপূর্ণ করে দাও।” [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৭৪৯]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...