ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
إِنَّ
رَبَّكَ فَعَّالٌ لِّمَا يُرِيدُ
নিশ্চয় তোমার পরওয়ারদেগার যা ইচ্ছা করতে পারেন। সূরা হুদ, আয়াত নং-১০৭
তিনি অন্যত্রে ইরশাদ করেন-
إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ
قَدِيرٌ
নিশ্চয় আল্লাহ সব
কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
সফলতার জন্য
আল্লাহ রহমত অপরিহার্য বিষয়। তাই
পরীক্ষাতে সফলতার জন্য চেষ্টা করা ও আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী দুআ করতে থাকা।
সুতরাং পরীক্ষাতে কামিয়াবীর জন্য কিছু পরামর্শ থাকবে। যথা:
১. অলসতা ত্যাগ করে নিজের
সাধ্যানুযায়ী কঠোর পরিশ্রম করা এবং পড়া মুখস্থ করা।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ
করেন,
وَلِكُلّٖ دَرَجَٰتٞ مِّمَّا
عَمِلُواْۖ وَلِيُوَفِّيَهُمۡ أَعۡمَٰلَهُمۡ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ
আর সকলের জন্যই
তাদের কর্ম অনুসারে মর্যাদা রয়েছে। আর আল্লাহ যেন তাদেরকে তাদের কর্মের পূর্ণ
প্রতিফল দিতে পারেন। আর তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না।’ (সূরা আল-আহকাফ ১৯)
২.
আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ
فَهُوَ حَسْبُهُ
যে আল্লাহর উপর
ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সূরা ত্বলাক : ৩)
৩. আল্লাহ
তায়ালার কাছে বেশী বেশী দুআ করতে থাকা। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েও দুআ করা।
হুযায়ফা রাযি.
বলেন, كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ صَلَّى ‘রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন সংকটে পড়তেন, তখন নামাজে রত হতেন’। (আবু দাউদ ১৩১৯)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. আল্লাহ
তায়ালা চাইলে সব কিছু করতে পারেন। তবে সাধারণত তিনি নিয়মের বহির্ভূত কিছু করেন না অর্থাৎ উত্তর পত্রে ভুল লিখে আসলেও তিনি সেগুলো সঠিক করে
দিবেন বিষয়টা এমন নয়। তবে আল্লাহ
তায়ালা চাইলে তা অসম্ভবের কিছু না। তিনি যুগে যুগে নিয়মের বহির্ভূত অনেক কিছু করে দেখিয়েছেন। তবে সাধারণত তিনি নিয়মের বহির্ভূত কিছু করেন
না।
২. পরীক্ষাতে কামিয়াবীর জন্য আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী
বেশী দুআ করতে পারেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, বিশেষ
করে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েও দুআ করতে পারেন। তবে ‘হে আল্লাহ! ঐ এমসিকিউগুলো সঠিক
করে দাও।’ এভাবে দুআ না করে পরীক্ষাতে কামিয়াবী ও পাশ করার দুআ করবেন।
উল্লেখ্য যে, সর্বোপরি
তাকদীরের ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকতে হবে।